পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দগেশনন্দিনী অহোরাত্ৰ তিলোত্তমার ভাবগতিক विलकम कत्रिशा हर्नाथहडौंछ, आभाद्र भएनधभन বোধ হইয়াছে যে, তিলোত্তমার মনোমধ্যে অতি প্রগাঢ় অনােরাগের সঞ্চার হইয়াছে।” পরমহংস ঈষৎ হাস্য করিয়া কহিলেন, “তোমরা সত্ৰীলোক; মনোমধ্যে অন্যরাগের লক্ষণ দেখিলেই গাঢ় অন্যরাগ বিবেচনা কর। বিমলে, তিলোত্তমার মনের সখের জন্য চিন্তিত হইও না; বালিকা— স্বভাবতঃই প্রথম দর্শনে মনশ্চাঞ্চল্য হইয়াছে; এ বিষয়ে কোন কথাবাত্তা উত্থাপন না হইলেই শীঘ্র জগৎ সিংহকে বিস্মত হইবে।” বিমলা কহিল, “না না, প্ৰভু, সে লক্ষণ নয়। পক্ষমধ্যে তিলোত্তমার স্বভাব পরিবত্তন হইয়াছে! তিল্লুেক্তমা আমার সঙ্গে কি বয়স্যাদিগের সঙ্গে সেরাপ দিবারাত্ৰ হাসিয়া কথা কহে না; তিলোত্তমা আর প্রায় কথা কয় না; তিলোত্তমার পস্তকসকল পালঙ্কের নীচে পড়িয়া পচিতেছে ; তিলোত্তমার ফলগাছসকল জলাভাবে শতক হইল ; তিলোত্তমার পাখীগলিতে আর সে যত্ন নাই; তিলোত্তমা নিজে আহার করে না; রাত্রে নিদ্রা যায় না; তিলোত্তমা বেশভূষা করে না; তিলোত্তম! কখন চিন্তা করে না, এক্ষণে দিবানিশি অন্যমনে থাকে। তিলোত্তমার মাখে কালিমা পড়িয়াছে।” অভিরাম স্বামী শনিয়া নিস্তবধ রহিলেন। ক্ষণেক পরে কহিলেন, “আমার বোধ ছিল যে, দশনমাত্র গাঢ় অন্যরাগ জন্মিতে পারে না; তবে সত্ৰীচরিত্র, বিশেষতঃ বালিকাচরিত্র ঈশবরই জানেন। কিন্তু কি করিবে ? বীরেন্দ্র এ সম্পবন্ধে সম্মত হইবে না।” বিমলা কহিল, “আমি সেই আশঙ্কায় এ পয্যন্ত ইহার কোন উল্লেখ করি নাই, মন্দিরমধ্যেও জগৎ সিংহকে পরিচয় দিই নাই। কিন্তু এক্ষণে যদি সিংহ মহাশয়”—এই কথা বলিতে বিমলার মখের কিঞ্চিৎ ভাবান্তর হইল—“এক্ষণে যদি সিংহ মহাশয় মানসিংহের সহিত মিত্ৰতা করিলেন, তবে জগৎ সিংহকে জামাতা করিতে হানি কি ?” অ। মানসিংহই বা সম্মমত হইবে কেন ? বি। না হয়, যােবরাজ সবাধীন। অ । জগৎ সিংহই বা বীরেন্দ্ৰসিংহের কন্যাকে বিবাহ করিবে কেন ? বি। জাতিকুলের দোষ কোন পক্ষেই নাই, জয়ধরসিংহের পর্বে পরিষেরাও যাদববংশীয়। অ। যাদৱবংশীয় কন্যা মসলমানের শ্যালকপত্রের বধ্য হইবে ? বিমলা উদাসীনের প্রতি স্থিরদন্টি করিয়া কহিল, “না হইবেই বা কেন, যদ্যবংশের কোন কুল ঘণ্য ?” এই কথা বলিবামাত্র ক্ৰোধে পরমহংসের চক্ষ হইতে অগিন স্ফরিত হইতে লাগিল; কঠোর স্বরে কহিলেন, “পাপীয়সি! নিজ হতভাগ্য বিস্মত হও নাই ? দরি হও!” नवभ अबिदृश्न 3 कूवडब्लक জগৎ সিংহ পিতৃচরণ হইতে সসৈন্য বিদায় হইয়া যে যে কাৰ্য্য করিলেন, তাহাতে পাঠান সৈন্যমধ্যে মহাভীতি প্রচার হইল। কুমার প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলেন, পঞ্চ সহস্র সেনা লইয়া তিনি কতল, খাঁর পঞ্চাশৎ সহস্রকে সাবর্ণরেখা পার করিয়া দিবেন, যদিও এ পৰ্য্যন্ত তত দর কৃতকাৰ্য্য হইবার সম্পভাবনা দেখাইতে পারেন নাই, তথাপি তিনি শিবির হইতে আসিয়া দুই সন্তাহে যে পৰ্য্যন্ত যোদ্ধাপতিত্ব গণের পরিচয় দিয়াছিলেন, তাহা শ্রবণ করুিয়া মানসিংহ জগৎ সিংহ উত্তমরাপে জানিতেন, পঞ্চ সহস্ৰ সেনা লইয়া পঞ্চাশৎ সহস্রকে সম্পমখসংগ্রামে বিমাখ করা কোনরপেই সম্ভব নহে, বরং পরাজয় বা মহত্যু নিশ্চয়। অতএব সম্মমাখসূংগ্রামের চেষ্টায় না থাকিয়া, যাহাতে সম্পমখসংগ্রাম না হয়, এমন প্রকার রণপ্রণালী অবলম্বন করিলেন। তিনি নিজ সামান্যসংখ্যক সেনা সব্বদা অতি গোপনে লক্কায়িত রাখিতেন, নিবিড় বনমধ্যে বা ঐ প্রদেশে সমদ্র-তরঙ্গবৎ কোথাও নিম্পন্ন, কোথাও উচ্চ যে সকল ভূমি আছে, তন্মধ্যে এমন স্থানে শিবির করতেন যে, পাশবািবত্তীর্ণ উচ্চ ভূমিখন্ড সকলের অন্তরালে, অতি নিকট হইতেও কেহ তাহার সেনা দেখিতে পাইত না। এইরূপ গোপন ভাবে থাকিয়া, যুখন কোথাও স্বল্পসংখ্যক পাঠান সেনার সন্ধান পাইতেন, তরঙ্গপ্রপাতিবৎ বেগে তদনুপরি সসৈন্য পতিত হইয়া তাহা একেবারে নিঃশেষ করতেন। তাঁহার বহসংখ্যক চর ছিল ; তাহারা ফলমলমৎস্যাদিবিক্রেতা বা ভিক্ষক VC: