পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बध्दिकत्र ब्रष्नाबव्ी চন্দ্ৰ নীরবে শেবত মেঘখণড-সকল উত্তীণ হইতেছে ; পথিবীতলে বন্য ব্যক্ষ, লতা-সকল তদ্রপ নীরবে শীতল চন্দ্ৰকরে বিশ্রাম করিতেছে, নীরবে বক্ষেপত্র-সকল সে কিরণে প্ৰতিঘাত করিতেছে। নীরবে লতাগলমমধ্যে শেবত কুসমদল বিকশিত হইয়া রহিয়াছে। পশ, পক্ষী নীরব। কেবল কদাচিৎ মাত্ৰ ভগন বিশ্রাম কোন পক্ষীর পক্ষসপেন্দনশবদ ; কোথাও কাচিৎ শক্ষিকপত্রপাতশব্দ ; কোথাও তলস্থ শত্ৰকপত্রমধ্যে উরগজাতীয় জীবের ক্কচিৎ গতিজনিত শব্দ ; কচিং অতি দবেস্থ কুক্কােররব। এমত নহে যে, একেবারে বায় বহিতেছিল না ; মধ্যমাসের দেহস্নিগ্ৰধকার বায়, অতি মন্দ ; একান্ত নিঃশব্দ বায় মাত্র ; তাহাতে কেবলমাত্র বক্ষের সব্বােগ্রভােগারাঢ় পত্রগলি হেলিতেছিল ; কেবলমাত্র আভুমিপ্রণত শ্যামা লতা দলিতেছিল; কেবলমাত্র নীলাম্বরসঞ্চারী ক্ষদ্র শোবতাম্বাদখন্ডগলি ধীরে ধীরে চলিতেছিল। কেবলমাত্র তদ্রপ বায় সংসগো সম্পভুক্ত পািব্ব সখের অস্পষ্ট সমতি হৃদয়ে অলপ জাগরিত হইতেছিল। কপালকুণডলার সেইরােপ পৰ্ব্ববাসমতি জাগরিত হইতেছিল; বালিয়াড়ির শিখরে যে সাগরবারিবিন্দী,সংস্পলেট মলযানিল তাঁহার লক্ষ-বালকমন্ডলমধ্যে ক্ৰীড়া করিত, তাহা মনে পড়িল ; অমল নীলানন্ত গগনপ্রতি চাহিয়া দেখিলেন ; সেই অমল নীলানন্ত গগনরপেী সমদ্র মনে পড়িল। কপালকুন্ডলা পৰ্ব্ববাসমতি সমালোচনায় অন্যামনা হইয়া চলিলেন। অন্যমনে যাইতে যাইতে কোথায় কি উদ্দেশ্যে যাইতেছিলেন, কপালকুণডল৷ তােহা ভাবিলেন না। যে পথে যাইতেছিলেন, তাহা ক্লামে অগম্য হইযা আসিল ; বন নিবিড়াতর হইল ; মাথাব উপর বক্ষশাখাবিন্যাসে চন্দ্রালোক প্রায় একেবারে রুদ্ধ হইয়া আসিল ; কুমে আর পথ দেখা যায় না। পথের অলক্ষ্যতায় প্রথমে কপালকুণডালা চিন্তামগনতা হইতে উত্থিত হইলেন। ইতস্ততঃ দল্টিপাত করিয়া দেখিলেন, এই নিবিড় বনমধ্যে আলো জীবলিতেছে। লৎফ-উন্নিসাও পাঝেব? এই আলো দেখিয়াছিলেন। কপালকৃশন্ডলা পৰ্ব্বব্যাভ্যাসফলে এ সকল সময়ে ভয়হীনা, অথচ কৌতহািলময়ী। ধীরে ধীরে সেই দীপজ্যোতির অভিমখে গেলেন। দেখিলেন, যথায় আলো জবুলিতেছে, তথাযি কেহ নাই। কিন্তু তাহার অনতিদারে বননিবিড়ত। হেতু দরে হইতে অদশ্য BBD DeuB DBBSBDB BBDD SS BSDBDL BBDBBDS BBBe DB BD BDBSBBS DSBD BBBBS DBBBD একটিমাত্র ঘর। সেই ঘর হইতে মনকষ্যকথোপকথনশবদ নিগতি হইতেছিল। কপালকুণডাল! নিঃশবদ পদক্ষেপে গহসন্নিধানে গেলেন। গাহের নিকটবত্তীর্ণ হইবামাত্র বোধ হইল, দই জন মনষ্যে সাবধানে কথোপকথন করিতেছে। প্রথমে কথোপকথন কিছই বঝিতে পারিলেন না। পরে কমে চেস্টাজনিত কণের তীক্ষােতা জন্মিলে নিম্নলিখিত মত কথা শনিতে পাইলেন । এক জন কহিতেছে, “ আমার অভীপ্স্ট মাতু, ইহাতে তোমার অভিমত না হয়, আমি তোমায় সাহায্য করিব না ; তুমিও আমার সহায়তা করিও না।” অপর ব্যক্তি কহিল, “আমিও মঙ্গলাকাঙক্ষী নাহি ; কিন্তু যাবতজীবন জন্য ইহার নিব্বাসন হয়, তাহাতে আমি সম্মত আছি। কিন্তু হত্যার কোন উদ্যোগ আমা হইতে হইবে না; বরং তাহার প্রতিকােলত্যাচরণ করিব।” প্রথমালাপকারী কহিল, “তুমি অতি অবোধ, অজ্ঞান। তোমায় কিছ: জ্ঞানদান করিতেছি । মনঃসংযোগ করিয়া শ্রবণ করা। অতি গঢ় বিত্তান্ত বলিব ; চতুদিকে একবার দেখিয়া আইস, যেন মনষ্যের্শবাস শনিতে পাইতেছি।” বাস্তবিক কপালকুণডালা কথোপকথন উত্তমরপে শনিবার জন্য কক্ষপ্রাচীরের অতি নিকটে আসিয়া দড়িাইয়া ছিলেন। এবং তাঁহার আগ্রহাতিশয় ও শওকার কারণে ঘন ...ন গর, শবাস বাহিতেছিল। সমভিব্যাহারীর কথায় গহমধ্যস্থ এক ব্যক্তি বাহিরে আসিলেন, এবং আসিয়াই কপালকুণডলাকে দেখিতে পাইলেন। কপালকুণডলও পরিস্কার চন্দ্রালোকে আগন্তুক পরিষের অবয়ব সসপন্ট দেখিলেন। দেখিয়া ভীত হইবেন, কি প্ৰফল্লিতা হইরেন, তাহ স্থির করিতে পারিলেন না। দেখিলেন, আগন্তুক ব্রাহ্মণবেশী; সামান্য ধতি পরা; গাত্র উত্তরীয়ে উত্তমরপে আচ্ছাদিত। ব্রাহ্মণকুমার অতি কোমল বয়স্ক ; মখমন্ডলে বয়শিচহ্ন কিছমাত্ৰ নাই। মাখখানি পরম সন্দর, সন্দরী রমণীমাখের ন্যায় সন্দের, কিন্তু রমণীদল্লভ তেজোগৰ্ব্ব বিশিস্ট। তাঁহার কেশগলি সচরাচর পরিষদিগের কেশের ন্যায় ক্ষৌরকর্য্যাবশেষাত্মক মাত্র নহে, সত্ৰীলোকদিগের ন্যায় অচ্ছিন্নাবস্থায় উত্তরীয় প্রচ্ছন্ন করিয়া পািঠদেশে, অংসে, বাহদেশে, কদাচিৎ বক্ষে সংসপিত Տ Գ Ng