পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৫১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डूडौन श॰ट शष्ौन्द्र बकुा প্রথম পরিচ্ছেদ এভার আমার প্রতি হইয়াছে—রজনীর জীবনচরিত্রের এ অংশ আমাকে লিখিতে হইবে। খব । আমি রজনীর বিবাহের সকল উদ্যোগ করিয়াছিলাম—বিবাহের দিন প্রাতে শানিলাম যে, রজনী পলাইয়াছে, তাহাকে আর পাওয়া যায় না। তাহার অনেক অননুসন্ধান করিলাম, পাইলাম না। কেহ বলিল, সে ভ্রম্পটা। আমি বিশ্ববাস করিলাম না। আমি তাহাকে অনেক বার দেখিয়াছিলাম-শপথ কবিতে পারি, সে কখন ভ্ৰমেটা হইতে পারে না। তবে ইহা হইতে পারে যে, সে কুমারী, কৌমায্যাবস্থাতেই কাহারও প্রণয়াসক্ত হইয়া বিবােহাশঙ্কায় গহত্যাগ করিয়াছে। কিন্তু ইহাতেও দাইটি আপত্তি; প্রথম, যে অন্ধ, সে কি প্রকারে সাহস করিয়া আশ্রয় ত্যাগ করিয়া যাইবে ? দ্বিতীয়তঃ, যে অন্ধ, সে কি প্রণয়াসক্ত হইতে পারে? মনে করিলাম, কদাচ না। কেহ হাসিও না, আমার মত গন্ডমখ অনেক আছে। আমরা খান দই তিন বহি পড়িয়া, মনে করি, জগতের চেতনাচেতনের গঢ়াদপি গঢ় তত্ত্ব সকলই নখদপণ করিয়া ফেলিয়াছি, যাহা আমাদের বন্ধিতে ধরে না, তাহা বিশ্ববাস করি না। ঈশবর মানি না, কেন না, আমাদের ক্ষদ্র বিচারশক্তিতে যে বহত্তত্ত্বের মীমাংসা করিয়া উঠিতে পারি না। অন্ধের রিপোন্মাদ কি প্রকারে বঝিব? সন্ধান করিতে করিতে জানিলাম যে, যে রাত্রি হইতে রজনী আব্দশ্য হইয়াছে, সেই রাত্রি হইতে হীরালালও অদশ্য হইয়াছে। সকলে বলিতে লাগিল, হীরালালের সঙ্গে সে কুলত্যাগ করিয়া গিয়াছে। অগত্যা আমি এই সিদ্ধান্ত করিলাম যে, হীরালাল রজনীকে ফাঁকি দিয়া লইয়া গিয়াছে। রজনী পরমা সন্দরী; কাণা হউক, এমন লোক নাই, যে তাহার রাপে মগধ হইবে না। হীরালাল তাহার রাপে মগধ হইয়া, তাহাকে বঞ্চনা করিয়া লইয়া গিয়াছে। অন্ধকে বঞ্চনা করা বড় সসাধ্য। কিছদিন পরে হীরালাল দেখা দিল। আমি তাহাকে বলিলাম, “তুমি রজনীর সম্পবাদ জান ?” —সে বলিল-“না।” কি করিব। নালিশ, ফরিয়াদ হইতে পারে না। আমার জ্যোঠকে বলিলাম। জ্যোিঠ বলিলেন, “রাসকালকে মার।” কিন্তু মারিয়া কি হইবে ? আমি সমবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিতে আরম্ভ করিলাম। যে রজনীর সন্ধান দিবে, তাহাকে অর্থ পরিস্কার দিব, ঘোষণা করিলাম। কিছ ফল ফলিল না। দিবতীয় পরিচ্ছেদ রজনী জন্মান্ধ, কিন্তু তাহার চক্ষ দেখিলে অন্ধ বলিয়া বোধ হয় না। চক্ষে দেখিতে কোন দোষ নাই। চক্ষা বহৎ, সনীল, ভ্রমরকৃষ্ণতারাবিশিস্ট। অতি সন্দর চক্ষা-কিন্তু কটাক্ষ নাই। চাক্ষষ সনােয়র দোষে অন্ধ। স্নায়ার নিশ্চেষ্টতাবশতঃ রেটিনাস্থিত প্রতিবিম্ব মস্তিম্পেক গহীত হয় না। রজনী সৰ্ব্বাঙ্গসন্দরী; বর্ণ উদ্ভেদ-প্রমািখ নিতান্ত নবীন কদলীপত্রের ন্যায় গৌর, গঠন বর্ষাজলপািণ তরঙ্গিণীর ন্যায় সম্পপণ্যতাপ্রাপত্য; মািখকান্তি গম্ভীর; গতি, অঙ্গভঙ্গী সকল মদ, স্থির, এবং অন্ধতাবশতঃ সৰ্ব্ববর্দা সঙ্কোচ জ্ঞাপক ; হাস্য দঃখময়। সচরাচর এই যত্ননিশ্চিমত প্রস্তরময়ী সন্ত্রীমত্তি বলিয়া বোধ হইত। রজনীকে প্রথম দেখিয়াই আমার বিশবাসী হইয়াছিল যে, এই সৌন্দয্য অনিন্দনীয় হইলেও মাগধকর নহে। রজনী রিপাবতী, কিন্তু তাহার রােপ দেখিয়া কেহ কখন পাগল হইবে না। (է S Ծ (9) \9