পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৫৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

क्रुश्काठख्छन्न ऐछझेव्श লিখিতেও ইচ্ছক নহেন। সতরাং আপনার অভিপ্রায় জানিবার ভার আমার উপরেই পড়িল । আমি অনেক সন্ধানে আপনার ঠিকানা জানিয়া, আপনার অনমতি লাইতে আসিয়াছি।” গোবিন্দলাল কোন উত্তর করিলেন না—বড় অন্যমনস্ক! অনেক দিনের পর ভ্রমরের কথা শনিলেন—তাঁহার সেই ভ্ৰমর!!! প্রায় দই বৎসর হইল! নিশােকর কতক কতক বঝিলেন। পনেরপি বলিলেন, “আপনার যদি মত হয়, তবে এক ছত্ৰ লিখিয়া দিন যে আপনার কোন আপত্তি নাই। তাহা হইলেই আমি উঠিয়া যাই।” গোবিন্দলাল কিছই উত্তর করিলেন না। নিশােকর বঝিলেন, আবার বলিতে হইল। আবার আসল কথাগালি বঝাইয়া বলিলেন। গোবিন্দলাল এবার চিত্ত সংযত করিয়া কথা সকল শনিলেন। নিশাকরের সকল কথাই যে মিথ্যা, তাহা পাঠক বঝিয়াছেন, কিন্তু গোবিন্দলাল তাহা কিছই বাঝেন নাই। পাকবীকার উগ্রভাব পরিত্যাগ করিয়া বলিলেন, “আমার অনমতি লওয়া অনাবশ্যক। বিষয় আমার স্ত্রীর, আমার নহে, বোধ হয় তাহা জানেন। তাঁহার যাঁহাকে ইচ্ছা পত্তানি দিবেন, আমার বিধি নিষেধ নাই। আমি কিছ লিখিব না। বোধ হয় এখন আপনি আমাকে অব্যাহতি দিবেন।” কাজে কাজেই নিশাকরকে উঠিতে হইল। তিনি নীচে নামিয়া গেলেন। নিশােকর গেলে, গোবিন্দলাল দানেশ খাঁকে বলিলেন, “কিছ গাও।” দানেশ খাঁ প্রভুর আজ্ঞা পাইয়া, আবার তত্সমবােরায় সদর বাঁধিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কি গাইব ?” “যা খসি।” বিলিয়া গোবিন্দলাল তবলা লইলেন। গোবিন্দলাল পর্বেই কিছ কিছ: বাজাইতে জানিতেন, এক্ষণে উত্তম বাজাইতে শিখিয়াছিলেন ; কিন্তু আজি দানেশ খাঁর সঙ্গে তাঁহার সওগত হইল না, সকল তালই কাটিয়া যাইতে লাগিল। দানেশ খাঁ বিরক্ত হইয়া তক্ষবরা ফেলিয়া গীত বন্ধ করিয়া বলিল, “আজ আমি ক্লান্ত হইয়াছি।” তখন গোবিন্দলাল একটা সেতার লইয়া বাজাইবার চেস্টা করিলেন, কিন্তু গৎ সব ভুলিয়া যাইতে লাগিলেন। সেতার ফেলিয়া নবেল পড়িতে আরম্ভ করিলেন। কিন্তু যাহা পড়িতেছিলেন, তাহার অর্থবোধ হইল না। তখন বহি ফেলিয়া গোবিন্দলাল শয়নগহমধ্যে গেলেন। রোহিণীকে দেখিতে পাইলেন না, কিন্তু সোণা। চাকর নিকটে ছিল। দবার হইতে গোবিন্দলাল, সোণাকে বলিলেন, “আমি এখন একট, ঘমাইব, আমি আপনি না উঠিলে আমাকে কেহ যেন উঠায় না।” এই বলিয়া গোবিন্দলাল শয়নঘরের দাবার রদ্ধ করিলেন। তখন সন্ধ্যা উত্তীণ হয়। দবার রদ্ধ করিয়া গোবিন্দলাল ত ঘামাইল না। খাটে বসিয়া, দই হাত মাখে দিয়া কাঁদিতে আরম্ভ করিল। কেন যে কাঁদিল, তাহা জানি না। ভ্রমরের জন্য কাঁদিল, কি নিজের জন্য কাঁদিল, তা বলিতে পারি না। বোধ হয়। দইই। আমরা ত কান্না বৈ গোবিন্দলালের অন্য উপায় দেখি না। ভ্রমরের জন্য কাঁদিবার পথ আছে, কিন্তু ভ্রমরের কাছে ফিরিয়া যাইবার আর উপায় নাই। হরিদ্রাগ্রামে আর মািখ দেখাইবার কথা নাই। হরিদ্রাগ্রামের পথে কাঁটা পড়িয়াছে। কান্না বৈ তা আর উপায় নাই! সপতম পরিচ্ছেদ যখন নিশােকর আসিয়া বড় হলে বসিল, রোহিণীকে সতরাং পাশের কামরায় প্রবেশ করিতে হইয়াছিল। কিন্তু নয়নের অন্তরাল হইল মাত্ৰ-শ্রবণের নহে। কথোপকথন যাহা হইল—— সকলই কাণ পাতিয়া শানিল। বরং দবারের পরদাটি একটা সরাইয়া, নিশাকরকে দেখিতে লাগিল। নিশােকরও দেখিল যে, পরদার পাশ হইতে একটি পটোলচেরা চোখ তাকে দেখিতেছে। রোহিণী শানিল যে, নিশােকর অথবা রাসবিহারী হরিদ্রাগ্রাম হইতে আসিয়াছে। রাপে চাকরও রোহিণীর মত সকল কথা দাঁড়াইয়া শনিতেছিল। নিশােকর উঠিয়া গেলেই রোহিণী পরদার পাশ হইতে মািখ বাহির করিয়া আণ্ডগলের ইশারায় রপোকে ডাকিল। রংপো কাছে আসিলে, তাহাকে কাণে কাণে বলিল, “যা বলি তা পারবি ? বাবকে সকল কথা ল’কাইতে হইবে। যাহা করিবি, তাহা যদি বাবা, কিছ না জানিতে পারেন, তবে তোকে পাঁচ টাকা বখশিশ, দিব।” (సి ఏ