পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मृ८शभिर्नान्क्रनी ওসমান সক্রোধে রাজপত্রকে পদাঘাত করিলেন, কহিলেনN৮“যে সিপাহী যন্ধ করিতে ভয় পায়, তাহাকে এইরপে যাদ্ধ করাই।” রাজকুমারের আর ধৈৰ্য্য রহিল না। শীঘ্রহস্তে ত্যক্ত প্রহরণ ভূমি হইতে উত্তোলন করিয়া শগালদংশিত সিংহবৎ প্রচন্ড লম্বফ দিয়া রাজপত্র যবনকে আক্ৰমণ করিলেন। সে দদািম প্রহার যবন সহ্য করিতে পারিলেন না। রাজপত্রের বিশাল শরীরাঘাতে ওসমান ভূমিশায়ী হইলেন। রাজপত্র তাঁহার বক্ষোপরি আরোহণ করিয়া হসন্ত হইতে আসি উন্মোচন করিয়া লইলেন, এবং নিজ করস্থ প্রহরণ তাঁহার গলদেশে সস্থাপিত করিয়া কহিলেন, “কেমন, সমর-সাধ মিটিয়াছে তা ?” ওসমান কহিলেন, “জীবন থাকিতে নহে।” রাজপত্ৰ কহিলেন, “এখনই ত জীবন শেষ করিতে পারি ?” ওসমান কহিলেন, “কর; নচেৎ তোমার বধ্যাভিলাষী শত্র জীবিত থাকিবে।” জগৎ সিংহ কহিলেন, “থাকুক, রাজপত তাহাতে। ডরে না; তোমার জীবন শেষ করিতাম, কিন্তু তুমি আমার জীবন রক্ষা করিয়াছিলে, আমিও করিলাম।” এই বলিয়া দই চরণের সহিত ওসমানের দই হসন্ত বদ্ধ রাখিয়া, একে একে তাঁহার সকল অস্ত্র শরীর হইতে হরণ করিলেন। তখন তাঁহাকে মক্ত করিয়া কহিলেন, “এক্ষণে নিবিবাঘের গহে যাও, তুমি যবন হইয়া রাজপতের শরীরে পদাঘাত করিয়াছিলে, এই জন্য তোমার এ দশা করিলাম, নচেৎ রাজপত্যেরা এত কৃতঘ্য নহে যে, উপকারীর অঙ্গ সপশ করে।” ওসমান মক্ত হইলে আর একটি কথা না কহিয়া অৰ্শবারোহণপব্বক একেবারে দােগাভিমখে দ্ৰতগমনে চলিলেন। রাজপত্র বস্ত্র দ্বারা প্রাঙগণস্থ কম্প হইতে জল আহরণ করিয়া গাত্ৰ ধৌত করিলেন। গাত্র ধৌত করিয়া শালতর হইতে অশব মোচন পৰ্ব্ববর্তক আরোহণ করিলেন। আশাবারোহণ করিয়া দেখেন, আশেবর বলগায়, লতাগালমাদির দবারা একখানি লিপি বাঁধা রহিয়াছে। বলগা হইতে পত্ৰ মোচন করিয়া দেখিলেন যে, পত্ৰখানি মনষ্যের কেশ দবারা বন্ধ করা আছে, তাহার উপরিভাগে লেখা আছে যে, “এই পত্র দই দিবস মধ্যে খলিবেন না, যদি খালেন, তবে ইহার উদ্দেশ্য বিফল হইবে।” রাজপত্র ক্ষণেক চিন্তা করিয়া লেখকের অভিপ্রায়ানসারে কায্য করাই স্থির করিলেন। পত্ৰ কবচমধ্যে রাখিয়া অশোেব কশাঘাত করিয়া শিবিরাভিমখে চলিলেন। রাজপত্র শিবিরে উপনীত হইবার পরদিন দ্বিতীয় এক লিপি দতহস্তে পাইলেন। এই লিপি আয়েষার প্রেরিত। কিন্তু তদািবত্তান্ত পর-পরিচ্ছেদে বক্তব্য। উনবিংশ পরিচ্ছেদ ঃ আয়েষার পত্ৰ BBBBB BBBBD Bke S BB DBBD BBBBDkkLk uD BBDDkuD DBBSLDu BuDBLkDBDSDuD uBBS BuBuBLSS সিংহকে পত্র লিখিতেছেন। একখানা কাগজ লইয়া পত্র আরম্ভ করিলেন। প্রথমে লিখিলেন, “প্ৰাণাধিক,” তখনই “প্ৰাণাধিক” শব্দ কাটিয়া দিয়া লিখিলেন, “রাজকুমার,” “প্ৰাণাধিক” শব্দ কাটিয়া “রাজকুমার” লিখিতে আয়েষার অশ্রদ্ধারা বিগলিত হইয়া পত্রে পড়িল। আয়েষা আমনি সে পত্র ছিাড়িয়া ফেলিলেন। পনেকবার অন্য কাগজে আরম্ভ করিলেন ; কিন্তু কয়েক ছত্র লেখা হইতে না হইতে আবার পত্র আশ্রকেলঙ্কিত হইল। আয়েষা সে লিপিও বিনম্ৰাট করিলেন। অন্য বারে অশ্রাচিহ্নশন্য একখন্ড লিপি সমাধা করিলেন। সমাধা করিয়া একবার পড়িতে লাগিলেন, পড়িতে নয়নবাক্ষেপ দাম্পিটলোপ হইতে লাগিল। কোন মতে লিপি বন্ধ করিয়া দন্তহস্তে দিলেন। লিপি লইয়া দত রাজপত-শিবিরাভিমখে যাত্রা করিল। আয়েষা একাকিনী পালঙক-শয়নে রোদন করিতে লাগিলেন। জগৎ সিংহ পত্ৰ পাইয়া পড়িতে লাগিলেন। “রাজকুমার! আমি যে তোমার সহিত সাক্ষাৎ করি নাই, সে আত্মধৈয্যের প্রতি আবিশবাসিনী বলিয়া নহে। মনে করিও না আয়েষা অধীরা। ওসমান নিজ হৃদয়মধ্যে অগিন জবালিত করিয়াছে, কি জানি ܬ ܓ ܠ