পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दpe€दछ আসিয়া দেশ উৎসন্ন দিতে আরম্ভ করিয়াছে। ইংরেজ জাতি বাহ্য সম্পদ বড় ভালবাসেনইংরেজি সভ্যতার এইটি প্রধান চিহ্ন-তাঁহারা আসিয়া এদেশের বাহ্য সম্পদ সাধনেই নিযক্তআমরা তাঁহাই ভালবাসিয়া আর সকল বিস্মত হইয়াছি। ভারতবর্ষের অন্যান্য দেবমাত্তিসকল মন্দিরচু্যত হইয়াছে—সিন্ধ হইতে ব্ৰহ্মপত্ৰ পৰ্যন্ত কেবল বাহ্য সম্পদের পজা আরম্ভ হইয়াছে। দেখ, কত বাণিজ্য বাড়িতেছে-দেখ, কেমন রেলওয়েতে হিন্দ-ভূমি জালনিবদ্ধ হইয়া উঠিল-- দেখিতেছি, টেলিগ্রাফ কেমন বস্তু! দেখিতেছি, কিন্তু কমলাকান্তের জিজ্ঞাসা এই যে, তোমার রেলওয়ে টেলিগ্রাফে আমার কতটকু মনের সখি বাড়িবে ? আমার এই হারান মন খাজিয়া আনিয়া দিতে পরিবে ? কাহারও মনের আগন নিবাইতে পরিবে ? ঐ যে কৃপণ। ধনতুষায় মরিতেছে, উহার তৃষা নিবারণ করিবে ? অপমানিতের অপমান ফিরাইতে পারিবে ? রপোেন্মত্তের ক্ৰোড়ে রূপসীকে তুলিয়া বসাইতে পরিবে ? না পারে, তবে তোমার রেলওয়ে টেলিগ্রাফ প্রভৃতি উপাড়িয়া জলে ফেলিয়া দাও-কমলাকান্ত শৰ্ম্মমা তাতে ক্ষতি বিবেচনা করিবেন না। কি ইংরেজি, কি বাঙ্গালা, যে সম্পবাদ-পত্র, সাময়িক পত্র, সপীচ, ডিবেট, লেকচার, যাহা কিছ পড়ি বা শনি, তাহতে এই বাহ্য সম্পদ ভিন্ন আর কোন বিষয়ের কোন কথা দেখিতে পাই না। হর হর বাম বমী! বাহ্য সম্পদের পজা কর। হর হর বাম বমী! টাকার রাশির উপর টাকা ঢাল! টাকা ভক্তি, টাকা মাক্তি, টাকা নীতি, টাকা। গতি! টাকা ধৰ্ম্ম, টাকা অর্থ, টাকা কাম টাকা মোক্ষ! ও পথে যাইও না, দেশের টাকা কমিবে, ও পথে ষাঁও, দেশের টাকা বাড়িবে! বাম বম, হর হর! টাকা বাড়াও, টাকা বাড়াও, রেলওয়ে টেলিগ্রাফ অর্থ-প্রসাতি, ও মন্দিরে প্রণাম কর! যাতে টাকা বাড়ে, এমন করা; শান্য হইতে টাকা বলিষ্ট হইতে থাকুক ! টাকার ঝনঝনিতে ভারতবর্ষ পরিয়া যাউক! মন! মন আবার কি ? টাকা ছাড়া মন কি ? টাকা ছাড়া আমাদের মন নাই; টাঁকশালে আমাদের মন ভাঙ্গে গড়ে। টাকাই বাহ্য সম্পদ। হর হর বাম বমী! বাহ্য সম্পদের পজা কর। এ পাজার তামৰ্শমশ্রীধারী ইংরেজ নামে ঋষিগণ। পরোহিত; এডাম স্মিথ পরাণ এবং মিল তন্ত্র হইতে পাজার মন্ত্ৰ পড়িতে হয়; এ উৎসবে ইংরেজি সম্পবাদ-পত্ৰসকল ঢাক ঢোল, বাঙ্গালা সম্পবাদ-পত্ৰ কাসিদার; শিক্ষা এবং উৎসাহ ইহাতে নৈবেদ্য, এবং হৃদয় ইহাতে ছাগবলি। এ পজিার ফল, ইহলোকে ও পরলোকে অনন্ত নরক। তবে, আইস, সবে মিলিয়া বাহ্য সম্পদের পজা করি। আইস, যশোগঙ্গার জলে ধৌত করিয়া, বঞ্চন-বিল্বদলে মিস্টকথাচন্দন মাখাইয়া, এই মহাদেবের পজা করি। বল, হর হর বাম বমী! বাহ্য সম্পদের পজা করি। BBBD DBBD BB DDBDSYKDDBD DBDD DDS DDDBD BDDDD DDBDS DDDDS S DBD DBB BDBBBBDSYS ট্যাং ট্যাং ট্যাং নাট্যাং নাট্যাং! আসন পরোহিত মহাশয়! মন্ত্র বলনে। আমাদের এই বহকালের পরাতন ঘতটকু লইয়া সাবধা সবাহা বলিয়া আগনে ঢালান। কোথা ভাই ইউটিলিটেরিয়েন কামার! পাঁটা হাড়িকাটে ফেলিয়াছি; একবার বাবা পঞ্চানন্দের* নাম করিয়া, এক কোপে পাচার কর! হর হর বাম বমী! কমলাকান্ত দাঁড়াইয়া আছে, মাড়িটি দিও ! তোমরা স্বচ্ছন্দে পজা কর! পজা কর, ক্ষতি নাই, কিন্তু আমাকে গোটাকত কথা বঝাইয়া দাও। তোমার বাহ্য সম্পদে কয় জন অভদ্র ভদ্র হইয়াছে ? কিয় জন অশিম্পট শিন্ট হইয়াছে ? কিয় জন অধাৰ্ম্মিমক ধামিক হইয়াছে ? কিয় জন অপবিত্র পবিত্র হইয়াছে ? এক জনও না ? যদি না হইয়া থাকে, তবে তোমার এই ছাই আমরা চাহি না-আমি হকুম দিতেছি, এ ছাই ভারতবর্ষ হইতে উঠাইয়া MK3 ) তোমাদের কথা আমি বঝি। উদর নামে বহৎ গহবর, ইহা প্রত্যহ বজান চাই; নাহিলে নয়। তোমরা বল যে, এই গৰ্ত্ত যাহাতে সকলেরই ভাল করিয়া বাজে, আমরা সেই চেন্টায় আছি। আমি বলি, সে মঙ্গলের কথা বটে, কিন্তু উহার অত বাড়াবাড়িতে কাজ নাই। গত্তি বজাইতে তোমরা এমনই ব্যস্ত হইয়া উঠিতেছ যে, আর সকল কথা ভুলিয়া গেলো। বরং গত্তের এক কোণ খালি থাকে, সেও ভাল, তব আর আর দিকে একটা মন দেওয়া উচিত। গৰ্ত্ত বজান হইতে মনের সখ একটা স্বতন্ত্র সামগ্রী; তাহার বদ্ধির কি কোন উপায় হইতে পারে না ? তোমরা

  • পঞ্চানন নাম প্ৰসিদ্ধ নহে-পঞ্চানন্দই প্ৰসিদ্ধ। মাদা, গাংস, গাড়ি জড়ি, পোষাক এবং বেশ্যাএই পাঁচটি আনন্দে এই নাতন পঞ্চানন্দ।

S