পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७दकोश ज्ञष्नाबव्ी তাহাকে প্রফতুল্ল করিবার জন্য বলিলাম, “যা শিখাইলে, তা সত্ৰীলোকের অস্ত্র বটে, কিন্তু এখন উ-বাবার উপর খাটিবে কি ?” সভাষিণী তখন হাসিয়া বলিল, “তবে আমার ব্ৰহ্মাস্ত্র শিখে নে ৷” এই বলিয়া, মাগনী আমার গলা বেড়িয়া হাত দিয়া আমার মখখানা তুলিয়া ধরিয়া, আমার মািখচুম্বন করিল। এক ফোঁটা চোখের জল, আমার গালে পড়িল । ঢোক গিলিয়া আমার চোখের জল চাপিয়া, আমি বলিলাম, “এ যে ভাই সঙকলপ না হতে দক্ষিণা দেওয়া শিখাইতেছিস ।" সভাষিণী বলিল, “তোর তবে বিদ্যা হবে না। তুই কি জানিস, একজামিন দে দেখি। এই আমি যেন উ-বাব” এই বলিয়া সে সোফার উপর জমকাইয়া বসিয়া-হাসি রাখিতে না পারিয়া, মাখে কাপড় গজিতে লাগিল। হাসি থামিলে, একবার আমার মািখপানে খট মািট করিয়া চাহিল—আবার তখনই হাসিয়া লাটাইয়া পড়িল। সে হাসি থামিলে বলিল, “একজামিন দে।” তখন যে বিদ্যার পরিচয় পাঠক পশ্চাৎ পাইবেন, সভাষিণীকেও তাহার কিছ পরিচয় দিলাম। সভাষিণী আমাকে সোফা হইতে ঠেলিযা ফেলিয়া দিল—বলিল, “দর হ পাপিষ্ঠা! তুই আস্ত কেউটে!" সভাষিণী বলিল, “ও হাসি চাহনিতে পরিষ মানষে টিকে ? মরিয়া ভূত হয়।” আমি । তবে একজামিন পাস ? স। খাব পাস-কমিসেরিয়েটের এক-শ উনসত্তর পরিষেও এমন হাসি চাহনি কখন দেখে নাই। মিনাসের মন্ডটা যদি ঘরে যায়, ত একটি বাদামের তেল দিস।। আমি। আচ্ছা। এখন সাড়া শব্দে বঝিতে পারিতেছি, বাবদের খাওয়া হইয়া গেল । রমণ বাবার ঘরে আসিবার সময হইল, আমি এখন বিদায় হই । যা শিখাইয়াছিলে, তার মধ্যে একটা বড় মিন্ট লাগিয়াছিল—সেই মািখচুম্বনটি। এসো আর একবার শিখি। তখন সভাষিণী আমার গলা ধরিল, আমি তার গলা ধরিলাম। গাঢ় আলিঙগনপব্বক পরস্পরে মািখচুম্বন করিয়া, গলা ধরাধরি করিয়া, দই জনে অনেকক্ষণ কাঁদিলাম। এমন ভালবাসা কি আর হয় ? সভাষিণীর মত আর কি কেহ ভালবাসিতে জানে ? মরিবি, কিন্তু সভাষিণীকে ভুলিব না। চতুর্দশ পরিচ্ছেদ ও আমার প্রাণত্যাগের প্রতিজ্ঞা আমি হারাণীকে সতকা করিয়া দিয়া আপনার শয়নগহে গেলাম। বাবদের আহারাদি হইয়া গিয়াছে। এমন সময়ে একটা বড় গণন্ডগোল পড়িয়া গেল। কেহ ডাকে পাখা, কেহ ডাকে জল, কেহ ডাকে ঔষধ, কেহ ডাকে ডাক্তাব। এইরহপ হলস্থল। হারাণী হাসিতে হাসিতে আসিল । আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “এত গণন্ডগোল কিসের ‘’ হা। সেই বাবটি মােচ্ছ। গিয়াছিলেন। আমি । তার পর ? হা । এখন সমলেছেন । আমি । তার পর ? হা। এখন বড় অবসন্ন—বাসায় যাইতে পারিলেন না। এখানেই বড় বৈঠকখানার পাশের ঘরে শাইলেন। বঝিলাম, এ কৌশল। বলিলাম, “আলো সব নিবিলে, সবাই শাইলে আসিবো।“ হারাণী বলিল, “আসখ যে গা।” পাই?" বলিলাম, “অসংখ না তোর মন্ড। আর পাঁচ-শ খানা বিবির মাের্ড, যদি দিন হারাণী হাসিতে হাসিতে গেল। পরে আলো সব নিবিলে, সবাই শাইলে, হারাণী আমাকে সঙেগ করিয়া লইয়া ঘর দেখাইয়া দিয়া আসিল । আমি ঘরের ভিতর প্রবেশ করিলাম। দেখিলাম, তিনি একাই শয়ন করিয়া আছেন। অবসন্ন কিছই না; ঘরে দইটা বড় বড় আলো V) Q O