পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৫৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वर्ग७दक ब्रष्नाबव्ी গোবিন্দলাল বলিলেন, “যেই বাঁচাক, তুমি যে রক্ষা পাইয়াছ এই যথেস্ট।” রোহিণী বলিল, “আমাকে কেন বাঁচাইলেন ? আপনার সঙ্গে আমার এমন কি শত্রতা যে মরণেও আপনি প্রতিবাদী ?” গো। তুমি মরিবে কেন ? রো। মরিবারও কি আমার অধিকার নাই ? গো। পাপে কাহারও অধিকার নাই। আত্মহত্যা পাপ । রো। আমি পাপ পণ্য জানি না—আমাকে কেহ শিখায় নাই। আমি পাপ পণ্য মানি না —কোন পাপে আমার এই দন্ড ? পাপ না করিয়াও যদি এই দঃখ, তবে পাপ করিলেই বা ইহার বেশী কি হইবে ? আমি মরিব । এবার না হয়, তোমার চক্ষে পড়িয়াছিলাম বলিয়া তুমি রক্ষা করিয়াছ। ফিরে বার, যাহাতে তোমার চক্ষে না পড়ি, সে যত্ন করিব। গোবিন্দলাল বড় কাতর হইলেন : বলিলেন, “তুমি কেন মরিবে ?” “চিরকাল ধরিয়া, দন্ডে দশেড, পালে পালে, রাত্ৰিদিন মরার অপেক্ষা, একেবারে মারা ভাল।” গো। কিসের এত যন্ত্রণা ? রো। রাত্ৰিদিন দারণ তৃষা, হৃদয় পড়িতেছে—সম্পম খেই শীতল জল, কিন্তু ইহজন্মে সে জল সপাশ করিতে পারিব না। আশাও নাই। গোবিন্দলাল তখন বলিলেন যে, “আর এ সব কথায় কাজ নাই——চল তোমাকে গহে রাখিয়া আসি।” রোহিণী বলিল, “না, আমি একাই যাইব ।” গোবিন্দলাল বঝিলেন, আপত্তিটা কি। গোবিন্দলাল আর কিছ: বলিলেন না। রোহিণী একাই গেল । তখন গোবিন্দলাল, সেই বিজন কক্ষমধ্যে সহসা ভূপতিত হইয়া ধাতুল্যবলন্ঠিত হইয়া রোদন করিতে লাগিলেন। মাটিতে মািখ লকাইয়া, দর বিগলিত লোচনে ডাকিতে লাগিলেন, “হা নাথ! নাথ! তুমি আমায় এ বিপদে রক্ষা কর!—তুমি বল না দিলে, কাহােব বলে আমি এ বিপদ হইতে উদ্ধার পাইব ?--অামি মরিব – ভ্ৰমর মরিবে। তুমি এই চিত্তে বিরাজ করিও— আমি তোমার বলে আত্মজয় করিব।” অভটাদশ পরিচ্ছেদ গোবিন্দলাল গহে প্রত্যাগমন করিলে, ভ্রমর জিজ্ঞাসা করিল, “আজি এত রাত্রি পয্যন্ত বাগানে ছিলে কেন ?” গো। কেন জিজ্ঞাসা করিতেছ? আর কখনও কি থাকি না ? ভ্ৰ। থাক-কিন্তু আজি তোমার মািখ দেখিয়া, তোমার কথার আওয়াজে বোধ হইতেছে, আজি কিছ হইয়াছে। গো। কি হইয়াছে ? ভ্ৰ। কি হইয়াছে, তাহা তুমি না বলিলে আমি কি প্রকারে বলিব ? আমি কি সেখানে ष्ट्ळ्ना ? গো। কেন, সেটা মািখ দেখিয়া বলিতে পার না ? ভ্র । তামাসা রাখ। কথাটা ভাল কথা নহে, সেটা মািখ দেখিয়া বলিতে পারিতেছি। আমায় বল, আমার প্রাণ বড় কাতর হইতেছে। বলিতে বলিতে ভ্ৰমবের চক্ষা দিযা জল পড়িতে লাগিল। গোবিন্দলাল, ভ্রমরের চক্ষের জল মছাইয়া, আদর করিয়া বলিলেন, “আর একদিন বলিব ভ্ৰমর-—আজি নহে।” ভ্ৰ। আজি নহে কেন ? গো। তুমি এখন বালিকা, সে কথা বালিকার শনিয়া কাজ নাই। ভ্ৰ। কাল কি আমি বড়া হইব ? গো। কালও বলিব না—দই বৎসর পরে বলিব। এখন আর জিজ্ঞাসা করিও না, ভ্রমর। ভ্ৰমর দীর্ঘ নিশবাস ত্যাগ করিল। বলিল, “তবে তাই—ব্দই বৎসর পরেই বলিও—আমার ○ WりWり