পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७का ब्रा5नाबब्ली কমল হার দিবে, গহিণীও কিছ দিবেন— বাবকেই কি ছাড়িব ? আর যদি এদিকে কুন্দকে দেবেন্দ্র বাবার হাতে দিই, তা হলে অনেক টাকা নগদ পাই। কিন্তু সে ত প্ৰাণ থাকিতে পারিব না। আচ্ছা, দেবেন্দ্র কুন্দকে কি এত সন্দিরী দেখেছে ? আমরা গতির খাটিয়ে খাই; আমরা যদি ভাল খাই ভাল পারি, পটের বিবির মত ঘরে তোলা থাকি, তা হলে আমরাও অমন হতে পারি। আর এটা মিনমিনে ঘ্যান ঘেনে, প্যান পেনে, সে দেবেন্দ্র বাবর মৰ্ম্ম বঝিবে কি ? পকি নইলে পদ্মফল ফটে না, আর কুন্দ নইলে দেবেন্দ্র বাবর মনোহরণ হয় না! তা যার কপালে যা, আমি রাগ করি কেন ? রাগ করি কেন ? হাঃ কপাল! আর মনকে চোখ ঠারলে কি হবে ? ভালবাসার কথা শানিলে হাসিতাম। বলিতাম, ও সব মাখের কথা, লোকে একটা প্রবাদ আছে মাত্র। এখন আর তা হাসিব না। মনে করিয়াছিলাম, যে ভালবাসে, সে বাসক, আমি ত কখনও কাহাকে ভালবাসিব না। ঠাকুর বল্লে, রহ, তোরে মজা দেখাচ্ছি। শেষে বেগারের দৌলতে গঙ্গাস্নান। পরের চোর ধরতে গিয়ে আপনার প্রাণটা চুরি গেল! কি মািখখানি! কি গড়ন! কি গলা ! অন্য মানষের কি এমন আছে ? আবার মিন্সে আমায় বলে, কুন্দকে এনে দে! আর বলতে লোক পেলেন না! মারি মিন্সের নাকে এক কিল। আহা, তার নাকে কিল মেরেও সখি। দীর হোক ও সব কথা যাক। ও পথেও ধমের কাঁটা। এ জন্মের সখেদঃখ অনেক কাল ঠাকুরকে দিয়াছি। তাই বলিয়া কুন্দকে দেবেন্দ্রের হাতে দিতে পারিব না। সে কথা মনে হলেও গা জবালা করে ; বরং কুন্দ যাহাতে কখনও তার হাতে না পড়ে, তাই করিব। কি করিলে তাহা হয় ? কুন্দ যেখানে ছিল, সেইখানে থাকিলেই তার হাতছাড়া। সে বৈষ্ণবীই সাজক, আর ব্যাসদেবই সাজক, সে বাড়ীর ভিতর দন্তসফট হইবে না। তবে সেইখানে কুন্দকে ফিরিয়া রাখিয়া আসাই মত। কিন্তু কুন্দ যাইবে না—আর সে বাড়ীমাখো হইবার মত নাই। কিন্তু যদি সবাই মিলে “বাপ বাছা” বলে লইয়া যায়, তবে যাইতেও পারে। আর একটা আমার মনের কথা আছে, ঈশবর তাহা কি করবেন ? সােয্যমখীর থোঁতা মািখ ভোঁতা হবে ? দেবতা করিলে হতেও পারে। আচ্ছা, সৰ্য্যেমখনীর উপর আমার এত রাগই বা কেন ? সে ত কখন আমার কিছ মন্দ করে নাই; বরং ভালোই বাসে, ভালই করে। তবে রাগ কেন ? তা কি হীরা জানে না ? হীরা না জানে কি ? কেন, বলবো ? সােয্যম, খনী সখী, আমি দঃখী, এই জন্য আমার রাগ। সে বড়, আমি ছোট,-সে। মানিব, আমি বাঁদনী। সতরাং তার উপরে আমার বড় রাগ। যদি বল, ঈশবর তাকে বড় করিয়াছেন, তার দোষ কি ? আমি তার হিংসা করি কেন ? তাতে আমি বলি, ঈশবর আমাকে হিংসকে করেছেন, আমারই বা দোষ কি ? তা, আমি খানখা তার মন্দ করিতে চাই না, কিন্তু যদি তার মন্দ করিলে আমার ভাল হয়, তবে না করি কেন ? আপনার ভাল কে না করে ? তা, হিসাব করিয়া দেখি, কিসে কি হয়। এখন, আমার হলো কিছর টাকার দরকার, আর দাসীপনা পারি না। টাকা আসিবে কোথা থেকে ? দত্তবাড়ী বই আর টাকা কোথা ? তা দত্তবাড়ীর টাকা নেবার ফিকির এই -সবাই জানে যে, কুন্দের উপর নগেন্দ্র বাবার চোেখ পড়েছে—বাব এখন । উপাসক। লোক, মনে করিলেই পারে। পারে না কেবল সােয্যমখীর জন্য। যদি দ'জনে একটা চটচটি হয, তা হলে আর বড় সােয্যমখীর খাতির করবে না। এখন যাতে একটি চটচটি হয়, সেইটে আমায় করিতে হবে। “তা হলে বােব ষোড়শোপচারে কুন্দেব পজা আরম্ভ করিবেন। এখন, কুন্দ হলো বোকা মেয়ে, আমি হলেম সেয়ানা মেয়ে ; আমি কুন্দকে শীঘ্ৰ বশ করিতে পারিব। এরই মধ্যে তাহার অনেক যোগাড় হয়ে রয়েছে। মনে করলে, কুন্দকে যা ইচ্ছা করি, তাই করাতে পারি। আর যদি বাবা কুন্দের পজা আরম্ভ করেন, তবে তিনি হবেন কুন্দের আজ্ঞাকারী। কুন্দকে করবো। আমার আজ্ঞাকারী। সতরাং পাজার ছোলাটা কলাটা আমিও পাব। যদি আর দাসীপনা করিতে না হয়, এমনটা হয়, তা হলেই আমার হলো। দেখি, দােগা কি করেন। নগেন্দ্রকে কুন্দনন্দিনী দিব। কিন্তু হঠাৎ না। আগে কিছ দিন লকিয়ে রেখে দেখি। প্রেমের পাক বিচ্ছেদে । বিচ্ছেদে বাবর ভালবাসাটা পেকে আসবে। সেই সময়ে কুন্দকে বাহির করিয়া দিব। তাতে যদি সােয্যমখনীর কপাল না ভাঙ্গে. তবে তার বড় জোর কপাল। তত দিন আমি বসে বসে কুন্দকে উঠ বাস করান মকাশ করাই। আগে আয়ীকে কামারঘাটা পাঠাইয়া দিই, নহিলে কুন্দকে আর লকিয়ে রাখা যায় না।” এই রােপ কল্পনা করিয়া পাপিষ্পাঠা। হীরা সেইরােপ আচরণে প্রবত্ত হইল। ছল করিয়া আয়ীকে રે છે ૭