পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী এত কল করিতেছ, মনতুষ্যে মনষ্যে প্রণয় বদ্ধির জন্য কি একটা কিছু কাল হয় না ? একটা বদ্ধি খাটাইয়া দেখ, নাহিলে সকল বেকল হইয়া যাইবে। আমি কেবল চিরকাল গৰ্ত্ত বজাইয়া আসিয়াছি-কখন পরের জন্য ভাবি নাই। এই জন্য সকল হারাইয়া বসিয়াছি-সংসারে আমার সখ নাই; পথিবীতে আমার থাকিবার আর প্রয়োজন দেখি না। পরের বোঝা কেন ঘাড়ে করিব, এই ভাবিয়া সংসারী হই নাই। তাহার ফল। এই যে, কিছতেই আমার মন নাই। আমি সখী নাহি। কেন হইব ? আমি পরের জন্য দায়ী হই নাই, সখে আমার অধিকার কি ? সখে আমার অধিকার নাই, কিন্তু তাই বলিয়া মনে করিও না যে, তোমরা বিবাহ করিয়াছ বলিয়া সখী হইয়াছ। যদি পারিবারিক স্নেহের গণে তোমাদের আত্মপ্রিয়তা লগুপ্ত না হইয়া থাকে, যদি বিবাহ নিবন্ধন তোমাদের চিত্ত মাজিজাত না হইয়া থাকে, যদি আত্মপরিবারকে ভােলবাসিয়া, তাবৎ মনষ্যজাতিকে ভালবাসিতে না শিখিয়া থােক, তবে মিথ্যা বিবাহ করিয়ােছ; কেবল ভূতের বোঝা বহিতেছ। ইন্দ্ৰিয় পরিতৃপ্তি বা পত্রিমািখ নিরীক্ষণের জন্য বিবাহ নহে। যদি বিবাহবন্ধে মনষ্যে-চরিত্রের উৎকৰ্ষ সাধন না হইল, তবে বিবাহের প্রয়োজন নাই। ইন্দুিয়াদি অভ্যাসের বিশ; অভ্যাসে এ সকল একেবারে শান্ত থাকিতে পারে। বরং মনষ্যেজাতি ইন্দ্রিয়কে শ্ৰীভূক্ত কুকুন্ন পখিবাঁ হইতে লাপ্ত হউক, তথাপি যে বিবাহে প্রীতি শিক্ষা না হয়, সে বিবাহে 20ଷ୍rଆଁ କମ୍ କni୧ ! এক্ষণে কমলাকান্ত যক্ত করে সকলের নিকট নিবেদন করিতেছে, তোমরা কেহ কমলাকান্তের একটি বিবাহ দিতে পাের ? ষষ্ঠ সংখ্যা-চন্দ্রলোকে এই তৃণ-শল্প-শোভিত হরিৎক্ষেত্রে, এই কলবাহিনী ভাগীরথী-তীরে, এই সফটচন্দ্রলোকে, আজি দপ্তরের শ্ৰীবদ্ধি, কলেবর-বদ্ধি করিব। এইরপ চন্দ্রালোকেই না ট্রৈলস শৰ্ম্মা ট্রয়ের উচ্চ প্রাচীরে আরোহণ করিয়া, ক্রিসীদাকে সমরণ করিয়া, উষ্ণ শ্বাস ত্যাগ করতেন! এইরাপ চন্দ্ৰলোকেই না থিবসী সন্দরী এইরূপ মদ শিশির-পাত-সিক্ত শল্প মদ পদে দলিত করিয়া পিরামসের সঙ্কেতস্থানাভিমখে অভিসারিণী হইতেন ? অভিসারিণী শব্দটিতে আভি একটি উপসৰ্গ আছে, স একটি ধাতু আছে এবং সত্ৰীবাচক একটি ‘ইনী’ আছে; এই জীবনে কমলাকান্ত শক্ষমা কত উপসাগ দেখিলেন, কত লোকের ধাতু ছাড়িল গঠিল দেখিলেন, কত ইনীও এলেন গেলেন, কিন্তু সোপসাগর্ক ধাতুবিশিষ্ট একটি ইনীও কখন দেখিলাম না। কমলাকান্ত উপসগো কোন ইনীর ধাতু বিগড়াইল না। কমলাভিসারিণী, এরপ নায়িকা কখন হইল না। যাহারা দধি দগ্ধ বিক্রয়ার্থ আগমন করে, তাহাদিগকে শ্ৰীমদ্ভাগবতে “পসারিণী” বলিয়াছে, কখন অভিসারিণী বলিয়াছে, এরােপ স্মরণ হয় না, তাহা যদি বলিত, তাহা হইলে অনেক অভিসারিণী দেখিয়াছি বলিতে পারতাম। চন্দ্র, তুমি হাস্য করিতেছ? হেসে হেসে ভেসে উঠিতেছ? তোমার সাতাইশ ইনী শব্দ্ধ আমাকে দেখিয়া, আমার প্রতি চক্ষ টিপিয়া উপহাস করিতেছ? দক্ষ রাজার যেমন কৰ্ম্মএকেবারে সাতাইশটিকে এক চলেদ্র সমপণ করিলেন, আর এখন কমলাকান্ত শম্পমা বিবাহের জন্য লালায়িত! অমল-ধবল-কিরণরাশি সাধাংশো! আর সকল তোমার থােক, তুমি অন্ততঃ অশ্লেষা মঘকে ছাড়িয়া দেও, আমি ওই দাইটিকে বড় ভালবাসি। আমার মত নিম্পকম্পমা লোক উহাদের কল্যাণে অন্ততঃ দই দিন গহবাসসখ উপলব্ধি করিতে পারে। আমি ঐ ভগিনীদ্বয়কে আমার ভবনে চিরকাল জন্য স্থান দান করিয়া, সখে কাল কৰ্ত্তন করিব। ইহাদিগের আরও অনেক গণ আছে-লোকে নিজে অক্ষমতা নিবন্ধন কোন কম্পমা করিতে না পারিয়া, সবচ্ছন্দে ইহাদিগের দোহাই দিয়া, লোকের কাছে আস্ফালন করিতে পারে। আমিও নসীবাবার কাপড় কিনিতে যদি নিবন্ধিতাবশতঃ প্রতারিত হইয়া আসি, তবে আমার সহধৰ্ম্মিণীদ্বয়ের স্কন্ধে সমস্ত দোষ অপৰ্ণ করিয়া সাফাই করিতে পারিব। চন্দ্রদেব! তুমি আমার কথায় কৰ্ণপাত করিলে না? এখনও মন্দাকিনীর মন্দান্দোলিত বক্ষ-বসন করষ্পাপশোঁ প্ৰতিভাসিত করিতেছ? এখনও মন্দ সমীরণের সহ পরামর্শ করিয়া বক্ষের R ' 冲 器