পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७कश झान्नाबदव्ली তুমি আমার ননদের বর।” তুমি দন্ডস্বরপ তার গালে একটা ঠোেনা মারিয়া, তা’কে একট, অপ্ৰতিভ দেখিয়া পরিশেষে মািখচুম্বন করিয়াছিলে। বলিতে বলিতে আমার শরীর অপব্ব আনন্দরসে আপলোেত হইল—সেই আমার জীবনের প্রথম মািখচুম্ববন। তার পর সম্ভাষিণীকৃত সেই সােধাবভিট। ইহার মধ্যে ঘোরতর অনাবান্টি গিয়াছে। হৃদয় শকাইয়া মাঠ-ফাটা হইয়াছিল। এই কথা ভাবিতেছিলাম, দেখিলাম, স্বামী ধীরে ধীরে বালিসের উপর মাথা রাখিয়া চক্ষ বাজিলেন। আমি বলিলাম, “আর কিছ জিজ্ঞাসা করিবে ?” তিনি বলিলেন, “না। হয় তুমি স্বয়ং ইন্দিরা, নয় কোন মায়াবিনী।” ऐछेनविश्थ्भ °झिgछा 8 बिनाथद्मी দেখিলাম, এক্ষণে অনায়াসে আত্মপরিচয় দিতে পারি। আমার স্বামীর নিজ মািখ হইতে আমার পরিচয় ব্যক্তি হইয়াছে। কিন্তু কিছমাত্ৰ সন্দেহ থাকিতে, আমি পরিচয় দিব না, স্থির করিয়াছিলাম। তাই বলিলাম, “এখন আত্মপরিচয় দিব। কামরাপে আমার অধিভঠান। আমি আদ্যাশক্তির মহামন্দিরে তাঁহার পাশেব থাকি। লোকে আমাদিগকে ডাকিনী বলে, কিন্তু আমরা ডাকিনী নই। আমরা বিদ্যাধরী। আমি মহামায়ার নিকট কোন অপরাধ’ করিয়াছিলাম, সেই জন্য অভিসক্ষপাতগ্রস্ত হইয়া এই মানবীরপ ধারণ করিয়াছি। পাচিকাব্যত্তি এবং কুলটাবিত্তিও ভগবতীর শাপের ভিতর। তাই এই সকলও আদলেট ঘটিয়াছে। এক্ষণে আমার শাপ হইতে মন্ত হইবার সময় উপস্থিত হইয়াছে। আমি জগন্মাতাকে সতবে প্ৰসন্ন করিলে, তিনি আজ্ঞা করিয়াছেন যে, মহাভৈরবীদর্শন করিবামাত্র আমি মন্তিলাভ করিব।” তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “সে কোথায় ?” আমি বলিলাম, “মহাভৈরবীর মন্দির মহেশপরে তোমার শবেশরিবাড়ীর উত্তরে। সে তাঁদেরই ঠাকুরবাড়ী, বাড়ীর গায়ে, খিড়কি দিয়া যাতায়াতের পথ আছে। চল, মহেশপরে যাই।” তিনি ভাবিয়া বলিলেন, “তুমি বঝি আমার ইন্দিরাই হইবে। কুমদিনী যদি ইন্দিরা, তাহা হইলে কি সখি! পথিবীতে তাহা হইলে আমার মত সখী কে ?” আমি। যেই হই, মহেশপাের গেলেই সব গোল মিটিবে। তিনি। তবে চল, কাল এখােন হইতে যাত্ৰা করি। আমি তোমাকে কালােদীঘি, পার করিয়া দিয়া মহেশপরে পাঠাইয়া দিয়া, নিজে আপাততঃ বাড়ী যাইব । দই একদিন সেখানে থাকিয়া আমি মহেশপাের। যাইব । যোড়হাতে তোমার কাছে এই ভিক্ষা করি যে, তুমি ইন্দিরাই হও, আর কুমদিনীই হও, আর বিদ্যাধরীই হও, আমাকে ত্যাগ করিও না। আমি। না। আমার শাপান্ত হইলেও দেবীর কৃপায় আবার তোমায় পাইতে পারব। তুমি আমার প্রাণাধিক প্রিয় বস্তু। “এ কথাটা ত ডাকিনীর মত নহে।” এই বলিয়া তিনি সদরে গেলেন। সেখানে লোক আসিয়াছিল। লোক আর কেহ নহে, রমণ বাব। রমণ বাব আমার স্বামীর সঙ্গে অন্তঃপরে আসিয়া আমাকে সীল-করা পলিন্দা দিয়া গেলেন। আমার স্বামীকে সে সম্বন্ধে যে উপদেশ দিয়াছিলেন, আমাকেও সেই উপদেশ দিলেন। শেষ বলিলেন, “সৰভাষিণীকে কি বলিব ?” আমি বললাম, “বলিবেন, কাল আমি মহেশপাের। যাইব । গেলেই আমি শাপ হইতে মক্ত ് স্বামী বলিলেন, “আপনাদের এ সব জানা আছে না কি ?” চতুর রমণ বােব বলিলেন, “আমি সব জানি না, কিন্তু আমার সত্ৰী সভাষিণী সব জানেন।” বাহিরে অসিয়া সবামী মহাশয় রমণ বাবকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি ডাকিনী যোগিনী বিদ্যাধরী প্রভৃতি বিশবাস করেন ?” রমণ বাবা রহস্যখােনা কতক বঝিয়াছিলেন, বলিলেন, “করি। সভাষিণী বলেন, কুমদিনী শাপগ্রসঙ্গত বিদ্যাধরী।” রমণ বােব আর দাঁড়াইলেন না । হাসিতে হাসিতে চলিয়া গেলেন। Ꮤ)Ꮜ Ꭴ