পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बर्डिंकभष्न्म दिो\ाक्षान তাঁহার জীবন যে বাংলা সাহিত্যের সেবায়ই উৎসগীকৃত। তাঁহার কয়েকখানি উপন্যাস ও অন্যবিধ রচনা-গ্রন্থ স সংস্কৃত ও পরিবদ্ধিত করিয়া। ১৮৯১-৯৩ সনের মধ্যে প্রকাশিত করিলেন। উপন্যাসগলির মধ্যে ছিল ইন্দিরা (৫ম সংস্করণ), রাধারাণী (৪র্থ সং) এবং রাজসিংহ (৪র্থ সং)। প্রতিটি সংস্করণে বঙ্কিমচন্দ্র তাঁহার পস্তকগলির বিস্তর পরিবত্তন করিতেন, প্রথম ও শেষ সংস্করণের মধ্যে বহ গরমিল দেখা যাইত। ও সৌষ্ঠব বন্ধিই ইহার প্রধানতম কারণ। বিভিন্ন সময়ে কোন কোন বিষয়ে তাঁহার মত য়াছে অথবা সাপস্ট রােপ ধারণ করিয়াছে। কাজেই তদনন্যায়ী তাঁহাকে পাস্তকসমহের অংশ বিশেষ সংশোধন ও পরিবজন করিতে হইয়াছে। ১৮৯২ সনে টেকচাঁদ ঠাকুরের যে গ্রন্থাবলী ‘লপত-রত্নোদ্ধার’ নামে প্রকাশিত হয়, বঙ্কিমচন্দ্র তাহার ভূমিকা লিখিয়া দেন। তিনি পর বৎসর “সঞ্জীবনী-সন্ধা’ নাম দিয়া সঞ্জীবচন্দ্রের রচনাসঙ্কলন সঞ্জীবচন্দ্রের জীবনী সহ প্রকাশ করেন। তাঁহার “সহজ রচনা শিক্ষা’ ও ‘সহজ ইংরেজী শিক্ষা” এই সময়ের মধ্যে প্রকাশিত হইয়া থাকিবে। সেন্ট্রাল টেকসেট বক কমিটির ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্য এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সাব-কমিটিতে ১৮৯৪ সনে বণ্ডিকমচন্দ্ৰ সদস্য ছিলেন। তিনি ১৮৯১, ৩১শে আগস্ট প্রতিস্ঠিত ‘সোসাইটি ফর হায়ার ট্রেনিং অফ ইয়ং মেন” (পরে, ইউনিভারসিটি ইনস্টিটিউট) সভার একজন উৎসাহী সভ্য ছিলেন। ইহার সাহিত্যবিভাগের তিনি ছিলেন সভাপতি। সভাপতি রপে বেদ সম্পবন্ধে বঙিকমচন্দ্রের দাইটি সারগভাবক্তৃতার কথা ইতিপকেব। উল্লেখ করিয়াছি। ক্যালকাটা ইউনিভারসিটি ম্যাগাজিনের মাচ্চ ও এপ্রিল ১৮৯৪—এই দাই সংখ্যায়। এই দাইটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। বঙিকমচন্দ্রের সর্বাস্থ্য শেষ দিকে মোটেই ভাল ছিল না। ১৮৯৪ মাচ্চ মাসের মাঝামাঝি তাঁহার বহরমাত্র রোগ অসম্ভবরকম বন্ধি পায়। ৮ই এপ্রিল (২৬ চৈত্র ১৩oo) অপরাহে তাঁহার প্রাণবায় বহি গঠিত হয়। বঙিকমচন্দ্রের সন্ত্রী রাজলক্ষয়ী দেবী তাঁহার মােত্যুর পরেও দীঘকাল জীবিত ছিলেন। তাঁহার পত্রসন্তান হয় নাই; তিনটি মাত্র কন্যা-শরৎকুমারী, নীলাব্জকুমারী ও উৎপলকুমারী। মত্যুর পরে বঙিকম-প্ৰয়াণে বাংলা দেশে গভীর শোকোচ্ছবাস উপস্থিত হয়। বিভিন্ন শোকসভায় তাঁহার কীত্তি-কথার আলোচনা হইয়াছিল। কবিবর হেমচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় দীঘ কবিতায় বঙিকমের জন্য মম বেদনা প্রকাশ করেন। সর্বভাব-কবি গোবিন্দচন্দ্ৰ দাসও বঙিকমচন্দ্রের রসসাহিত্যের নায়ক-নায়িকা ও মনন-সাহিত্যের বিভিন্ন বিষয়বস্তু লইয়া একটি সাদীঘ শোকগাথা রচনা করিয়াছিলেন। তাঁহার কিয়দংশ মাত্র এখানে উদ্ধত হইল : “তুমি সাজাইলে ভাষা নানা আভরণে, কত রঙগ কত রস কমলাকান্তের বাঁশ, লিখিলে বহস্য কত বিজ্ঞানে দশানে। বা, ঝাইলে যোগভত্তি কৃষ্ণের অসীম শক্তি, দেখাইলে আদশ নব দেবনারায়ণে। ঝেড়ে পাছে ধলোমাটি হিন্দরে আসন খাঁটি বঝাইলে প্ৰেমধৰ্ম্মে দেশবাসিগণে। তোমার স্বাধীন মত শরতের রৌদ্রবৎ ধবনিতেছে ভারতের গগনে গগনে। প্ৰতিভার দীপিত রবি বাঙগালীর মহাকবি কেন অসন্ত যাও আজ অগসত্য-গমনে, ঢালিয়া অাঁধার ঘন ভাষা-ফলবনে ?” বঙিকমচন্দ্রের মতুর দাবাদশ বর্ষের মধ্যেই বাংলা দেশে একটি অভিনব জাতীয় আভু্যুত্থান ঘটে সবদেশী আন্দোলনের মধ্যে। মনীষিগণ একবাক্যে ইহার মলে বঙ্কিমচন্দ্রের ভাবধারা ও অনপ্রেরণার অস্তিত্ব স্বীকার করিয়াছেন। অরবিন্দ ঘোষ (পরে শ্ৰীঅরবিন্দ) ১৯০৭ সনের ১৬ই এপ্রিল তারিখে বঙিকমচন্দ্রের সত্যিকার দানের কথা আলোচনা করিয়া ইংরেজীতে একটি নিবন্ধ Gi(air VIICS foir faifaRITC2r : "The earlier Bankim was only a poet and stylist-the latter Bankim was a seer and nation-builder" State, eroR 1333 বণ্ডিকম একজন কবি ও শিলপী—শেষ দিককার বণ্ডিকম ঋষি ও জাতি-সংগঠনকারী। yt SG