পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বণ্ডিকম রচনাবলী পশপতির আনন্দসাগর উছলিয়া উঠিল। উভয়ে অশ্রাপণ লোচনে উভয়ের মািখপ্রতি চাহিয়া উপবেশন করিয়া রহিলেন। সহসা মনোরমা পক্ষিণীর ন্যায় গাত্ৰোথান করিয়া চলিয়া (66 ।। দশম পরিচ্ছেদ ঃ ফাঁদ পকেবই কথিত হইয়াছে যে, বাপনীতীর হইতে হেমচন্দ্ৰ মনোরমাব অন্যবিত্তীর্ণ হইয়া যবনসন্ধানে আসিতেছিলেন। মনোরমা ধৰ্ম্মমর্বাধিকাবের গহি কিছর দরে থাকিতে হেমচন্দ্রকে কহিলেন, ‘সম্মখে এই আটালিকা দেখিতেছ?” হেম । দেখিতেছি । মনো। ঐখানে যবন প্রবেশ করিয়াছে। হেম । কেন ? এ প্রশেনর উত্তর না দিয়া মনোরমা কহিলেন, “তুমি এইখানে গাছের আড়ালে থােক। যবনকে এই সন্থান দিয়া যাইতে হইবে ?” হেম । তুমি কোথায় যাইবে ? মনো। আমিও এই বাড়ীতে যাইব । হেমচন্দ্র স্বীকৃত হইলেন। মনোরমার আচরণ দেখিয়া কিছ বিস্মিত হইলেন। তাহার পরামর্শানসারে পথিপাশে বর্ণ বাক্ষান্তরালে লক্কায়িত হইয়া রহিলেন। মনোরমা গপতপথে অলক্ষ্যে গহমধ্যে প্রবেশ করিলেন। এই সময়ে শান্তশীল পশপতির গহে আসিতেছিল। সে দেখিল যে, এক ব্যক্তি বাক্ষান্তরালে লক্কায়িত হইল। শান্তশীল সন্দেহপ্রযক্ত সেই বােক্ষতলে গেল। তথায় হেমচন্দ্রকে দেখিয়া প্রথমে চৌর অনমানে কহিল, “কে তুমি ? এখানে কি করিতেছ?” পরে তৎক্ষণে হেমচন্দ্রের বহম"ল্যের অলঙকারশোভিত যোদধবেশ দেখিয়া কহিল, “আপনি কে ?” হেমচন্দ্ৰ কহিলেন, “আমি যে হই না কেন ?” শা। আপনি এখানে কি করিতেছেন ? হেম । আমি এখানে যবনানসন্ধান করিতেছি। শান্তশীল চমকিত হইয়া কহিল, ‘যবন কোথায় - “ হে। এই গহমধ্যে প্রবেশ করিয়াছে। শাণতশীল ভীত ব্যক্তির ন্যান্য সবরে কহিল, “এ গহে কেন ?” 4श् । उछाश्ा अार्गभ ७ान् ि•ा । শা। এ গহি কাহার ? 6श्भ । डाश्ा ७ान्मि ना । শা। তবে আপনি কি প্রকারে জানিলেন যে, এই গহে। যবন প্রবেশ করিয়াছে ? হেম । তা তোমার শনিয়া কি হইবে ? শ। এই গােহ আমার। যদি যবন ইহাতে প্রবেশ করিয়া থাকে, তবে কোন অনিষটকামনা করিয়া গিসাছে সন্দেহ নাই। আপনি যোদ্ধা এবং যবনদ্বেষী দেখিতেছি। যদি ইচ্ছা থাকে, তবে আমার সঙ্গে আসন—উভয়ে চোরকে ধতি করিব। হেমচন্দ্র সম্মত হইয়া শান্তশীলের সঙ্গে চলিলেন। শান্তশীল সিংহদ্বার দিয়া পশি পতির গহে হেমচন্দ্ৰকে লইয়া প্রবেশ করিলেন এবং এক কক্ষমধ্যে প্রবেশ করিয়া কস্মি লেন, “এই গহমধ্যে আমার সবণ রত্নাদি সকল আছে, আপনি ইহার প্রহরায় অবস্থিতি করন। আমি ততক্ষণ সন্ধান করিয়া আসি, কোন স্থানে যবন লক্কায়িত অাছে।” এই কথা বলিয়াই শান্তশীল সেই কক্ষ হইতে নিমন্ত্রকান্ত হইলেন । এবং হেশচন্দ্র কোন উত্তর দিতে না দিতেই বাহির দিকে কক্ষদ্বার রন্ধ করিলেন। হেমচন্দ্র ফাঁদে পড়িয়া বন্দী হইয়া রহিলেন । NR NR O