পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বণ্ডিকম রচনাবলী ऊठळला যত হেলে, খেলা ফেলে, ফিরচে দলে দল । কত বাড়ী, জাজবাড়ী ধরবে কত জল, আমরা মচকে হোসে, বিনোদ বেশে বাজিয়ে যােব মল। সই বাজিয়ে যােব মল ৷ प्र.ग्ने अ6न्म আয় আয় সই, জল আনিগে, জল আনিগে চল । বালিকাসিঞিতরসে, এ জীবন কিছ: শীতল হইল ; আমি মনোযোগপৰ্ব্ববর্তক এই গান শনিতেছি, দেখিয়া বসােজ মহাশয়েব সহধৰ্ম্মিণী আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “ও ছাই গান আবার হাঁ করিয়া শািনচ কেন?” আমি বলিলাম, ‘ক্ষতি কি ?” বসজিপত্নী। ছািড়ীদের মরণ আর কি ? মল বাজােনর আবার গান ! আমি। ষোল বছরের মেয়ের মানুখে ভাল শনাইত না বটে, সাত বছরের মেয়ের মাখে বেশ শনায়। জোয়ান মিনাসের হাতের চড়-চাপড় জিনিস ভাল নহে বটে, কিন্তু তিন বছরের ছেলের হাতের চড়-চাপড় বড় মিস্ট। বসজিপত্নী আর কিছ না বলিয়া, ভারি হইয়া বসিয়া রহিলেন। আমি ভাবিতে লাগিলাম। ভাবিলাম, এ প্রভেদ কেন হয় ? এক জিনিস দই রকম লাগে কেন ? যে দান দরিদ্রকে দিলে পণ্য হয়, তাহা বড়মনিষকে দিলে খোষামোদ বলিয়া গণ্য হয় কেন ? যে সত্য ধমের প্রধান, অবস্থাবিশেষে তাহা আত্মশালাঘা বা পরনিন্দ পাপ হয় কেন ? যে ক্ষমা পরমধৰ্ম্ম, দণ্ডকৃতকারীর প্রতি প্রযক্ত হইলে, তাহা মহাপাপ কেন ? সত্য সত্যই কেহ সত্ৰীকে বনে দিয়া আসিলে লোকে তাহাকে মহাপাপী বলে; কিন্তু রামচন্দ্ৰ সীতাকে বনে দিয়াছিলেন, তাঁহাকে কেহ মহাপাপী বলে না কেন ? ঠিক করিলাম, অবস্থাভেদে এ সকল হয়। কথাটা আমার মনে রহিল। আমি ইহার পর এক দিন যে নিলডিজ কাজের কথা বলিব, তাহা এই কথা মনে করিয়া করিয়াছিলাম। তাই এ গানটা এখানে লিখিলাম । নৌকাপথে কলিকাতা আসিতে দরি হইতে কলিকাতা দেখিয়া, বিস্মিত ও ভীত হইলাম। আটালিকার পর আটালিকা, বাড়ীর গায়ে বাড়ী, বাড়ীর পিঠে বাড়ী, তার পিঠে বাড়ী, অট্টালিকার সমদ্র: --তােহর অন্ত নাই, সংখ্যা নাই, সীমা নাই। জাহাজের মাসতুলের অরণ্য দেখিয়া জ্ঞান বন্ধি বিপৰ্য্যস্ত হইয়া গেল। নৌকার অসংখ্য, অনন্ত শ্রেণী দেখিয়া মনে হইল, এত নৌকা মানষে গড়িল কি প্রকারে ?* নিকটে আসিয়া দেখিলাম, তীরবত্তী রাজপথে গাড়ি পালকী পিপড়ের সারির মত চলিয়াছে—যাহারা হাঁঢ়িয়া যাইতেছে, তাহদের সংখ্যার ত কথাই নাই। তখন মনে হইল, ইহার ভিতর খড়াকে খাজিয়া বাহির করিব কি প্রকারে ? নদীসৈকত্রে বাল্যকারাশির ভিতর হইতে, চেনা বালকাকণাটি খাজিয়া বাহির করিব কি প্রকারে ? ষািঠ পরিচ্ছেদ ঃ সবো কৃষ্ণদাস বাবা, কুলিকাতায় কালীঘাটে পজা দিতে আসিয়াছিলেন। ভবানীপরে বাসা করিলেন। আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমার খড়ার বাড়ী কোথায়?” কলিকাতায় না। ভবানীপরে ?”

  • কলিকাতায় এক্ষণে নৌকার সংখ্যা পািব্বকাল শতাংশ ও নাই।

Ꮼ Ꮹ Ꭴ