পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/২৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিষবক্ষ ܕܚ ܒ- ܫܩܝ -■ থেকে ?” পরে তাহাকে ঘরের ভিতর টানিয়া আনিয়া একাষার এক দিকে আবার আর এক দিকে আলো ধরিয়া দেখিয়া, সেইরােপ স্বরে বলিলেন, “তুমি কাদের পেত্নী গো ?” শেষে কিছ. স্থির করিতে না পারিয়া বলিলেন, “পারলেম না বাপ ! আজি ফিরে যাও, অমাবস্যায় লাচি পাঁঠা দিয়ে পজো দেব—আজি একট, কেবল ব্রান্ডি খেয়ে যাও।” এই বলিয়া মদ্যপ সত্ৰীলোকটিকে বৈঠকখানায় বসাইয়া, মদের গেলাস তাহার হাতে দিল । সত্ৰীলোকটি তাহা গ্ৰহণ না করিয়া নামাইয়া রাখিল । তখন মাতাল আলোটা সত্ৰীলোকের মাখের কাছে লইয়া গেল। এদিক ওদিক চারিদিক আলোটা ফিরাইয়া ফিরাইয়া গম্ভীরভাবে তাহকে নিরীক্ষণ করিয়া, শেষ হঠাৎ অ্যালোটা ফেলিয়া দিয়া গান ধরিল, “তুমি কে বট হে, তোমায় চেন চেন করি—কোথাও দেখেছি হে।“ তখন সে সত্ৰীলোক ধরা পড়িয়াছি ভাবিয়া বলিল, “আমি হীরা। “ SLLLLLL S LLLLL LLLLL LLLL SS D DSBBB SH BBD BBBBD DBBBB DBDS DB আবার ভূমিল্ঠ হইয়া হীরাকে প্ৰণাম করিয়া গলাস-হস্তে সত্যব করিতে আরম্ভ করিল। — “নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ । যা দেবী বটব্যুক্ষেষ, ছায়ার, পেণ সংস্থিতা ৷ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ । যা দেবী দত্তগহেষ, হীরার পেণ সংস্থিত৷ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ । যা দেবী পাকুরঘাটেষ চুপড়িহস্তেন সংস্থিতা ৷ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ । যা দেবী ঘরদ্বাবেষ, ঝাঁটাহ সেতন সংস্থিতা ৷ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ । যা দেবী মম গনুহেষ, পেত্নীর পেণ সংস্থিতা ৷ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ । “তার পর—মালিনী মাসি !—কি মনে ক’রে ?” হীরা ইতিপকেবা বৈষ্ণবীর সঙ্গে সঙ্গে আসিয়া দিনমানে জানিয়া গিয়াছিল যে, হরিদাসী বৈষ্ণবী ও দেবেন্দ্র বাবা একই ব্যক্তি। কিন্তু কেন দেবেন্দ্র বৈষ্ণবী-বেশে দত্তগহে যাতায়াত করিতেছে ? এ কথা জানা সহজ নহে। হীরা মনে মনে অত্যন্ত দঃসাহসিক সত্যকলাপ করিয়া এই সময়ে সম্ভবয়ং দেবেন্দ্রের গহে আসিল । সে গোপনে উদ্যানমধ্যে প্রবেশ করিয়া জানেলার কাছে দাঁড়াইয়া দেবেন্দ্রের কথাবাত্তা শনিয়াছিল। সরোন্দ্রের সঙ্গে দেবেন্দ্রের কথোপকথন অন্তরাল হইতে শনিয়া হীরা সিদ্ধমানসকাম হইয়া ফিরিয়া যাইতেছিল, যাইবার সময় অসাবধানে খড়খাঁড়ি ফেলিয়া দিয়া ছিল—-ইহাতেই গোল বাধিল । এখন হীরা পলাইবার জন্য ব্যস্ত। দেবেন্দ্র তস্থার হাতে আবার মদের গেলাস দিল। হীরা বলিল, “আপনি খান।” বলিবামাত্র দেবেন্দ্র তাহা গলাধঃকরণ করিলেন। সেই গেলাস দেবেন্দ্রের পািণ মাত্রা হইল—দই একবার ঢলিয়া— দেবেন্দ্র শইয়া পড়িলেন। হীরা তখন উঠিয়া পলাইল । দেবেন্দ্র তখন ঝিমকিনি মারিয়া গাইতে লাগিল;- দেখতে শািনতে কালো কোলো, পিলে অগ্রমাসে মোলো, আমি তখন খানায় পোড়ে।” সে রাত্রে হীরা আর দত্তবাড়ীতে গেল না, আপন গহে গিয়া শয়ন করিয়া রহিল। পরদিন প্রাতে গিয়া সৰ্য্যেমখীর নিকট দেবেন্দ্রের সংবাদ দিল। দেবেন্দ্র কুন্দের জন্য বৈষ্ণবী সাজিয়া যাতায়াত করে। কুন্দ যে নিন্দোষী, তাহা হীরাও বলিল না, সােয্যমখনীও বঝিলেন না। হীরা কেন সে কথা লকাইল—পাঠক তাহা ক্ৰমে বঝিতে পারিবেন। সােয্যমখনী দেখিয়াছিলেন, কুন্দ বৈষ্ণবীর সঙ্গে চুপি চুপি কথা কহিতেছে—সতরাং সােয্যমখনী তাহাকে দোষী মনে করিলেন। হীরার কথা শনিয়া সােয্যমখনীর নীলোৎপললোচন রাঙ্গা হইয়া উঠিল। তাঁহার কপালে শিরা રે તે ગ