পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৬০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

क्रुश्काठड्छन्न प्लेशेव्ज করে নাই। সেইখানে সন্ধ্যা হইল। কাননে অন্ধকার হইল। আকাশে নক্ষত্ৰ ফটিল। পথিবী নীরব হইল। গোবিন্দলাল সেইখানে । অকস্মাৎ সেই অন্ধকার, সাতবধ বিজন মধ্যে গোবিন্দলালের উন্মাদগ্ৰস্ত চিত্ত বিষম বিকার প্রাপ্ত হইল। তিনি সপত্রটােক্ষরে রোহিণীর কন্ঠস্বর শনিলেন। রোহিণী। উচ্চৈঃস্বরে যেন বলিতেছে, “এইখানে!” গোবিন্দলালের তখন আর সমবাণ ছিল না যে, রোহিণী মারিয়াছে। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “এইখানে—কি ?” যেন শনিলেন, রোহিণী বলিতেছে— “এমনি সময়ে!” গোবিন্দলাল কলে বলিলেন, “এইখানে, এমনি সময়ে, কি রোহিণি ?” মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত গোবিন্দলাল শনিলেন, আবার রোহিণী উত্তর করিল, “এইখানে, এমন সময়ে, ঐ জলে, • 'आश्वि फुविशाछिब्जान्न !' গোবিন্দলাল আপন মানসোদ্ভূত এই বাণী শনিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমি ডুবিব ?” আবার ব্যাধিজনিত উত্তর শনিতে পাইলেন, “হাঁ, আইস। ভ্রমর সবগে বসিয়া বলিয়া পাঠাইতেছে, তাহার পণ্যবলে আমাদিগকে উদ্ধার করিবে। প্রায়শ্চিত্ত কর। মর।” গোবিন্দলাল চক্ষ বাজিলেন। তাঁহার শরীর অবসন্ন, বেপমান হইল। তিনি মচ্ছিত হইয়া সোপান শিলার উপরে পতিত হইলেন। ১ মাগধাবস্থায়, মানস চক্ষে দেখিলেন, সহসা রোহিণীমত্তি অন্ধকারে মিলাইয়া গেল। তখন দিগন্ত ক্ৰমশঃ প্রভাসিত করিয়া জ্যোতিৰ্ম্মময়ী ভ্রমরমাত্তি সম্মখে উদিত হইল। ভ্রমরমাত্তি বলিল, “মরিবে কেন ? মারিও না। আমাকে হারাইয়াছ, তাই মরিবে ? অামার অপেক্ষাও প্রিয় কেহ আছেন। বাঁচিলে তহিকে পাইবে।” গোবিন্দলাল সে রাত্ৰে মচ্ছিত অবস্থায় সেইখানে পড়িয়া রহিলেন। প্রভাতে সন্ধান পাইয়া তাঁহার লোকজন তাঁহাকে তুলিয়া গহে লইয়া গেল। তাঁহার দরবস্থা দেখিয়া মাধবীনাথেরও দয়া হইল। সকলে মিলিয়। তাঁহার চিকিৎসা করাইলেন। দই তিন মাসে গোবিন্দলাল প্রকৃতিস্থ হইলেন। সকলেই প্রত্যাশা করিতে লাগিলেন যে, তিনি এক্ষণে গহে বাস করিবেন। কিন্তু গোবিন্দলাল তাহা করিলেন না। এক রাত্রি তিনি কাহাকে কিছ না। বলিয়া কোথায় চলিয়া গেলেন । কেহ আর তাঁহার কোন সংবাদ পাইল না। সাত বৎসর পর, তাঁহার শ্রদ্ধ হইল । পরিশিশুটি গোবিন্দলালের সম্পপত্তি তাঁহার ভাগিনেয়। শচীকান্ত প্ৰাপত হইল। শচীকান্ত বয়ঃপ্ৰাপত । শচীকান্ত প্রত্যহ সেই ভ্ৰণাটশোেভ কাননে—যেখানে আগে গোবিন্দলালের প্রমোদোদ্যান ছিল —এখন নিবিড় জওগল—সেইখানে বেড়াইতে আসিত। শচীকান্ত সেই দঃখময়ী কাহিনী সবিস্তারে শনিয়াছিল। প্রত্যহ সেইখানে বেড়াইতে আসিত, এবং সেইখানে বসিয়া সেই কথা ভাবিত। ভাবিয়া ভাবিয়া আবার সেইখানে সে উদ্যান প্ৰস্তুত করিতে আরম্ভ করিল। আবার বিচিত্র রেলিং প্রস্তুত করিল—পােস্করিণীতে নামিবার মনোহর কৃষ্ণপ্রস্তর নিশ্চিমত সোপােনাবলী গঠিত করিল। আবার কেয়ারি করিয়া মনোহর বক্ষশ্রেণী সকল পাতিল। কিন্তু আর রঙ্গিন ফলের গাছ বসাইল না। দেশী গাছের মধ্যে বকুল, কামিনী, বিদেশী গাছের মধ্যে সাইপ্রেস ও উইলো।—প্রমোদভবনের পরিবত্তে একটি Ꮤ ᎤᏩ