পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৫৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

इश्काल्डद्ध छेद्देव “এ সেই হারা পাজির কারসাজি। বোধ হইতেছে, এ মাগনী তাহার কাছে টাকা খাইয়া জাল উইল রাখিয়া, আসল উইল চুরি করিবার জন্য আসিয়াছিল। তার পর ধরা পড়িয়া ভয়ে জাল গো। রোহিণী কি বলে ? কৃ। ও আর বলিবে কি ? বলে, তা নয়। গোবিন্দলাল রোহিণীর দিকে ফিরিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “তা নয় তা তবে কি, রোহিণী ?” রোহিণী মািখ না তুলিয়া, গদগদ কণ্ঠে বলিল, “আমি আপনাদের হাতে পড়িয়াছি, যাহা করিবার হয় করন। আমি আর কিছর বলিব না।” কৃষ্ণকান্ত বলিলেন, “দেখিলে বাদ জাতি ?” গোবিন্দলাল মনে মনে ভাবিলেন, এ পথিবীতে সকলেই বদজাত নহে। ইহার ভিতর বদ জাতি ছাড়া আর কিছ: থাকিতে পারে। প্রকাশ্যে বলিলেন, “ইহার প্রতি কি হকুম দিয়াছেন ? একে কি থানায় পাঠাইবেন ?” কৃষ্ণকান্ত বলিলেন, “আমার কাছে আবার থানা ফৌজদারি কি! আমিই থানা, আমিই মেজেস্টর, আমিই জজ। বিশেষ এই ক্ষদ্র সত্ৰীলোককে জেলে দিয়া আমার কি পৌরষ বাড়িবে ?” গোবিন্দলাল জিজ্ঞাসা করিলেন, “তবে কি করিবেন ?” কৃ। ইহার মাথা মড়াইয়া, ঘোল ঢালিয়া, কুলার বাতাস দিয়া গ্রামের বাহির করিয়া দিব। আমার এলেকায় আর না আসিতে পারে। গোবিন্দলাল আবার রোহিণীর দিকে ফিরিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি বল, রোহিণি ?” রোহিণী বলিল, “ক্ষতি কি!” গোবিন্দলাল বিস্মিত হইলেন। কিঞ্চিৎ ভাবিয়া কৃষ্ণকান্তকে বলিলেন, “একটা নিবেদন יין פSII(t কৃ। কি ? গো। ইহাকে একবার ছাড়িয়া দিন। আমি জামিন হইতেছি।--বেলা দশটার সময়ে আনিয়া দিব। কৃষ্ণকান্ত ভাবিলেন, “বঝি যা ভেবেছি, তাই। বাবাজির কিছ গরজ দেখছি।” প্রকাশ্যে বলিলেন, “কোথায় যাইবে ? কেন, ছাড়িব ?” গোবিন্দলাল বলিলেন, “আসল কথা কি, জানা নিতান্ত কত্তব্য। এত লোকের সাক্ষাতে আসল কথা এ প্রকাশ করবে না। ইহাকে একবার অন্দরে লইয়া গিয়া জিজ্ঞাসাবাদ করিব।” কৃষ্ণকান্ত ভাবিলেন, “ওর গোষ্ঠীর ম’ডু করবে। এ কালের ছেলে-পলে বড় বেহায়া হয়ে উঠেছে। রাহ ছাঁচো! আমি তোর উপর এক চাল চালিব।" এই ভাবিয়া কৃষ্ণকান্ত বলিলেন, “বেশ তাঁ।” বলিয়া কৃষ্ণকান্ত একজন নগদীকে বলিলেন, “ও রে! একে সঙ্গে করিয়া, একজন চাকরাণী দিয়া, মেজ বৌমার কাছে পাঠিয়ে দে ত, দেখিসৱ, যেন পালায় না।” নগদী রোহিণীকে লইয়া গেল ! গোবিন্দলাল প্রস্থান করিলেন। কৃষ্ণকান্ত ভাবিলেন, “দগা! দগা! ছেলেগ-লো হলো কি ?” স্বাদশ পরিচ্ছেদ গোবিন্দলাল অন্তঃপরে আসিয়া দেখিলেন যে, ভ্রমর, রোহিণীকে লইয়া চুপ করিয়া বসিয়া আছে। ভাল কথা বলিবার ইচ্ছা, কিন্তু পাছে এ দায় সম্পবন্ধে ভাল কথা বলিলেও রোহিণীর কান্না আসে, এ জন্য তাহাও বলিতে পারিতেছে না। গোবিন্দলাল আসিলেন দেখিয়া ভ্রমর যেন দায় হইতে উদ্ধার পাইল। শীঘ্ৰগতি দরে গিয়া গোবিন্দলালকে ইঙিগত করিয়া ডাকিল। গোবিন্দলাল ভ্রমরের কাছে গেলেন। ভ্রমর গোবিন্দলালকে চুপি চুপি জিজ্ঞাসা করিলেন, “রোহিণী। এখানে কেন ?” গোবিন্দলাল বলিলেন, “আমি গোপনে উহাকে কিছ জিজ্ঞাসা করিব। তাহার পর উহার কপালে যা থাকে, হবে।” ভ্ৰ। কি জিজ্ঞাসা করিবে ? CCC