পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

थेकिन ब्रा চিন্তার বিষয় বেশী; কিন্তু তাঁকে চিন্তিত দেখিয়া, আমার প্রাণের ভিতর বড় যন্ত্রণা হইতে লাগিল। আমি আপনার দঃখ চাপিয়া রাখিয়া, তাঁহাকে প্রফদুল্ল করিবার চেন্টা করিতে লাগিলাম। নানা প্রকার গঠনের ফলের মালা, ফলের তোড়া, ফলের জিনিসপত্র গড়িয়া উপহার দিলাম, পানগােলা নানা রকমের সাজিলাম, নানা রকমের সখাদ্য প্রস্তুত করিলাম, আপনি কাঁদিতেছি, তব নানা রসের রসভারা গলেপির অবতারণা করিলাম। আমার স্বামী বিষয়ী লোক —সব বাপেক্ষা বিষয়কম ভালবাসেন; তাহা বিচার করিয়া বিষয়কম্পেমার কথা পাড়িলাম ; আমি হরমোহন দত্তের কন্যা, বিষয়কৰ্ম্মম না বঝিতাম, এমন নহে। কিছতেই কিছ হইল না। আমার কান্নার উপর আরও কান্না বাড়িল । পরদিন প্রাতে, সনানাহিকের পর জলযোগ করিয়া, তিনি আমাকে নিকটে বসাইয়া বলিলেন, “বোধ করি, যা জিজ্ঞাসা করিব, সকল কথার প্রকৃত উত্তর দিবে ?” তখন রমণ বাবকে জেরা করার কথাটা মনে পড়িল। বলিলাম, “যাহা বলিব, সত্যই বলিব। কিন্তু সকল কথার উত্তর না দিতে পারি।” তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমার স্বামী জীবিত আছেন, শনিলাম। তাঁর নাম ধাম প্রকাশ করিবে ?” আমি। এখন না। দিন কতক যাক। তিনি। তিনি এখন কোথায় আছেন বলিবে ? আমি। এই কলিকাতায় । তিনি। (একটা চমকিত হইয়া) তুমি কলিকাতায়, তোমার স্বামী কলিকাতায়, তবে তুমি তাঁর কাছে থাক না কেন ? আমি । তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয় নাই। পাঠক দেখিও, আমি সব সত্য বলিতেছি। আমার স্বামী এই উত্তর শনিয়া বিস্মিত হইয়া কহিলেন, “সত্ৰী-পরীষে পরিচয় নাই ? এ ত বড় আশ্চৰ্য্য কথা!” আমি । সকলের কি থাকে ? তোমার কি আছে ? একটি অপ্রতিভ হইয়া তিনি বলিলেন, “সে ত কতকগলো দদৈবি ঘটিয়াছে।” আমি। দদৈবি সৰ্ব্বত্র আছে। তিনি। যাক। —তিনি ভবিষ্যতে তোমার উপর কোন দাবি-দাওয়া করিবার সম্ভাবনা আছে কি ? আমি। সে আমার হােত। আমি যদি তাঁর কাছে আত্মপরিচয় দিই, তবে কি হয় বলা যায় না। তিনি। তবে তোমাকে সকল কথা ভাঙিগয়া বলি, তুমি খােব বদ্ধিমতী, তাহা বঝিয়াছি। তুমি কি পরামর্শ দাও শনি। আমি। বল দেখি । তিনি। আমাকে বাড়ী যাইতে হইবে। আমি। বঝিলাম। তিনি। বাড়ী গেলে শীঘ্য ফিরিতে পারিব না। आशि । उका९७ भदर्शन८ऊर्शाछ । তিনি। তোমাকে ফেলিয়া যাইতেও পারিব না। তা হ’লে মরিয়া যাইব । প্ৰাণ আমার কন্ঠীগত, তব আমি এক রাশি হাসি হাসিয়া বলিলাম, “পোড়া কপাল! ভাত ছড়াইলে কাকের অভাব কি ?” তিনি। কোকিলের দঃখ কাকে যায় না। আমি তোমাকে লইয়াই যাইব । আমি। কোথায় রাখিবে ? কি পরিচয়ে রাখিবে ? তিনি। একটা ভারি জয়াচুরি করিব। তাই কাল সমস্ত দিন ভাবিয়াছি। তোমার সঙ্গে কথা কহি নাই। আমি। বলিবে যে, এই ইন্দিরা—ব্রােমরাম দত্তের বাড়ীতে খাজিয়া পাইয়াছি। তিনি। আ সববনাশ ! তুমি কে ? স্বামী মহাশয়, নিসপন্দী হইয়া, দই চক্ষের তারা উপর দিকে তুলিয়া, আমার মািখ পানে চাহিয়া রহিলেন। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “কেন কি হইয়াছে ?” Ծ) Գ Գ