পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७कsा ब्रा5नाववी দাঁড়াইয়া আছেন। দস্টিমাত্র বিমলা তাঁহাকে অভিরাম সবামী বলিয়া চিনিতে পারিলেন। বিমলা তাঁহার নিকট যাইবামাত্র অভিরাম স্বামী কহিলেন, “আমি বড়ই উদিবগন হইতেছিলাম; দগমধ্যে কোলাহল কিসের ?” বিমলা উত্তর করিলেন, “আমি বৈধব্য যন্ত্রণার প্রতিশোধ করিয়া আসিয়াছি। এখানে আর সুধি স্থায় কাজ নাই, শীম আশ্রমে চলন; পরে সবিশেষ নিবেদিব। তিলােত্তমা আশ্রমে ोशा6छ ७ ?' অভিরাম স্বামী কহিলেন, “তিলোত্তমা অগ্ৰে অগ্ৰে আশামানির সহিত যাইতেছে, শীঘ্র সাক্ষাৎ হইবেক ।” এই বলিয়া উভয়ে দ্রুতবেগে চলিলেন। অচিরাং কুটনীরমধ্যে উপনীত হইয়া দেখিলেন, ক্ষণপকেবই আয়েষার অনগ্রহে তিলোত্তমা। আশামানির সঙ্গে তথায় আসিয়াছেন। তিলোত্তমা অভিরাম স্বামীর পদযািগলে প্ৰণত হইয়া রোদন করিতে লাগিলেন। অভিরাম সবামী তাঁহাকে স্থির করিয়া কহিতে লাগিলেন, “ঈশবিরোিচ্ছায় তোমরা দরোত্মার হসন্ত হইতে মক্ত হইলে, এখন আর তিলাদ্ধৰ্ব এদেশে তিস্ঠান নহে। যবনেরা সন্ধান পাইলে এবারে প্রাণে মারিয়া প্রভুর মতুল্সশোক নিবারণ করিবে। আমরা আদ্য রাত্ৰিতে এ সােথান ত্যাগ করিয়া যাই চল ।” সকলেই এ পরামশে সম্মত হইলেন। সপতদশ পরিচ্ছেদ ঃ অন্তিম কাল বিমলার পলায়নের ক্ষণকাল পরেই একজন কমার্চ অতিব্যসেত জগৎ সিংহের কারাগারমধ্যে আসিয়া কহিল, “যদুবরাজ ! নবাব সাহেবের মাতৃত্যু উপস্থিত, তিনি আপনাকে সমরণ করিয়াছেন।” যদুবরাজ চমৎকৃত হইয়া কহিলেন, “সে কি!" রাজপরিষ কহিলেন, “অন্তপারমধ্যে শত্র প্রবেশ করিয়া নবাব সাহেবকে আঘাত করিয়া পলায়ন করিয়াছে। এখনও প্রাণত্যাগ হয় নাই, কিন্তু আর বিলম্ব নাই, আপনি ঝটিতি চলন, নচেৎ সাক্ষাৎ হইবে না।” রাজপত্ৰ কহিলেন, “এ সময়ে আমার সহিত সাক্ষাতের প্রয়োজন ?” দত কহিল, “কি জানি ? আমি বাৰ্ত্তাবহ মাত্র।” যদুবরাজ দাঁতের সহিত অন্তঃপারমধ্যে গমন করিলেন। তথায় গিয়া দেখেন যে, কতল খাঁর জীবন-প্ৰদীপ সত্য সত্যই নিৰ্ব্ববাণ হইয়া আসিয়াছে, অন্ধকারের আর বিলম্ব নাই, চতুদিকে ওসমান, আয়েষ্যা, মমষর অপ্রাপত্তবয়স্ক পত্ৰগণ, পত্নী, উপপত্নী, দাসী, অমাত্যবগ প্রভৃতি শিশগণ না বঝিয়া কাঁদিতেছে; আয়েষা চীৎকার করিয়া কাঁদিতেছে না। আয়েষার নয়ন-ধারায় মািখ পলাবিত হইতেছে ; নিঃশব্দে পিতার মস্তক অঙেক ধারণ করিয়া রহিয়াছেন। জগৎ সিংহ দেখিলেন, সে মাত্তি স্থির, গম্ভীর, নিস্পন্দ। যবেরাজ প্রবেশ মাত্র খাবাজা ইসা নামে অমাত্য তাঁহার কর ধরিয়া কতল খাঁর নিকটে লাইলেন; যেরপে উচ্চস্বরে বধিরকে সম্ভাষণ করিতে হয়, সেইরােপ স্বরে কহিলেন, “যদুবরাজ জগৎ সিংহ আসিয়াছেন।” কতল খাঁ ক্ষীণস্বরে কহিলেন, “আমি শত্র; মরি;—রাগ দেবষ ত্যাগ।” জগৎ সিংহ বঝিয়া কহিলেন, “এ সময়ে ত্যাগ করিলাম।“ কতলা খাঁ পনেরপি সেইরােপ সত্বরে কহিলেন, “যাদ্ভূঞা-স্বীকার।” জগৎ সিংহ জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি স্বীকার করিব ?” কতলা খাঁ পািনরপি কহিতে লাগিলেন, “বালক সব-যন্ধ-বড় তৃষা ?” আয়েষ্যা মখে সরবত সিঞ্চন করিলেন। “যদ্ধ-কাজ নাই—সিন্ধি—” কতলা খাঁ নীরব হইলেন। জগৎ সিংহ কোন উত্তর করিলেন না। কতল খাঁ তাঁহার মািখপানে উত্তর প্রতীক্ষায় চাহিয়া রহিলেন। উত্তর না পাইয়া কন্টে কহিলেন, “অস্বীকার ?” ܢ ܓ ܠ