পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७दकत्र झष्न्बव्ी দেখিতে পাইল না। লতামন্ডপ মধ্যে দন্টিপাত করিয়া দেখিল যে, তাহার প্রস্তরনিমিত স্নিগধ হম্পেম্যাপরি কেহ শয়ন করিয়া রহিয়াছে, কুন্দনন্দিনীর বোধ হইল, সেই নগেন্দ্র। ভাল করিয়া দেখিবার জন্য সে ধীরে ধীরে বক্ষের অন্তরালে অন্তরালে থাকিয়া অগ্রবত্তিানী হইতে লাগিল। দভাগ্যক্ৰমে সেই সমযে, লতামন্ডপস্থ। ব্যক্তি গাত্ৰোখান করিয়া বাহির হইল। হতভাগিনী কুন্দ দেখিল যে, সে নগেন্দ্র নহে, সােয্যমখী। কুন্দ তখন ভীত হইয়া এক প্রস্ফটিত কামিনীর অন্তরালে দাঁড়াইল। ভয়ে অগ্রসর হইতে পারিল না—পশ্চাদপসতও হইতে পারিল না। দেখিতে লাগিল, সহেযািমদুখী উদ্যানমধ্যে পক্ষপ চয়ন করিয়া বেড়াইতে লাগিলেন। যেখানে কুন্দ লাকাইয়া আছে, সােয্যমখী ক্ৰমে সেই দিকে আসিতে লাগিলেন। কুন্দ দেখিল যে, ধরা পড়িলাম। শেষে সহেযািমদুখী কুন্দকে দেখিতে পাইলেন। দরি হইতে চিনিতে না পারিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “ও কে গা ?” কুন্দ ভয়ে নীরব হইয়া রহিল—পা সরিল না। সােয্যমখী তখন নিকটে আসিলেন—— দেখিলেন—চিনিলেন যে কুন্দ। বিস্মিতা হইয়া কহিলেন, “কে, কুন্দ না কি ?” কুন্দ তখনও উত্তর করিতে পারিল না। সার্যােমখী কুন্দের হাত ধরিলেন। বলিলেন, “কুন্দা! এসো—দিদি এসো !! আর আমি তোমায় কিছ: বলিব না।” এই বলিয়া সৰ্য্যেমখী হস্ত ধরিয়া কুন্দনন্দিনীকে অন্তঃপারমধ্যে লইয়া গেলেন। চতুৰিবংশ পরিচ্ছেদ ঃ অবতরণ সেই দিন রাত্রে দেবেন্দ্ৰ দত্ত একাকী ছদ্মবেশে, সরারঞ্জিত হইয়া কুন্দনন্দিনীর অন্যসন্ধানে হীরার বাড়ীতে দশন দিলেন। এ ঘর ও ঘর খাজিয়া দেখিলেন, কুন্দ নাই। হীরা মখে কাপড় দিয়া হাসিতে লাগিল। দেবেন্দ্র রন্ট হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “হাসিস, কেন ?” হীরা বলিল, “তোমার দঃখ দেখে। পিজরার পাখী পলাইয়াছে।---আমার খানাতল্লাসী করিলে পাইরে না।” তখন দেবেন্দ্রের প্রশেন হীরা যাহা যাহা জানিত, আদ্যোপােন্ত কহিল। শেষে কহিল, “প্ৰভাতে তাহাকে না দেখিয়া অনেক খাজিলাম, খ জিতে খাজিতে বাবদের বাড়ীতে দেখিলাম —-এবার বড় আদর।” দেবেন্দ্ৰ হতাশ বাস হইয়া ফিরিয়া আসিতেছিলেন, কিন্তু মনের সন্দেহ মিটিল না। ইচ্ছা, আর একটা বসিযা ভাবগতিক বকিয়া যান। আকাশে একটা কাণা মেঘ ছিল, দেখিয়া বলিলেন, “বঝি বান্টি এলে।” অনন্তর ইতস্ততঃ করিতে লাগিলেন। হীরার ইচ্ছা, দেবেন্দ্র একটা বসেন —কিন্তু সে সত্ৰীলোক-—একাকিনী থাকে-—তাহাতে রাত্ৰি—বসিতে বলিতে পারিল না। তাহা হইলে অধঃপাতের সোপানে আর এক পদ নামিতে হয়, তাহাও তাহার কপালে ছিল। দেবেন্দ্র হীরার ঘরে ছাতি ছিল না। দেবেন্দ্র বলিলেন, “তোমার এখানে একটা বসিয়া জলটা দেখিয়া গেলে কেহ কিছ মনে করিবে ?” হীরা বলিল, “মনে করিবে না কেন ? কিন্তু যাহা দোষ, আপনি রাত্রে আমার বাড়ী আসাতেই তাহা ঘাঁটিয়াছে।” দে। তবে বসিতে পারি। হীরা উত্তর করিল না। দেবেন্দ্ৰ বসিলেন। তখন হীরা তন্তপোষের উপর অতি পরিৎকার শয্যা রচনা করিয়া দেবেন্দ্রকে বসাইল। এবং সিন্দক হইতে একটি ক্ষদ্র রপাবাঁধা হ'ক্কো বাহির করিল। স্বহস্তে তাহতে শীতল জল পরিয়া মিঠাকড়া তামাকু সাজিয়া, পাতার নল করিয়া দিল। দেবেন্দ্র পকেট হইতে একটি ব্রান্ডি ফ্লাসিক বাহির করিয়া, বিনা জলে পান করিলেন এবং রাগযন্ত হইলে দেখিলেন, হীরার চক্ষ বড় সন্দের। বস্তুতঃ সে চক্ষ সন্দর। চক্ষা বহৎ, নিবিড় কৃষ্ণতার, প্ৰদীপত এবং বিলোলকাটােক্ষ। দেবেন্দ্র হীরাকে বলিলেন, “তোমার দিব্য চক্ষ!” হীরা মদ হাসিল। দেবেন্দ্ৰ দেখিলেন, এক কোণে একখানা ভাণ্ডগা বেহালা পড়িয়া আছে। দেবেন্দ্র গান গন করিয়া গান করিতে ○Oミ