পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৬৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ज्ञाछर्गन९छ् যে সকল দোলা মোগল সেনার সঙ্গে ছিল, যন্ধে ভীত হইয়া তাহার বাহকেরা কতকগলি লইয়া পলায়ন করিয়াছিল। দরিয়া যাদ্ধক্ষেত্রে মবারককে কম্পমগন হইতে দেখিয়া, প্রথমেই দোলার সন্ধানে গিয়াছিল। পলাতক বাহকদিগকে সন্ধান করিয়া, দইখানা দোলা ঠিক করিয়া রাখিয়াছিল। তার পর এখন, সেই দোলা ডাকিয়া আনিল। একখানায় আহত মবারককে তুলিল, একখানায় সন্বয়ং উঠিল। তখন মবারককে লইয়া দরিয়া দিল্লীর পথে চলিল। দোলায় উঠিবার সময় মবারক দরিয়ার মািখচুম্বন করিয়া বলিল, “আর কখনও তোমায় ত্যাগ করিব না।” উপযক্ত স্থানে উপস্থিত হইয়া, দরিয়া মবারকের শাশ্রষা করিল। দরিয়ার চিকিৎসাতেই মবারক আরোগ্য লাভ করিল। N দিল্লীতে পৌছিলে, মবারক দরিয়ার হাত ধরিয়া আপন গহে লইয়া গেল। দিন কত ইহাতে উভয়ে বড় সখী হইল। তার পর ইহার যে ফল উপস্থিত হইল, তাহা ভয়ানক। দরিয়ার পক্ষে ভয়ানক, মবারকের পক্ষে ভয়ানক, জেব-উন্নিসার পক্ষে ভয়ানক, ঔরঙ্গজেবের পক্ষে ভয়ানক। সে অপৰ্ব্ব রহস্য আমি পশ্চাৎ বলিব। এক্ষণে চঞ্চলকুমারীর কথা কিছর বলা অবশ্যক । দিবতীয় পরিচ্ছেদ ঃ রাজসিংহের পরাভব রাজসিংহ উদয়পরে আসিলেন বলিয়াছি। চঞ্চলকুমারীর উদ্ধারের জন্য যাদ্ধ, এজন্য চঞ্চলকুমারীকেও উদয়পরে লইয়া আসিয়া রাজাবরোধে সংস্থাপিত করিলেন। কিন্তু তাঁহাকে উদয়পরে রাখিবেন, কি রােপনগরে তাঁহার পিতার নিকট পঠাইয়া দিবেন, ইহার মীমাংসা তাঁহার পক্ষে কঠিন হইল। তিনি যত দিন ইহার সমীমাংসা করিতে না পারিলেন, তত দিন চ৭8লকুমারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিলেন না। এ দিকে চঞ্চলকুমারী রাজার ভাবগতিক দেখিয়া অতিশয় বিস্মিত হইলেন। ভাবিলেন, “রাজা যে আমাকে বিবাহ করিয়া গ্রহণ করিবেন, এমন ত ভাবগতিক কিছই দেখিতেছি না। যদি না করেন, তবে কেন আমি উহার অন্তঃপরে বাস করিব ? যাবই বা কোথায় ?” রাজসিংহ কিছ মীমাংসা করিতে না পারিয়া, কতিপয় দিন পরে, চঞ্চলকুমারীর মনের ভাব জানিবার জন্য তাঁহার কাছে গিয়া উপস্থিত হইলেন। যাইবার সময়ে, যে পত্ৰখানি চঞ্চলকুমারী অনন্ত মিশ্রের হাতে পাঠাইয়াছিলেন, যাহা রাজসিংহ মাণিকলালের নিকট পাইয়াছিলেন, তাহা লইয়া গেলেন। রাণা আসন গ্রহণ করিলে, চণ্ডলকুমারী তাঁহাকে প্ৰণাম করিয়া, সলজ এবং বিনীতভাবে এক পাশেবা দাঁড়াইয়া রহিলেন। লোকমনোমোহিনী মাত্তি দেখিয়া রাজা একটা মগধ হইলেন। কিন্তু তখনই মোহ পরিত্যাগ করিয়া বলিলেন, “রাজকুমারি! এক্ষণে তোমার কি অভিপ্রায়, তাহা জানিবার জন্য আমি আসিয়াছি। তোমার পিত্ৰালয়ে যাইবার অভিলাষ, না। এইখানে शाक८ऊशे क्षदीड ?' শনিয়া চঞ্চলকুমারীর হৃদয় যেন ভাঙ্গিয়া গেল। তিনি কথা কহিতে পারিলেন না—নীরবে: রাঁহিলেন। তখন রাণা চ৭8লকুমারীর পত্ৰখানি বাহির করিয়া চঞ্চলকুমারীকে দেখাইলেন। জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ তোমার পত্র বটে ?” চুঞ্চল বলিল, “আজ্ঞা হাঁ।” রাণা। কিন্তু সবটাঁকু এক হাতের লেখা নহে। দই হাতের লেখা দেখিতেছি। তোমার নিজের হাতের কোন অংশ আছে কি ? চঞ্চল। প্রথম ভাগটা আমার হাতের লেখা। রাণা। তবে শেষ ভাগটা অন্যের লেখা ? পাঠকের সমরণ থাকিবে যে, এই শেষ অংশেই বিবাহের প্রস্তাবটা ছিল। চঞ্চলকুমারী উত্তর করিলেন, “আমার হাতের নহে ।” রাজসিংহ জিজ্ঞাসা করিলেন, “কিন্তু তোমার সম্পমতিক্ৰমেই ইহা লিখিত হইয়াছিল ?” প্রশনটা অতি নিন্দয়। কিন্তু চণ্ডলকুমারী আপনার উন্নত স্বভাবের উপযক্ত উত্তর করিলেন। VGtny