পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৪০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७दक ब्रष्नाबव्ी হইয়া দেখিল যে, কয়েকজন বাহকে একখানি শিবিকা সকন্ধে করিয়া গহ হইতে বাহির হইল। শিবিকার দাবার রদ্ধ—সঙ্গে পােরন্দরপরের কুঠির সাহেব। দেখিয়া সকলে সভয়ে নিস্তব্ধ হইয়া সরিয়া দাঁড়াইল । দস্যগণ চলিয়া গেলে প্রতিবাসীরা গহমধ্যে প্রবেশ করিল, দেখিল, দ্রব্য সামগ্রী বড় অধিক অপহৃত হয় নাই—অধিকাংশই আছে। কিন্তু শৈবলিনী নাই। কেহ কেহ বলিল, “সে কোথায় লকাইয়াছে, এখনই আসিবো।” প্রাচীনেরা বলিল, “আর আসিবে না-আসিলেও চন্দ্রশেখর তাহাকে আর ঘরে লাইবে না। যে পালকী দেখিলে, ঐ পালকীর মধ্যে সে গিয়াছে।” যাহারা প্রত্যাশা করিতেছিল যে, শৈবলিনী আবাব ফিরিয়া আসিবে, তাহারা দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া, শেষে বসিল। বসিয়া বসিয়া, নিদ্রায় ঢালিতে লাগিল। ঢলিয়া ঢলিয়া, বিরক্ত হইয়া ऐछे,छेशा काळ । ॐत्रव्लन्ी ऊर्गजळत ना । সন্দেরী নামে যে যাবতীকে আমরা প্রথম পরিচিতা করিয়াছি, সেই সকলের শেষে উঠিয়া গেল। সন্দরী চন্দ্রশেখরের প্রতিবাসিনীর কন্যা, সম্পবন্ধে তাঁহার ভগিনী, শৈবলিনীর সখী । আবার তাহার কথা উল্লেখ করিতে হইবে বলিয়া এ সন্থলে এ পরিচয় দিলাম। সন্দরী বসিয়া বসিয়া, প্ৰভাতে গহে গেল। গনুহে গিয়া কাঁদিতে লাগিল। চতুৰ্থ পরিচ্ছেদ ঃ নাপিতনী ফন্টর স্বয়ং শিবিকাসমভিব্যাহারে লইয়া দরবৰ্ত্তিনী ভাগীরথীর তীর পয্যন্ত আসিলেন। সেখানে নৌকা সমসজিজত ছিল। শৈবলিনীকে নৌকায় তুলিলেন। নৌকায় হিন্দ দাস দাসী এবং প্রহরী নিযক্ত করিয়া দিলেন। এখন আবার হিন্দ দাস দাসী কেন ? ফন্টর নিজে অন্য যানে কলিকাতায় গেলেন। তাঁহাকে শীঘ্ৰ যাইতে হইবে-বড় নৌকায় বাতাস ঠেলিতে ঠেলিতে সপতাহে কলিকাতায় যাওয়া তাঁহার পক্ষে অসম্ভব । শৈবলিনীর জন্য সত্ৰীলোকের আরোহণোপযোগী যানের সব্যবস্থা করিয়া দিয়া তিনি যানান্তরে কলিকাতায় গেলেন। এমত শওকা ছিল না যে, তিনি স্বয়ং শৈবলিনীর নৌকার সঙ্গে না থাকিলে, কেহ। নৌকা আক্ৰমণ করিয়া শৈবলিনীর উদ্ধার করিবে। ইংরেজের নৌকা শনিলে কেহ নিকটে আসিবে না। শৈবলিনীর নৌকা ম৬োগরে যাইতে বলিয়া গেলেন। প্রভাতবাতোত্থিত ক্ষমাদ্র তরঙ্গমালার উপর আরোহণ করিয়া শৈবলিনীর সবিস্তৃতা তরণী উত্তরাভিমখে চলিল—মদনোদনী বাঁচিশ্রেণী তাঁর তর। শবেদ নৌকাতলে প্ৰহত হইতে লাগিল। তোমরা অন্য শঠ, প্রবণ8ক, ধাত্তকে যত পার বিশবাস করিও, কিন্তু প্রভাতবায়কে বিশ্ববাস করিও না। প্রভাতবায় বড় মধরে ;–চোরের মত পা টিপি টিপি আসিয়া, এখানে পদ্মটি, ওখানে যথিকাদাম, সেখানে সগন্ধি বকুলের শাখা লইয়া ধীরে ধীরে ক্ৰীড়া করে-কাহাকে গন্ধ আনিয়া দেয়, কাহারও নৈশ অঙ্গগলানি হরণ করে, কাহারও চিন্তাসন্তাপত ললাট স্নিগধ করে, যাবতীর অলকরাজি দেখিলে তাহাতে অলপ ফৎকার দিয়া পলাইয়া যায়। তুমি নৌকারোহী-—দেখিতেছ। এই ক্ৰীড়াশীল মধরপ্রকৃতি প্রভাতবায় ক্ষদ্র ক্ষদ্র বীচিমালায নদীকে সমসজিতা করিতেছে ; আকাশস্থ দাই একখানা অলপ কাল মেঘকে সবাইয়া রাখিয়া আকাশকে পরিস্কার করিতেছে, তীরস্থ বক্ষগলিকে মদ, মদ, নাচাইতেন্থে, সনানাবগাহন নিরতা কামিনীগণের সঙ্গে একটা একটা মিন্ট রহস্য করিতেছে—নৌকার তলে প্রবেশ করিয়া তোমার কাণের কাছে মধর সঙগীত করিতেছে । তুমি মনে করিলে, বায় বড় ধীরপ্রকৃতি,--বড় গম্ভীর স্বভাব, বড় আড়ম্বরশ• {্য— আবার সদানন্দ ! সংসারে যদি সকলেই এমন হয় ত কি না হয়! দে নৌকা খলিয়া দ! রৌদ্র উঠিল—তুমি দেখিলে যে বীচিরাজির উপরে রৌদ্র জাদুলিতেছে, সেগলি পািব্বাপেক্ষা একটা বড় বড় হইয়াছে—রাজহংসগণ তাহার উপর নাচিয়া নাচিয়া চলিতেছে ; গাত্ৰমাজজনে অন্যমনা সন্দরীদিগের মৎকলসী তাহার উপর স্থির থাকিতেছে না, বড় নাচিতেছে ; কখন কখন ঢেউগলা সপন্ধা করিয়া সন্দরীদিগের কাঁধে চড়িয়া বসিতেছে; তার যিনি তীরে উঠিয়াছেন, তাঁহার চরণপ্রান্তে আছাড়িয়া পড়িতেছে-মাথা কুটিতেছে—বঝি বলিতেছে —“দেহি পদ পল্লবমােন্দারং!” নিতান্ত পক্ষে পায়ের একটা অলক্তক-রাগ ধাইয়া লইয়া অঙ্গে মাখিতেছে। ক্ৰমে দেখিবে, বায়র ডাক একটা একটা বাড়িতেছে, আর সে জয়দেবের কবিতার মত কাণে মিলাইয়া যায় না, আর 8O .