পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দগেশনন্দিনী দ্রস্টােবগ দেখিলেন, বীরেন্দ্র আপন মন্ড আপনি ਬਦੋਸ਼ਾਣ হইয়াছেন। কতলা খাঁর ক্ৰোধে কলেবর কম্পিত হইয়া উঠিল। তিনি সহসা ক্ৰোধ সংবরণ করবার ক্ষমতা অভ্যাসসিদ্ধ করিয়াছিলেন; এজন্য কতক স্থিরভাবে কহিলেন, “তুমি, আমার অধিকারে বসতি করিয়া, কেন মোগলের সহিত মিলন করিয়াছিলে ?” বীরেন্দ্ৰ কহিলেন, “তোমার অধিকার কোথা ?” কতল, খাঁ আরও কুপিত হইয়া কহিলেন, “শোনা দরাত্মা! নিজ কম্পের্মাচিত ফল পাইবি । ) এখনও তোর জীবনের আশা ছিল, কিন্তু তুই নিকোবাঁধ, নিজ দাপে আপনি বধের উদ্যোগ করিতেছিস।” বীরেন্দ্ৰসিংহ সগৰ্ব্বে হাস্য করিলেন; কহিলেন, “কতলা খাঁ—আমি তোমার কাছে যখন শঙ্খলাবদ্ধ হইয়া আসিয়াছি, তখন দয়ার প্রত্যাশা করিয়া আসি নাই। তোমার তুল্য শত্রর দয়ায় যার জীবন রক্ষা, তাহার জীবনে প্রয়ােজন ? তোমাকে আশীৰ্ব্ববাদ করিয়া প্রাণত্যাগ করিতাম; কিন্তু আমার পবিত্র কুলে কালি দিয়ােছ; তুমি আমার প্রাণের অধিক ধনকে—” বীরেন্দ্ৰসিংহ আর বলিতে পারিলেন না; সবার বন্ধ হইয়া গেল, চক্ষঃ বাষ্পপাকুল হইল; নিভীক গৰ্ব্বিত বীরেন্দ্ৰসিংহ অধোবাদন হইয়া রোদন করিতে লাগিলেন। কতল, খাির্ট সর্বভাবতঃ নিম্ঠর ; এতদর নিম্ঠর যে, পরপীড়ায় তাঁহার উল্লাস জন্মিত। দাম্ভিক বৈরির ঈদশ অবস্থা দেখিয়া তাঁহার মািখ হষোৎফল্প হইল। কহিলেন, “বীরেন্দ্ৰসিংহ! তুমি কি আমার নিকট কিছ যাভূঞা করিবে না ? বিবেচনা করিয়া দেখ, তোমার সময় নিকট।” যে দঃসহ সন্তাপাশিনতে বীরোন্দ্রের হৃদয় দগধ হইতেছিল, রোদন করিয়া তাহার কিঞ্চিৎ সমতা হইল। পািব্বাপেক্ষা স্থিরভাবে উত্তর করিলেন, “আর কিছই চাহি না, কেবল এই ভিক্ষা যে, আমার বধ-কাৰ্য্য শীর্ঘ সমাপত কর।” ক। তাহাই হইবে, আর কিছ ? উত্তর। “এ জন্মে। আর কিছ না।” ক। মাতৃত্যুকালে তোমার কন্যার সহিত সাক্ষাৎ করিবে না ? এই প্রশন শনিয়া দ্রস্টােবগ পরিতাপে নিঃশব্দ হইল, বীরোন্দ্রের চক্ষে আবার উত্তজবলাগিন জীবলিতে লাগিল । “যদি আমার কন্যা তোমার গহে জীবিতা থাকে, তবে সাক্ষাৎ করিব না। যদি মরিয়া থাকে, লইয়া আইস, কোলে করিয়া মরিব।” দ্রস্টােবগ একেবারে নীরব, অগণিত লোক এতাদর্শ গভীর নিস্তব্ধ যে, সচৌপাত হইলে শব্দ শােনা যাইত। নবাবের ঈঙ্গিত পাইয়া রক্ষিবগ বীরেন্দ্ৰসিংহকে বধ্যভূমিতে লইয়া চলিল। তথায় উপনীত হইবার কিছ, পঝের্ব একজন মসলমান বীরোন্দ্রের কাণে কাণে কি কহিল ; বীরেন্দ্র তাহা কিছ: বঝিতে পারিলেন না। মসলমান তাঁহার হস্তে একখানি পত্র দিল। বীরেন্দ্র ভাবিতে ভাবিতে অন্যমনে ঐ পত্র খলিয়া দেখিলেন যে, বিমলার হস্তের লেখা। বীরেন্দ্র ঘোর বিরক্তির সহিত লিপি মন্দিত করিয়া দরে নিক্ষেপ করিলেন। লিপি-বাহক লিপি তুলিয়া লইয়া গেল। নিকটস্থ কোন দশক বীরোন্দ্রের এই কৰ্ম্ম দেখিয়া অপরকে অনাচ্চৈঃস্বরে কহিল, “বঝি কন্যার পত্ৰ ?” কথা বীরোন্দ্রের কাণে গেল। সেই দিকে ফিরিয়া কহিলেন, “কে বলে আমার কন্যা ? আমার दक्Iिा का ।" পদবীধক পঢ় লইয়া গেল। রক্ষিবগকে কহিয়া গেল, “আমি যতক্ষণ প্রত্যাগমন না করি, ততক্ষণ বিলম্ব করিও ।” রীক্ষগণ কহিল, “যে আজ্ঞা প্ৰভো! স্বয়ং ওসমান পত্ৰবাহক; এই জন্য রক্ষিবৰ্গ প্ৰভু সম্বোধন করিল। ওসমান লিপিহন্সেত অন্তঃপর-প্রাচীর-মধ্যে গেলেন; তথায় এক বকুল-বক্ষের অন্তরালে গঠনবতী সত্ৰীলোক দন্ডায়মান আছে। ওসমান তাহার সন্নিধানে গিয়া চতুদ্দিকি SySeTiZKuSuiuS uiuDiDiDuDS DB BBS DBD BDBiByDuD DDS আপনাকে "বই"ক্লেশ দিতেছি, কিন্তু আপনা হইতেই আমাদের এ দশা ঘাঁটিয়াছে। আপনাকে আমার এ কায্য সাধন করিতে হইবে।” r SC Գ