পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৫৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रङका অমরনাথের মািখ শকাইয়া কালো হইয়া গেল। অতি দঃখিতভাবে বলিল, “ছি! লবঙ্গ!” আমার দঃখ হইল, কিন্তু দঃখ দেখিয়া ভুলিলাম না। বলিলাম, “একটি গলপ বলিব শনিবে ?” আমি কথা চাপা দিতেছি মনে করিয়া অমরনাথ বলিল, “শনিব।” আমি তখন বলিতে লাগিলাম, “প্রথম যৌবনকালে লোকে আমাকে রপবতী বলিত—” অ। এটা যদি গলপ, তবে সত্য কোন কথা ? আমি। পরে শোন। সেই রােপ দেখিয়া এক চোর মগধ হইয়া, আমার পিত্ৰালয়ে, যে ঘরে আমি এক পরিচারিকা সঙ্গে শয়ন করিয়াছিলাম, সেই ঘরে সিদ্ধ দিল। এই কথা বলিতে আরম্ভ করায়, অমরনাথ গলদঘর্মক্ষম হইয়া উঠিল। বলিল, “ক্ষমা কর।” আমি বলিতে লাগিলাম, “সেই চোর সিন্ধপথে আমার কক্ষমধ্যে প্রবেশ করিল। ঘরে আলো জীবলিতেছিল—আমি চোরকে চিনিলাম। ভীত হইয়া পরিচারিকাকে উঠাইলাম। সে চোরকে চিনিত না। আমি তখন অগত্যা, চোরকে আদর করিয়া আশাবসত করিয়া পালণ্ডেক বসাইলাম।” অমর। ক্ষমা কর, সে ত সকলই জানি । আমি । তব, একবার সমরণ করিয়া দেওয়া ভাল। ক্ষণেক পরে, চোরের অলক্ষ্যে আমার সঙেকতানসারে পরিচারুিকা বাহিরে গিয়া দ্বারবানকে ডাকিয়া লইয়া সিদ্ধমখে দাঁড়াইয়া রহিল। আমিও সময় বঝিয়া, বাহিরে প্রয়োজন ছলনা করিয়া নিগত হইয়া, বাহির হইতে একমাত্র দাবারের শঙখল বন্ধ করিলাম। মন্দ করিয়াছিলাম ? অমরনাথ বলিল, “এ সকল কথা কেন ?” আমি। পরে চোর নিগৰ্ভত হইল কি প্রকারে বল দেখি ? ডাকিয়া পাড়ার লোক জমা করিলাম। বড় বড় বলবান আসিয়া চোরকে ধরিল। চোর লজজায় মাখে কাপড় দিয়া রহিল। আমি দয়া করিয়া তাহার মাখের কাপড় খােলাইলাম না, কিন্তু স্বহস্তে লোহার শলা তপত করিয়া তাহার পিঠে লিখিয়াছিলাম,

  • ८b y

অমরাবাব, অতি গ্রীল্ডেমও কি আপনি গায়ের জামা খালিয়া শয়ন করেন না ? অ । না । আমি । লবঙ্গলতার হসন্তাক্ষর মছিবার নহে। আমি রজনীকে ডাকিয়া এই গলপ শনাইয়া যাই ইচ্ছা ছিল, কিন্তু শনাইব না। তুমি রজনীর যোগ্য নহে, রজনীকে বিবাহ করিতে চেষটা পাইও না। যদি ক্ষান্ত না হও, তবে সতরাং শনাইতে বাধ্য হইব। অমরনাথ কিছশক্ষণ ভাবিল। পরে দঃখিতভাবে বলিল, “শনাইতে হয় শনাইও । তুমি শনাও বা না শনাও, আমি স্বয়ং আজি তাহাকে সকল শনাইবা। আমার দোষ গণ সকল শনিয়া রজনী আমাকে গ্রহণ করিতে হয়, গ্রহণ করিবে; না করিতে হয়, না করিবে। আমি তাহাকে প্রবণ8না করিব না।” আমি হারিয়া, মনে মনে অমরনাথকে শত শত ধন্যবাদ করিতে করিতে, হৰ্ষ-বিষাদে ঘরে ফিরিয়া আসিলাম । পঞ্চম পরিচ্ছেদ ঃ শচীন্দ্রনাথের কথা ঐশ্বব্যয্য হারাইয়া, কিছ দিন পরে আমি পীড়িত হইলাম। ঐশ্বব্যয্য হইতে দারিদ্র্যে পতনের আশওকায় মনে কোন বিকার উপস্থিত হইয়াছিল বলিয়া, কি কিজান্য এই পীড়ার উৎপত্তি, তাহা আমি বলিবার কোন চেন্টা পাইব না। কেবল পীড়ার লক্ষণ বলিব। সন্ধ্যার পঝেব রৌদ্রের তাপ অপনীত হইলে পর, প্রাসাদের উপর বসিয়া অধ্যয়ন করিতেছিলাম। সমস্ত দিবস অধ্যয়ন করিয়াছিলাম। জগতের দািরহ গঢ় তত্ত্বসকলের আলোচনা করিতেছিলাম। কিছরই মৰ্ম্ম বঝিতে পারি না, কিন্তু কিছতেই আকাঙক্ষা নিবত্তি পায় না। যত পড়ি, তত পড়িতে সাধ করে। শেষ শ্রান্তি বোধ হইল। পাস্তক বন্ধ করিয়া হস্তে লইয়া, চিন্তা করিতে লাগিলাম। একটা নিদ্ৰা আসিল—অথচ নিদ্রা নহে। সে মোহ, নিদ্রার ন্যায় @良为 ○8