পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৫১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बर्ता७का ब्रा5न्माबब्जी দরে নিক্ষিপত করিলাম। দলটি তখন যাবতীকে ছাড়িয়া দিল—আমার সম্পমখীন হইয়া দাঁড়াইল । আমাকে গালি দিল। তাহার দণ্ডিট দেখিয়া আমার শওকা হইল। বঝিলাম, এ সাথলে বিলম্ব অকৰ্ত্তব্য। একেবারে তাহার গলদেশে হসন্তাপণ করিলাম। ছাড়াইয়া সেও আমাকে ধরিল। আমিও তাঁহাকে পনেকবার ধরিলাম। তাহার বল অধিক। কিন্তু আমি ভীত হই নাই—বা অস্থির হই নাই। অবকাশ পাইয়া আমি যাবতীকে বলিলাম যে, “তুমি এই সময় পলাও—আমি ইহার উপযক্ত দন্ড দিতেছি।” যাবতী বলিল,—“কোথায় পালাইব ? আমি যে অন্ধ ! এখানকার পথ চিনি না।” আন্ধা! আমার বল বাড়িল। আমি রজনী নামে একটি অন্ধ কন্যাকে খাজিতেছিলাম। দেখিলাম, সেই বলবান পরিষ আমাকে প্রহার করিতে পারিতেছে না বটে, কিন্তু আমাকে বলপাকবািক টানিয়া লইয়া যাইতেছে। তাহার অভিপ্রায় ববিলাম, যে দিকে আমি দা ফেলিয়া দিয়াছিলাম, সেই দিকে সে আমাকে টানিয়া লইয়া যাইতেছে। আমি তখন দলটিকে ছাড়িয়া দিয়া, অগ্ৰে গিয়া দা কুড়াইয়া লইলাম। সে এক বক্ষের ডাল ভাঙ্গিয়া লইয়া, তাহা ফিরাইয়া আমার হস্তে প্রহার করিল, আমার হস্ত হইতে দা পড়িয়া গেল। সে দা তুলিয়া লইয়া, আমাকে তিন চারি সস্থানে আঘাত করিয়া পলাইয়া গেল। আমি গারতের পীড়াপ্রাপিত হইয়াছিলাম। বহ, কম্পেট আমি কুটসম্বের গাহাভিমখে চলিলাম। অন্ধ যাবতী আমার পদশব্দানসেরণ করিয়া আমার সঙ্গে সঙ্গে আসিতে লাগিল। কিছর দর গিয়া আর আমি চলিতে পারিলাম না। পথিক লোকে আমাকে ধরিয়া আমার কুটবের বাড়ীতে রাখিয়া আসিল । সেই সস্থানে আমি কিছ কাল শয্যাগত রহিলাম—অন্য আশ্রয়াভাবেও বটে, এবং আমার দশা রু হয় তাহা না জানিয়া কােথাও যাইতে পারে না, সে জন্যও বটে, অন্ধ যাবতীও সেইখানে বহ দিনে, বাহ কন্ডেট, আমি আরোগ্যলাভ করিলাম। মেয়েটি অন্ধ দেখিয়া অবধিই আমার সন্দেহ হইয়াছিল। যে দিন প্রথম আমার বাকশক্তি হইল, সে আমার রাগনাশয্যাপাশে বা আসিল, সেই দিনই তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “তোমার নাম কি গা ?” “রজনী।” আমি চমকিয়া উঠিলাম। জিজ্ঞাসা করিলাম, “তুমি রাজচন্দ্র দাসের কন্যা ?” রজনীও বিসিক্ষমতা হইল। বলিল, “আপনি বাবাকে কি চেনেন ?” আমি সািপম্পটতঃ কোন উত্তর দিলাম না। আমি সম্পপণ্য রাপে আরোগ্যলাভ করিলে, রজনীকে কলিকাতায় লইয়া গেলাম। সপতম পরিচ্ছেদ কলিকাতায় গমনকালে আমি একা রজনীকে সঙ্গে করিয়া লইয়া গেলাম না। কুটম্বগােহ হইতে তিনকড়ি নামে একজন প্রাচীনা পরিচারিকা সমভিব্যাহারে লইয়া গেলাম। এ সতকতা রজনীর মন প্রসন্ন করিবার জন্য। গমনকালে রজনীকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “রাজনী—তোমাদের বাড়ী কলিকাতায়—কিন্তু তুমি এখানে আসিলে কি প্রকারে ?” রজনী বলিল, “আমাকে কি সকল কথা বলিতে হইবে ?” আমি বললাম, “তোমার যদি ইচ্ছা না হয়, তবে বলিও না।” বস্তুতঃ এই অন্ধ সত্ৰীলোকের বদ্ধি, বিবেচনা, এবং সরলতায় আমি বিশেষ প্রীত হইয়াছিলাম। তাহাকে কোন প্রকার ক্লেশ দিবার আমার ইচ্ছা ছিল না। রজনী বলিল, “যদি অননুমতি করিলেন, তবে কতক কথা গোপন রাখিব। গোপাল বােব বলিয়া আমার একজন প্রতিবাসী আছেন। তাঁহার সন্ত্রী চাঁপা। চাঁপার সঙ্গে আমার হঠাৎ পরিচয় হইয়াছিল। তাহার বাপের বাড়ী হগলী। সে আমাকে বলিল, “আমার বাপের বাড়ী যাইবো ?? আমি রাজি হইলাম। সে আমাকে একদিন সঙ্গে করিয়া গোপাল বাবার বাড়ীতে লইয়া আসিল। কিন্তু তাহার বাপের GSO