পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ܩ ̄ s ܚܕܝܘ ܕ݁ܶܐ * fanyag- vớqer দশজাতি ছিল। পশ্চিম, ‘নানাজাতি পক্ষী’, ‘কুক্কারের জাতি' (Species) বলিলে যে অৰ্থ বাঝায়, তাই। ইহার মধ্যেও কোনও অর্থ প্রকাশ করিতে গেলে, জাতি ভিন্ন বাঙ্গালায় অন্য শব্দ নাই। এস্থলে জাতি শব্দই ব্যবহার করিতে হইবে। কিন্তু ব্যবহার করিয়া তাহার পরিভাষা করিয়া বঝাইয়া দিতে হইবে যে, কোন অর্থে ‘জাতি' শব্দ ব্যবহার করা যাইতেছে। বাকাইয়া দিয়া উপরে যেমন দেওয়া গেল, সেইরােপ উদাহরণ দিলে আরও ভাল হয। ਲਜ 2Teat প্রাঞ্জলতা রচনার বড় গণ। তুমি যাহা লিখিবে, লোকে পড়িবামাত্ৰ যেন তাহা বঝিতে পারে। যাহা লিখিলে, লোকে যদি তাহা না বঝিতে পারিল, তবে লেখা ব্যথা। কিন্তু অনেক লেখক এ কথা মনে রাখেন না। কতকগলি নিয়ম, আর কতকগলি কৌশল মনে রাখিলে রচনা খব প্রাঞ্জল করা যায়। দই বকমই বলিযা দিতেছি। ১ । একটি বস্তুর অনেকগলি নাম থাকিতে পারে, যেমন আগনের নাম অগ্নি, হতাশন অথবা হতভুক, অনল, বৈশ্বানর, বায় সখা ইত্যাদি। এখন, আগানের কথা লিখিতে গেলে ইহার মধ্যে কোন নামটি ব্যবহার করিব ? যেটি সবাই জানে, অর্থাৎ আগন বা অগ্নি। যদি বলি, “হতভুক সাহায্যে বাষ্পীয় যন্ত্র সঞ্চালিত হয়,” তবে অধিকাংশ বাঙ্গালী আমার কথা বঝিবে না। যদি বলি যে, “অগ্নির সাহায্যে বাহুপৰীয় যন্ত্র চলে।” সকলেই বঝিবে। ২। অনাথক কতকগলা সংস্কৃত শব্দ লেইখা সন্ধি সমাসের আড়ম্বর করিও না-অনেকে বঝিতে পারে না। যদি বলি, “মীনক্ষোভাকুল কুবলয” তোমরা কেহ কি সহজে বঝিবে ? আর যদি বলি, “মাছের তাড়নে যে পদ্ম কাঁপিতেছে,” তবে কে না বঝিবে ? ৩ । অনাথক কথা বাড়াইও না। অলপ কথায় কাজ হইলে, বেশী কথার প্রযোজন কি ? “এবম্পিবধ বিবিধ প্রকার ভয়াবহ ব্যাপারেব বশীভুত হইযা, যখন সােয্যদেব পৰবাগগনে অধিস্ঠিান করিয়া পথিবীতে স্বীয কিরণমালা প্রেরণ কবিলেন, তখন আমি সেই স্থান পরিত্যাগ পািৰবাক অন্যত্র গমন করিলাম।” এরপ না বলিযা যদি বলি, “এইরপ অনেক বিষয়ে ভষ পাইযা, যখন সােয্য উঠিল তখন আমি সেস্থান হইতে চলিযা গেলাম। " তবে অর্থের কোন ক্ষতি হয না, অথচ সকলে সহজে বঝিতে পারে। ৪ । জটিল বাক্য বচনা করিও না। অনেকগালি বাক্য একত্র জড়িত কবা হইলে বাক্য জটিল হয়। যেখানে বাক্য জটিল হইয়া আসিবে, সেখানে জটিল বাক্যটি ভাঙ্গিষা ছোট ছোট সরল বাক্যে সাজাইবে। উদাহরণ দেখ -- “দিন দিন পল্লীগ্রাম সকলের যেরপ শোচনীয় অবস্থা দাঁড়াইতেছে, তাহাতে অলপকাল মধ্যে পল্লীগ্রাম যে জলহীন হইবে, এবং তাদ্ধৌতুক যে কৃষিকায্যের বিশেষ ব্যাঘাত ঘটিবে, এরপ অনমান করিয়াও অনেক দেশহিতৈষী ব্যক্তি তাহার প্রতিবিধানে যত্ন করেন না, দেখিয়া আমরা বড় দঃখিত হইয়াছি।” এই বাক্য অতি জটিল । সহজে বাবা যায় না। কিন্তু ছোট ছোট বাক্যে ইহাকে বিভক্ত করিয়া লইলে কত সহজ হয় দেখ। “দিন দিন পল্লীগ্রাম সকলের শোচনীয় অবস্থা দাঁড়াইতেছে। ষেরপ শোচনীয় অবস্থা দাঁড়াইতেছে, তাহাতে অলপকাল মধ্যে অনেক পল্লীগ্রাম জলহীন হইবে। পল্লীগ্রাম সকল জলহীন হইলে কৃষিকায্যের বিশেষ ব্যাঘাত ঘটিবে। অনেক দেশহিতৈষী ব্যক্তি ইহা অনমান করিয়াছেন। কিন্তু অনামান করিয়াও তাঁহারা ইহার প্রতিবিধানের যত্ন করেন না। ইহা দেখিয়া আমরা বড় দঃখিত হইয়াছি।” একটি বাক্যের স্থানে ছয়টি হইয়াছে। কিন্তু বঝিবার আর কোন কািন্ট নাই। ৫ । উদাহরণ। যেখানে স্থলে কথাটা বঝিতে কঠিন, সেখানে উদাহরণ প্রয়োগে বড় পরিস্কার হয়। এই গ্রন্থে সকল কথার উদাহরণ দেওয়া গিয়াছে, সতরাং উদাহরণের আর পথক। উদাহরণ দিবার প্রয়োজন নাই। ৬ । সম্প্রদােঞ্জরুণ। স্থল বাক্যটি বড় সংক্ষিপ্ত হইলে অনেক সময়ে বঝিবার কািট হয়। SS