পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७िकश ब्रा5नादब्नी খাঁ আজিম প্রভৃতি আগ্রা-দিল্লীর ওমরাহেরা লৎফ-উন্নিসার বিলক্ষণ বাধ্য ছিলেন। খাঁ আজিম যে জামাতার ইন্টসাধনে উদ্যক্ত হইবেন, ইহা বিচিত্র নহে। তিনি এবং আর আর ওমরাহগণ সম্মত হইলেন। খাঁ আজিম লৎফ-উন্নিসাকে কহিলেন, “মনে কর, যদি কোন অসহযোগে আমরা কৃতকাৰ্য্য না হই, তবে তোমার আমার রক্ষা নাই। অতএব প্রাণ বাঁচাইবার একটা পথ রাখা ভাল।” লৎফ-উন্নিসা কহিলেন, “আপনার কি পরামর্শ ?” খাঁ আজিম কহিলেন, “উড়িষ্যা ভিন্ন অন্য আশ্রয় নাই। কেবল সেই সন্থানে মোগলের শাসন তত প্রখর নহে। উড়িষ্যায় সৈন্য আমাদিগের হস্তগত থাকা আবশ্যক। তোমার ভ্রাতা উড়িষ্যায় মনসবদার আছেন ; আমি কল্য প্রচার করিব, তিনি যন্ধে আহত হইয়াছেন । তুমি তাঁহাকে দেখিবার ছলে কল্যই উড়িষ্যান্য যাত্রা কর । তথায় যৎকত্তব্য, তাহা সাধন করিয়া শীঘ্ৰ প্ৰত্যাগমন কর।” লৎফ-উন্নিসা এ পরামশে সম্মত হইলেন। তিনি উড়িষ্যায় আসিয়া যখন প্রত্যাগমন করিতেছিলেন, তখন তাঁহার সহিত পাঠক মহাশয়ের সাক্ষাৎ হইয়াছে। দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ঃ পথান্তরে “যে মাটিতে পাডে লোকে উঠে তাই ধ’রে। বাবেক নিবাশ হ যে কে কোথায় মারে ৷ তুফানে পতিত কিন্তু ছাড়িব না হল। আজিকে বিফলা হলো, হতে পারে কাল ৷” নবীন তপস্বিনী যে দিন নবকুমারকে বিদায় করিয়া মতিবিবি বা লৎফ-উন্নিসা বদ্ধমানাভিমখে যাত্রা করিলেন, সে দিন তিনি বন্ধমান পৰ্য্যন্ত যাইতে পাবিলেন না। অন্য চটিতে রহিলেন । সন্ধ্যার সময়ে পোষমনের সহিত একত্র বসিয়া কথোপকথন হইতেছিল, এমন কালে মতি সহসা পেষমনকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “পেষমন! আমার স্বামীকে কেমন দেখিলে ?” পেষমন কিছ, বিস্মিত হইয়া কহিল, “কেমন আর দেখিব ? “ মতি কহিলেন, “সন্দির পরিষ বটে কি না ?” নবকুমারের প্রতি পোষমনের বিশেষ বিরাগ জন্মিয়ছিল। যে অলঙ্কারগলি মতি কপালকুণডলাকে দিয়াছিলেন, তৎপ্রতি পোষমনের বিশেষ লোভ ছিল; মনে মনে ভরসা ছিল, এক দিন চাহিয়া লইবেন। সেই আশা নিৰ্ম্মমল হইয়াছিল, সতরাং কপালকুণডাল এবং তাঁহার স্বামী, উভয়ের প্রতি তাঁহার দারুণ বিরক্তি। অতএব সর্বামিনীর প্রশেন উত্তর করিলেন, “দরিদ্র ব্রাহ্মণ আবার সন্দের কুৎসিত কি ?” সহচরীর মনের ভােব বঝিয়া মাতি হাস্য করিয়া কহিলেন, “দরিদ্র ব্রাহ্মণ যদি ওমরাহ হয, তবে সন্দর পরিষ হইবে কি না ?” পে। সে আবার কি ? মতি । কেন, তুমি জান না যে, বেগম স্বীকার করিয়াছেন যে, খস্র বাদশাহ ২ হলে আমার স্বামী ওমরাহ হইবে ? পে। তা ত জানি। কিন্তু তোমার পািকব স্বামী ওমরাহ হইবেন কেন ? মতি। তবে আমার আর কোন স্বামী আছে ? পে। যিনি নািতন হইবেন। মতি ঈষৎ হাসিয়া কহিলেন, “আমার ন্যায় সতীর দাই স্বামী, বড় অন্যায় কথা—ও কে যাইতেছে ?” যাহাকে দেখিয়া মতি কহিলেন, “ও কে যাইতেছে ? "" পেষামন তাহাকে চিনিল ; সে আগ্রানিবাসী, খাঁ আজিমের আশ্রিত ব্যক্তি। উভয়ে ব্যস্ত হইলেন। পেষামন তাহাকে ডাকিলেন। সে ব্যক্তি আসিয়া লৎফ-উন্নিসাকে অভিবাদনপৰ্ব্বক একখানি পত্র দান করিল ; কহিল, S V8