পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मद्दशभिर्नान्झनौं বীরেন্দ্ৰসিংহ পত্র পাঠ করিয়া কহিলেন, “দত! তোমার প্রভুকে কহিও, তিনিই সেনা প্রেরণ করােন।” দত নতশির হইয়া প্ৰস্থান করিল। সকল কথা অন্তরালে থাকিয়া বিমলা আদ্যোপানত শ্রবণ করিলেন। ܩܝܫܝܡ-ܡ সম্প্ৰতম পরিচ্ছেদ ঃ অসাবধানতা দগের যে ভাগে দগমলে বিধৌত করিয়া আমোদর নদী কলকল রবে প্রবহণ করে, সেই অংশে এক কক্ষবাতায়নে বসিয়া তিলোত্তম নদীজলাবত্ত নিরীক্ষণ করিতেছিলেন। সায়াহ কাল উপস্থিত, পশ্চিমগগনে অসন্তাচলগত দিনমণির মলােন কিরণে যে সকল মেঘ কাণ8নকানিত ধারণ করিয়াছিল, তৎসহিত নীলাম্বরপ্রতিবিম্ব স্রোতস্বতীজলমধ্যে কম্পিত হইতেছিল; নদীপারস্থিত উচ্চ অট্টালিকা এবং দীঘ তরবের সকল বিমলাকাশপটে চিত্ৰবৎ দেখাইতেছিল; দগমধ্যে ময়র সারস্যাদি কলনাদী পক্ষিগণ প্ৰফােল্লচিত্তে রব করিতেছিল; কোথাও রজনীর উদয়ে নীড়ান্বেষণে ব্যস্ত বিহঙগাম নীলাম্ববরতলে বিনা শবেদ উড়িতেছিল; আমুকানন দোলাইয়া আমোদর-সপশশীতল নৈদাঘা বায় তিলোত্তমার অলককুন্তল অথবা অংসারােঢ় চারবাস কম্পিত করিতেছিল। তিলোত্তমা সন্দরী। পাঠক! কখন কিশোর বয়সে কোন স্থিরা, ধীরা, কোমল-প্রকৃতি কিশোরীর নবসঞ্চারিত লাবণ্য প্রেমচক্ষতে দেখিয়াছেন ? একবার মাত্ৰ দেখিয়া চিরজীবন মধ্যে যাহার মাধ্যায্য বিস্মত হইতে পারেন নাই; কৈশোরে, যৌবনে, প্ৰগলভ বয়সে, কায্যে, বিশ্রামে, জাগ্রতে, নিদ্রায়, পািনঃ পািনঃ যে মনোমোহিনী মাত্তি সমরণ-পথে সর্বপনাবৎ যাতায়াত করে, অথচ তৎসম্পবন্ধে কখনও চিত্তমালিন্যজনক লালসা জন্মায় না, এমন তরণী দেখিয়াছেন ? যদি দেখিয়া থাকেন, তবেই তিলোত্তমার অবয়ব মনোমধ্যে সবরপ অনভূত করিতে পারিবেন। যে মাত্তি সৌন্দৰ্য্যপ্রভাপ্রাচুয্যে মন প্রদীপ্ত করে, যে মাত্তি লীলালাবণ্যাদির পরিপাট্য হৃদয়মধ্যে বিষধরদন্ত রোপিত করে, সে এ মাত্তি নহে; যে মাত্তি কোমলতা, মাধয্যাদি গণে চিত্তের সন্তুটি জন্মায়, এ সেই মাত্তি। যে মাত্তি সন্ধ্যা সমীরণকলিপতা বসন্তলতার ন্যায় সম্যুতিমধ্যে দলিতে থাকে, এ সেই মাত্তি । তিলোত্তমার বয়স ষোড়শ বৎসর, সতরাং তাঁহার দেহায়তন প্ৰগলভবয়সী রমণীদিগের ন্যায় অদ্যাপি সম্পর্ণিতা প্ৰাপত হয় নাই। দেহায়তনে ও মািখাবয়বে কিঞ্চিৎ বালিকাভাব ছিল। সংগঠিত সগোল ললাট, অপ্রশস্ত নহে, অথচ অতিপ্রশস্তও নহে, নিশীথ-কোেমাদীদলীপত নদীর ন্যায় প্রশান্তভাব-প্রকাশক: তৎপাশেব অতি নিবিড়-বর্ণ কুঞিতালক সকল ভ্ৰযোগে, কপোলে, গণেন্ড, অংসে, উরসে আসিয়া পড়িয়াছে; মস্তকের পশ্চাদভাগে অন্ধকারময় কেশরাশি সবিন্যস্ত মত্তাহারে গ্রথিত রহিয়াছে; ললাটতলে ভ্ৰযোেগ সবণ্ডিকম, নিবিড়-বণ, চিত্রকর লিখিতবং হইয়াও কিঞ্চিৎ অধিক সক্ষমাকার; আর এক সীতা স্থল হইলে নিদোষ হইত। পাঠক কি চঞ্চল চক্ষ ভালবাস ? তবে তিলোত্তমা তোমার মনোরঞ্জিনী হইতে পারিবে না। তিলোত্তমার চক্ষ অতি শান্ত; তাহাতে “বিদ্যােন্দামসফরণচকিত” কটাক্ষ নিক্ষেপ হইত না। চক্ষ দটি অতি প্রশস্ত, অতি সঠিাম, অতি শান্তজ্যোতিঃ । আর চক্ষর বর্ণ উষাকালে সায্যোদয়ের কিঞ্চিৎ পর্বে, চন্দ্রাস্তের সময়ে আকাশের যে কোমল নীলবৰ্ণ প্রকাশ পায়, সেইরাপ; সেই প্রশস্ত পরিস্কার চক্ষে যখন তিলোত্তম দালিট করিতেন, তখন তাহাতে কিছমাত্র কুটিলতা থাকিত না ; তিলোত্তমা অপাণ্ডেগ আন্ধােদম্মিট করিতে জানিতেন না, দন্টিতে কেবল ধ্রুপস্টতা আর সরলতা ; দটির সরলতাও বটে, মনের সরলতাও বটে ; তবে যদি তাঁহার পানে কেহ চাহিয়া দেখিত, তবে তৎক্ষণাৎ কোমল পল্লব দািখানি পড়িয়া যাইত; তিলোত্তমা। তখন ধরাতল ভিন্ন অন্যত্ৰ দণ্ডিণ্ট করিতেন না। ওঠাধর দািখানি গোলাবী, রসে টলমল করিত; ছোট ছোট, একটি ঘরান, একটা ফলান, একট, হাসি হাসি; সে ওঠাধরে যদি একবার হাসি দেখিতে, তবে যোগী হও, মানি হও, যাবা হও, বদ্ধ হও, আর ভুলিতে পারিতে না। অথচ সে হাসিতে সরলতা ও বালিকাভাব ব্যতীত আর কিছই ছিল না। তিলোত্তমার শরীর সংগঠন হইয়াও পণােয়ত ছিল না; বয়সের নবীনতা প্ৰযন্তই হউক বা শরীরের সবাভাবিক গঠনের জন্যই হউক, এই সন্দর দেহে ক্ষীণতা ব্যতীত সস্থলতাগণ ছিল না। অথচ তন্বীর শরীরমধ্যে সকল সস্থানই সগোল আর সললিত। সগোল প্রকোন্ঠে রত্নবলয়; V! WSD