পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৫৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

क्रुश्काटुख्छन्न ऐछेहेख्ग প্রয়োজন নাই, কেবল উত্তরে কন্ঠস্বর শনিবার প্রয়োজন, এখন সে কথা উঠিয়া গিয়াছে। আগে যখন গোবিন্দলাল ভ্রমর একত্রিত থাকিত, তখন গোবিন্দলালকে ডাকিলে কেহ সহজে পাইত না-ভ্রমরকে ডাকিলে একেবারে পাইত না। এখন ডাকিতে হয় না—হয় “বড় গরমি", নয় ‘কে ডাকিতেছে’, বলিয়া একজন উঠিয়া যায়। সে সন্দের পণিমা মেঘে ঢাকিয়াছে। কাত্তিকী রাকায় গ্রহণ লাগিয়াছে। কে খাঁটি সোণায় দস্তার খাদ মিশাইয়াছে—কে সরবাঁধা যন্ত্রের তার কাটিয়াছে। আর সেই মধ্যাহারবিকরপ্রফতুল্ল হৃদয়মধ্যে অন্ধকার হইয়াছে। গোবিন্দলাল সে অন্ধকারে আলো করিবার জন্য ভাবিত রোহিণী-ভ্রমর সে ঘোর, মহাঘোর অন্ধকারে, আলো করিবার জন্য ভাবিত—যম! নিরাশ্রয়ের আশ্রয়, অগতির গতি, প্রেমশন্যের প্রীতিস্থান তুমি, যম! চিত্তবিনোদন, দঃখবিনাশন, বিপদভঞ্জন, দীনেরঞ্জন তুমি যম! আশাশন্যের আশা, ভালবাসাশন্যের ভালবাসা, তুমি যম! ভ্রমরকে গ্রহণ কর, হে যম! অভটাবিংশতিতম পরিচ্ছেদ তার পর কৃষ্ণকান্ত রায়ের ভারি শ্রাদ্ধ হইয়া গেল। শত্রপক্ষে বলিল যে, হাঁ ঘটা হইয়াছে বটে, পাঁচ সাত দশ হাজার টাকা ব্যয় হইয়া গিয়াছে। মিত্ৰপক্ষ বলিল, লক্ষ টাকা খরচ হইয়াছে। কৃষ্ণকান্তের উত্তরাধিকারিগণ মিত্রপক্ষের নিকট গোপনে বলিল, আন্দাজ পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয় হইয়াছে। আমরা খাতা দেখিয়াছি। মোট ব্যয়, ৩২৩৫৬l/১২৷৷ যাহা হউক, দিনকতক বড় হাঙগামা গেল। হরলাল শ্রদ্ধাধিকারী, আসিয়া শ্রাব্দধ করিল। দিনকতক মাছির ভিনভনানিতে, তৈজসের ঝনঝনানিতে, কাণ্ডগালের কোলাহলে, নৈয়ায়িকের বিচারে, গ্রামে কাণ পাতা গেল না। সন্দেশ মিঠাইয়ের আমদানি, কাণ্ডগালির আমদানি, টিকি নামাবলীর আমদানি, কুটফেবর কুটমব, তস্য কুটস্পােব, তস্য কুটম্পের্বর আমদানি। ছেলেগলা মিহিদানা সীতাভোগ লইয়া ভাঁটা খেলাইতে আরম্ভ করিল ; মাগনীগলা নাবিকেল তৈল মহােঘ দেখিয়া, মাথায় লাচিভাজা ঘি মাখিতে আরম্ভ করিল ; গলির দোকান বন্ধ হইল, সব গলিখোর ফলাহারে ; মদের দোকান বন্ধ হইল, সব মাতাল, টিকি রাখিয়া নামাবলী কিনিয়া, উপস্থিত পত্রে বিদায় লইতে গিয়াছে। চাল মহােঘ হইল, কেন না, কেবল অন্নব্যয় নয়, এত ময়দা খরচ যে, আর চালের গাড়িতে কুলান যায় না ; এত ঘাতের খরচ যে, রোগীরা আর কাল্টর অয়েল পায় না; গোয়ালার কাছে ঘোল কিনিতে গেলে তাহারা বলিতে আরম্ভ করিল, আমার ঘোলট,কু ব্ৰাহ্মণের আশীবাবাদে দই হইয়া গিয়াছে। কোনমতে শ্রান্ধের গোল থামিল, শেষ উইল পড়ার যন্ত্ৰণা আরম্ভ হইল। উইল পড়িয়া হরলাল দেখিলেন, উইলে বিস্তর সাক্ষী—কোন গোল করিবার সম্পভাবনা নাই। হরলাল শ্রাদ্ধান্তে সবসথানে গমন করিলেন। উইল পড়িয়া আসিয়া গোবিন্দলাল ভ্রমরকে বলিলেন, “উইলের কথা শনিয়াছ ?” ভ্ৰ। কি ? গো । তোমার অদধাংশ । ভ্ৰ। আমার, না তোমার ? গো। এখন আমার তোমার একটি প্রভেদ হইয়াছে। আমার নয়, তোমার। ভ্ৰ। তাহা হইলেই তোমার। গো। তোমার বিষয় আমি ভোগ করিব না। ভ্ৰমরের বড়ই কান্না আসিল, কিন্তু ভ্রমর অহঙ্কারের বশীভূত হইয়া রোদন সংবরণ করিয়া বলিল, “তবে কি করিবে ?” গো। যাহাতে দাই পয়সা উপাত্তজনা করিয়া দিনপাত করিতে পারি, তাহাই করব। ভ্ৰ। সে কি ? গো। দেশে দেশে ভ্ৰমণ করিয়া চাকরির চেস্টা করিব। ভ্ৰ। বিষয় আমার জ্যোিঠ শবেশরের নহে, আমার শবশরের। তুমিই তাঁহার উত্তরাধিকারী, আমি নাহি। জ্যেঠার উইল করিবার কোন শক্তিই ছিল না। উইল অসিদ্ধ। আমার পিতা GCCA W)cl