পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঠ্য পতাক কেবল উদ্ভিজজা খায়। যথা, গোমহিষাদি। অতএব আরও বিশেষ করিয়া লিখিতে পার যে, “যে সকল চতুস্পদ উদ্ভিজজাহারী, তাহদের মধ্যে কতকগলির শােঙ্গ আছে, কতকগালির শােঙ্গ नाई। उाश चिऊौद्ध धचौद्ध भवा ।” এইরুপ আরও সম্প্রসারণ করা যায়। এইরূপে (২) জাতিভেদ, (৩) দোষ-গণ, (৪) উপকার-এ সকলেরও সম্প্রসারণ করা যায়। পরীক্ষাথ নিম্নলিখিত কযেকটি বিষয়ে এইরহপ সম্প্রসারিত প্ৰবন্ধ লেখা। হস্তী, কুক্কর, চন্দ্র, সােয্য, ব্যক্ষ, বিদ্যা, মাতাপিতা, রাগ, সাহস শিক্ষক, দয়া। ইহাও সমরণ রাখিবে যে, সকল বিষয়েই প্ৰবন্ধকে ঐরপ চারি ভাগে বিভক্ত করা যায না। কখন কোনটি ছাড়িয়া দিতে হয়। যথা চন্দ্র সায্যের জাতিভেদ নাই-উহা ছাড়িয়া দিবে; তবে চন্দ্ৰ সময্য সম্পবন্ধে লোকের মতভেদ আছে, পাের ত, তাহা লিখিবে। আব এই চারিটি ভাগ ছাড়া আর যাহা কিছর বক্তব্য লিখিতে চাও তাঁহাতে আপত্তি নাই। বিশেষ কোন বিষযে প্রবন্ধ লিখিতে গেলে পৰ্ব্ববৰ্গগামী লেখকদিগের মত সঙ্কলন কবা প্ৰথা আছে; আবশ্যক মতে তাহা কবিতে পাের। ভাল বঝিলে তাহার প্রতিবাদ করিতে পাব। छि@ौंझ ख्धधाश প্রথম পাঠ্য-বিশদ্ধি রচনার চাবিটি গণ বিশেষ করিষা শিখিতে হইবে। এই চারিটির নাম । ১) বিশন্ধি, (२) ऊथबद्ध, (७) श्थाश्व्लङा, (8) ग्रळ७:काव्र । প্রথমে বিশদ্ধি। রচনার ভাষা শব্দ্ধ না হইলে সব নন্ট হইল। বিশদ্ধির প্রতি সৰবাগ্রে মনোযোগ করিতে হইবে। বিশদ্ধি সব্বপ্রধান গণ । যাহা বিশদ্ধ নহে, তাহা অশদ্ধ। কি হইলে রচনা অশদ্ধ হস তাহা বঝিলেই, বিশন্ধি কি তাহা বঝিবে। পকেবই বলিযাছি যে মৌখিক রচনা যেরপ, লিখিত রচনাও সেইরাপ; তবে কিছু প্রভেদ আছে। লিখিত রচনা কতকগালি নিযমের অধীন, মৌখিক বচনা সে সব নিয়মের অধীন নয়। অথবা অধীন হইলেও মৌখিক রচনাম সে সকল নিযম লংঘনে দোষ ধবা যায় না। লিখিত রচনায় যে সকল নিযম লঙ্ঘিত হইলে দোষ ধরিতে হয়, সেই সকল নিযাম লঙ্ঘিত হইলেই রচনা আশদ্ধ হইল। সেই সকল দোষের কথা এখন লিখিতেছি। ১। বৰ্ণাশদ্ধি। মখে সকলেই বলে, “পল্ট” “মেগ” “শপত” “শটি” “বাদ” “দািবল” “নেত্য” কিন্তু, লিখিতে হইবে “সম্পন্ট, মেঘ, শপথ, শঠ, বাঁধ, দবােল, নিত্য।” ২। সংক্ষিপ্তি। মাখে বলি, “কোবে” “কচ্চি” * করবো” “কল্লাম” “কচ্ছিলাম”। কিন্তু লিখিতে ৩ । প্রাদেশিকতা। বাঙ্গালার কোন প্রদেশের লোকে বলে, “কল্লম", কোন প্রদেশে, “কল্লেম”, কোথাও, “কল্লাম”, কোথাও “কক্স”। কোন প্রদেশবিশেষেরই ভাষা ব্যবহার করা হইবে না;- যাহা লিখিত ভাষায় চিরপ্রচলিত, তাহাই ব্যবহৃত হইবে। অন্যান্য স্থানের অপেক্ষা রাজধানীর ভাষাই সমধিক পরিচিত । অতএব, রাজধানীর ভাদ্রসমাজে যে ভাষা চলিত তাহা লিখিত রচনায় ব্যবহৃত হইতে পারে। কোন দেশে বলে “ছড়ি” কোন দেশে বলে “নড়ি।” “ছড়ি” কলিকাতার ভদ্রসমাজে চলিত। উহা ব্যবহৃত হইতে পারে। “লাগি” “লগা” “চৈড়”-ইহার মধ্যে লগিাই কলিকাতাষ চলিত, উহাই ব্যবহৃত হইতে পারে। অপর দাইটি ব্যবহৃত হইতে পারে না। ৪ । গ্রাম্যতা। কেবল ইতর লোক বা গ্রাম্য লোকের মধ্যে যে সকল শাখািদ প্রচলিত, তাহা ব্যবহৃত হইতে পারে না। “কৌশল্যার পো রাম,” “দশরথের বেটা লক্ষণ,” এ সকল বাক্য छाभाष्ठा-cआgष अदको । 為○○