পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, মণিালিনী শরীর পবিত্র করিয়া না দিত। ইহাতে যে দিগিবজয় বড়ই দঃখিত ছিলেন, এমন নহে। বরং একদিন কোন দৈবকারণবশতঃ গিরিজায়া ঝাঁটা মারিতে ভুলিয়াছিলেন, ইহাতে দিগিবজয় বিষন্ন বদনে গিরিজায়াকে গিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “গিরি, আজ তুমি আমার উপর রাগ কবিয়াছ না কি ?” বস্তুত ইহারা যাবতজীবন পরমসখে কালান্তিপাত করিয়াছিল। হেমচন্দ্রকে নািতন রাজ্যে স্থাপন করিয়া মাধবাচায্য কামরাপে গমন করিলেন। সেই সময়ে হেমচন্দ্র দক্ষিণ হইতে মসলমানের প্রতিকলতা করিতে লাগিলেন। বখতিয়ার খিলিজি পরাভূত হইয়া কামরাপ হইতে দারীভূত হইলেন। এবং প্রত্যাগমনকালে অপমানে ও কম্পেট তাঁহার প্রাণবিয়োগ হইল। কিন্তু সে সকল ঘটনার বর্ণনা করা এ গ্রন্থের উদ্দেশ্য নহে। রত্নময়ী এক সম্পন্ন পাটনীকে বিবাহ করিয়া হেমচন্দ্রের নাতন রাজ্যে গিয়া বাস করিল। তথায় মণিালিনীর অনগ্রহে তাহার স্বামীর বিশেষ সৌষ্ঠব হইল। গিরিজায়া ও রত্নময়ী চিরকাল “সই” “সই” রহিল। মণিালিনী মাধবাচায্যের দবারা হৃষীকেশকে অননুরোধ করাইয়া মণিমালিনীকে আপনি রাজধানীতে আনাইলেন। মণিমালিনী রাজপরীমধ্যে মণিালিনীর সখীর সবরপ বাস করিতে লাগিলেন। তাঁহার স্বামী রাজবাটীর পৌরোহিত্যে নিযক্ত হইলেন। শান্তশীল যখন দেখিল যে, হিন্দির আর রাজ্য পাইবার সম্ভাবনা নাই, তখন সে আপন চতুরতা ও কমদক্ষতা দেখাইয়া যবনদিগের প্রিয়পাত্ৰ হইবার চেষটা করিতে লাগিল। হিন্দদিগের প্রতি অত্যাচার ও বিশবাসঘাতকতার দবারা শীঘ্রই সে মনসকাম সিদ্ধ করিয়া অভীঅট রাজকায্যে নিযক্ত হইল। RGk N