পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৫৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ठूषाबकाटुख्छन्न ऐछझेवा এই যাবা গোবিন্দলাল—ঐ যাবতী রোহিণী। এই গােহ গোবিন্দলাল ক্ৰয় করিয়াছেন। এইখানেই ইহারা সন্থায়ী। অকস্মাৎ রোহিণীর তবলা বেসরা বলিল। ওস্তাদজীর তস্বরার তার ছিড়িল, তাঁর গলায় বিষম। লাগিল-গীত বন্ধ হইল ; গোবিন্দলালের হাতের নবেল পড়িয়া গেল। সেই সময় সেই প্রমোদগাহের দবারে একজন অপরিচিত যাবা পরষ প্রবেশ করিল। আমরা তাহাকে চিনি— সে নিশােকর দাস । ষািঠ পরিচ্ছেদ দিবতল অট্টালিকার উপরতলে রোহিণীর বাস—তিনি হপ পরদানসীন। নিম্নতলে ভূত্যগণ বাস করে। সে বিজনমধ্যে প্রায় কেহই কখনও গোবিন্দলালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে আসিত না—সতরাং সেখানে বহিৰ্ব্ববাটীর প্রয়োজন ছিল না। যদি কালে ভদ্রে কোন দোকানদার বা অপর কেহ আসিত, উপরে বাবার কাছে সংবাদ যাইত; বােব নীচে আসিয়া তাহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতেন। অতএব বাবর বসিবার জন্য নীচেও একটি ঘর ছিল। নিশনতলে দাবারে অবসিয়া দাঁড়াইয়া নিশােকর দাস কহিলেন, “কে আছি গা এখানে ?” গোবিন্দলালের সোণা রপো নামে দাই ভূত্য ছিল। মনতুষ্যের শব্দে দাই জনেই দবারের নিকট আসিয়া নিশাকরকে দেখিয়া বিস্মিত হইল। নিশাকরকে দেখিয়াই বিশেষ ভদ্রলোক বলিয়া বোধ হইল—নিশােকরও বেশভূষা সম্পবন্ধে একট, জাঁক করিয়া গিয়াছেন। সেরােপ লোক কখনও সে চৌকাঠ মাড়ায় নাই—দেখিয়া ভূত্যেরা পরস্পর মািখ চাওয়াচাওয়ি করিতে লাগিল। সোণা জিজ্ঞাসা করিল, “আপনি কাকে খজেন ?” নিশা। তোমাদেরই। বাবকে সংবাদ দাও যে, একটি ভদ্রলোক সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছে। সোণা। কি নাম বলিব ? নিশা। নামের প্রয়োজনই বা কি ? একটি ভদ্রলোক বলিয়া বলিও । এখন, চাকরেরা জানিত যে, কোন ভদ্রলোকের সঙ্গে বােব সাক্ষাৎ করেন না-সেরাপ সর্বভাবই নয়। সতরাং চাকরেরা সংবাদ দিতে বড় ইচ্ছক ছিল না। সোণা ইতস্ততঃ করিতে লাগিল । রংপো বলিল, “আপনি অনৰ্থক আসিয়াছেন—বাব, কাহারও সহিত সাক্ষাৎ করেন না।” নিশা। তবে তোমরা থােক-আমি বিনা সংবাদেই উপরে যাইতেছি । চাকরেরা ফাঁপরে পড়িল । বলিল, “না মহাশয়, আমাদের চাকরি যাবে।” নিশােকর তখন একটি টাকা বাহির করিয়া বলিলেন, “যে সংবাদ করবে, তাহার এই টাকা ।” সোণা ভাবিতে লাগিল—এর পো চিলের মত ছোঁ মারিয়া নিশাকরের হাত হইতে টাকা লইয়া উপরে সংবাদ দিতে গেল । গাহটি বেস্টন করিয়া যে পক্ষেপাদ্যান আছে, তাহা অতি মনোরম। নিশােকর সোণাকে বলিলেন, “আমি এ ফালবাগানে বেড়াইতেছি—আপত্তি করিও না—যখন সংবাদ আসিবে, তখন আমাকে ঐখান হইতে ডাকিয়া আনিও ।” এই বলিয়া নিশােকর সোণার হাতে আর একটি টাকা দিলেন। রংপো যখন বাবার কাছে গেল, তখন বাবা কোন কাৰ্য্যবশতঃ অনবসর ছিলেন, ভূত্য তাঁহাকে নিশাকরের সংবাদ কিছই বলিতে পারিল না। এ দিকে উদ্যান ভ্ৰমণ করিতে করিতে নিশােকর একবার উদ্ধাির্বদন্টি করিয়া দেখিলেন, এক পরমা সন্দেরী জানেলায় দাঁড়াইয়া তাঁহাকে দেখিতেছে। রোহিণী নিশাকরকে দেখিয়া ভাবিতেছিল, “এ কে ? দেখিয়া বোধ হইতেছে যে, এ দেশের লোক নয়। বেশভূষা রকম সকম দেখিয়া বোঝা যাইতেছে, বড় মানষ বটে। দেখিতেও সপরিষ--গোবিন্দলালের চেয়ে ? না, তা নয়। গোবিন্দলালের রঙ ফরশা—কিন্তু এর মািখ চোখ ভাল। বিশেষ চোখ—আ মরি! কি চোখ ! এ কোথা থেকে এলো ? হালদাগাঁয়ের লোক ত নয়—সেখানকার সবাইকে চিনি। ওর সঙ্গে দটো কথা কইতে পাই না ? ক্ষতি কি-আমি ত কখনও গোবিন্দলালের কাছে বিশ্ববাসঘাতিনী হইব না।” রোহিণী। এইরপ ভাবিতেছিল, এমত সময়ে নিশােকর উন্নতমখে উদ্ধর্বদন্টি করাতে চারি ○ げ>