পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वर्ग७दकब ब्रष्न्बव्ी যদি হস্তীর দন্ত-প্রয়োগে পাপ না থাকে, যদি ব্যাঘের নখ ব্যবহারে পাপ না থাকে, যদি মহিষের শঙ্গাঘাতে পাপ না থাকে, তবে আমারও পাপ হইবে না। জগদীশবর আমাদিগকে যে সকল আয়ন্ধ দিয়াছেন, উভয়ের মঙ্গলার্থে তাহা প্রয়োগ করিব। যদি কখন “মল বাজিয়ে” যেতে হয়, তবে সে এখন। আমি তাঁহার নিকট হইতে দরে আসিয়া বসিলাম। তাঁর সঙ্গে প্ৰফল্প হইয়া কথা কহিতে লাগিলাম। তিনি নিকটে আসিলেন, আমি তাঁহাকে কহিলাম, “আমার নিকটে আসিবেন না, আপনার একটি ভ্ৰম জন্মিয়াছে দেখিতেছি,” [ হাসিতে হাসিতে আমি এই কথা বলিলাম এবং বলিতে বলিতে কবরীমোচন পৰ্ব্ববর্তক (সত্য কথা না বলিলে কে এ ইতিহাস বঝিতে পরিবে!)। আবার বাঁধিতে বসিলাম, ] “আপনার একটি ভ্ৰম জন্মিয়াছে। আমি কুলটা নাহি। আপনার নিকটে দেশের সংবাদ শনিব বলিয়াই আসিয়াছি। অসৎ অভিপ্ৰায় কিছই নাই।” বোধ হয়, তিনি এ কথা বিশ্ববাস করিলেন না। অগ্রসর হইয়া বসিলেন। আমি তখন হাসিতে হাসিতে বলিলাম, “তুমি কথা শনিলে না, তবে আমি চলিলাম, তোমার সঙ্গে এই সাক্ষাৎ,” এই বলিয়া আমি যেমন করিয়া চাহিতে হয়, তেমনি করিয়া চাহিতে চাহিতে, আমার কুণ্ডিত, মস্যাণ, সবাসিত অলীকদমের প্রান্তভাগ, যেন অনবধানে, তাঁহার গান্ড সপশ করাইয়া সন্ধ্যার বাতাসে বসন্তের লতার মত একটি হেলিয়া, গাত্ৰোখান করিলাম। আমি সত্য সত্যই গাত্ৰোথান করিলাম দেখিয়া তিনি ক্ষন্নি হইলেন, আসিয়া আমার হাত ধরিলেন। মল্লিকাকোরকের বালার উপর তাঁর হাত পড়িল । তিনি হাতখানা ধরিয়া রাখিয়া যেন বিসিমতের মত হাতের পানে চাহিয়া রহিলেন । আমি বলিলাম, “দেখিতেছ। কি ?” তিনি উত্তর করিলেন, “এ কি ফল ? এ ফল ত মানায় নাই। ফলটার অপেক্ষা মানষটা সন্দর। মল্লিকা ফলের চেয়ে মানষি সন্দের এই প্রথম দেখিলাম।” আমি রাগ করিয়া হাত ছাড়িয়া ফেলিয়া দিলাম, কিন্তু হাসিলাম, বলিলাম, “তুমি ভাল মানষ নও। আমাকে ছাইও না। আমাকে দশচরিত্রা মনে করিও না।” এই বলিয়া আমি দবারের দিকে অগ্রসর হইলাম। সবামী——অদ্যাপি সে কথা মনে পড়িলে प्र.४२ ठूश-उर्शीन করিয়া ডাকিলেন, “আমার কথা রাখ, যাইও না। আমি তোমার রােপ দেখিয়া পাগল হইয়াছি। এমন রােপ আমি কখন দেখি নাই। আর একটা দেখি। এমন আর কখন দেখিব না।” আমি আবার ফিরিলাম।— কিন্তু বসিলাম না—বলিলাম, “প্ৰাণাধিক! আমি কোন ছার, আমি যে তোমা হেন রত্ন ত্যাগ করিয়া যাইতেছি, ইহাতেই আমার মনের দঃখ বঝিও । কিন্তু কি করিব ? ধৰ্ম্মমই আমাদিগের একমাত্র প্রধান ধন-—এক দিনের সখের জন্য আমি ধৰ্ম্ম ত্যাগ করিব না। আমি না বঝিয়া, না ভাবিয়া, আপনার কাছে আসিয়াছি। না বঝিয়া, না ভাবিয়া, আপনাকে পত্র লিখিয়াছিলাম। কিন্তু আমি একেবারে অধঃপাতে যাই নাই। এখনও আমার রক্ষার পথ খোলা অাছে। আমার ভাগ্য যে, সে কথা এখন আমার মনে পড়িল। আমি চলিলাম।” তিনি বলিলেন, “তোমার ধৰ্ম্মম তুমি জান। আমায় এমন দশায় ফেলিয়াছ যে, আমার আর ধম্মাধৰ্ম্ম জ্ঞান নাই। আমি শপথ করিতেছি, তুমি চিরকাল আমার হৃদয়েশবরী হইয়া থাকিবে। এক দিনের জন্য মনে করিও না।” আমি হাসিয়া বলিলাম, “পরিষের শপথে বিশ্ববাস নাই। এক মহত্তের সাক্ষাতে কি এত হয় ?” এই বলিয়া আবার চলিলাম।--দাবাের পয্যন্ত আসিলাম। তখন আর ধৈয্যাবলম্বন করিতে না পারিয়া তিনি দই হস্তে আমার দই চরণ ধরিয়া পথরোধ করিলেন। বলিলেন, “আমি যে এমন আর কখন দেখি নাই।” তাঁহার মৰ্ম্মমভেদী দীঘ নিশবাস পড়িল। তাঁহার দশা দেখিয়া আমার দঃখও হইল। বলিলাম, “তবে তোমার বাসায় চল—এখানে থাকিলে তুমি আমায় ত্যাগ করিয়া যাইবে।” তিনি তৎক্ষণাৎ সম্মত হইলেন। তাঁহার বাসা সিমলায়, অলপ দর। তাঁর গাড়িও হাজির ছিল, এবং দাবারবানেরা নিদ্রিত। আমরা নিঃশব্দে দাবার খালিয়া গাড়িতে গিয়া উঠিলাম। তাঁর বাসায় গিয়া দেখিলাম, দই মহল বাড়ী।। একটি ঘরে আমি অগ্ৰে প্ৰবেশ করিলাম। প্রবেশ করিয়াই ভিতর হইতে দবার রদ্ধ করিলাম। সবামী বাহিরে পড়িয়া রহিলেন। তিনি বাহির হইতে কাতরোক্তি করিতে লাগিলেন। আমি হাসিতে হাসিতে বলিলাম, “আমি এখন তোমারই দাসী হইলাম। কিন্তু দেখি, তোমার প্রণয়ের বেগ কাল প্ৰাতঃকাল পয্যন্ত OS