পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৬৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

व७कभ ब्रा5नावली রাজসিংহ প্রথমেই তাহা করিলেন । পৰ্ব্ববতমালার বাহিরে, রাজ্যের যে অংশ সমতল, তাহা ছাড়িয়া দিয়া, পববতোপরি আরোহণ করিয়া সেনা সংস্থাপিত করিলেন। তিনি নিজ সৈন্য তিন ভাগে বিভক্ত করিলেন। এক ভাগ, তাঁহার জ্যোিঠ পত্র জয়সিংহের কর্তৃত্বাধীনে পৰ্ব্বতশিখরে সংস্থাপিত করিলেন। দ্বিতীয় ভাগ, দ্বিতীয় পত্র ভীমসিংহের অধীনে পশ্চিমে সংস্থাপিত করিলেন; সে দিকের পথ খোলা থাকে, অন্যান্য রাজপতিগণ সেই পথে প্রবেশ করিয়া সাহায্য করেন, ইহাও অভিপ্রেত। নিজে তৃতীয় ভাগ লইয়া পববাদিকে নয়ন নামে গিরিসঙ্কটমধ্যে উপবিভােট হইলেন। আজম শাহ সৈন্য লইয়া যেখানে উপস্থিত হইলেন, সেখানে ত পৰ্ব্ববতমালায় তাঁহার গতিরোধ হইল। আরোহণ করিবার সাধ্য নাই; উপর হইতে গোলা ও শিলাবন্টি হয়। ব্রুিয়াবাড়ীর দাবার বন্ধ হইলে, কুকুর। যেমন রন্ধ দেবার ঠেলা ঠেলি করে, কিছল করিতে পারে না, তিনি সেইরােপ পাববত্য দাবার ঠেলা ঠেলি করিতে লাগিলেন—ঢকিতে পাইলেন না। ঔরঙ্গজেবের সঙ্গে আজমীরে আকববরের মিলন হইল। পিতাপমাত্র সৈন্য মিলাইয়া পৰ্ব্বতমালার মধ্যে যেখানে তিনটি পথ খোলা, সে দিকে আসিলেন । এই তিনটি পথ, গিরিসঙ্কট । একটির নাম দোবারি; আর একটি দায়েলবারা; আর একটি পািৰবাকথিত নয়ন। দোবারিতে পৌছিলে পর, ঔরঙ্গজেব, আকববরকে ঐ পথে পঞ্চাশ হাজার সৈন্য লইয়া আগে আগে যাইতে অননুমতি করিয়া উদয়সাগর নামে বিখ্যাত সরোবরতীরে শিবির সংস্থাপনপর্ববর্তক স্বয়ং কিঞ্চিৎ বিশ্রাম লাভের চেস্টা করিলেন । শাহজাদা আকবর, পাব্বিত্য পথে উদয়পরে প্রবেশ করিতে চলিলেন। জনপ্রাণী তাঁহার গতিরোধ করিল না। রাজপ্রাসাদমালা, উপবন শ্রেণী, সরোবর, তন্মধ্যস্থ উপদ্বীপ সকল দেখিলেন, কিন্তু মনষ্যে মাত্ৰ দেখিতে পাইলেন না। সমস্ত নীরব। আককবর তখন শিবির সংস্থাপন করিলেন ; মনে করিলেন যে, তাঁহার ফৌজের ভয়ে দেশের লোক পলাইয়াছে। মোগলীশিবিরে আমোদ-প্রমোদ হইতে লাগিল। কেহ ভোজনে, কেহ খেলায়, কেহ নেমাজে রত। এমন সময়ে সপত পথিকের উপর যেমন বাঘ লাফাইয়া পড়ে, কুমার জয়সিংহ তেমনই শাহজাদা আকবরের উপর লাফাইয়া পড়িলেন। বাঘ, প্রায় সমস্ত মোগলকে দংষ্ট্ৰামধ্যে পরিল-প্রায় কেহ বাঁচিল না। পঞ্চাশ সহস্ৰ মোগলের মধ্যে অলপই ফিরিল। শাহজাদা গজরাট অভিমখে পলাইলেন । মাজম শাহ, যাঁহার নামান্তর শাহ আলম, তিনি দাক্ষিণাত্য হইতে সৈন্যরাশি লইয়া, আহমদাবাদ ঘরিয়া, পবর্বতমালার পশ্চিম প্রান্তে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। সেই পথ, গণরাও নামক পাববত্য পথ। তিনি সেই পথ উত্তীণ হইয়া কাঁকরলির সমীপবিত্তীর্ণ সরোবর ও রাজপ্রাসাদমালার নিকট উপস্থিত হইয়া দেখিলেন, আর পথ নাই। পথ করিয়া অগ্রসর হইতেও পারেন না। তাহা হইলে রাজপত্যেরা তাঁহােব পশ্চাতের পথ বন্ধ করিবে--রসদ আনিবার আর উপায় থাকিবে না— না খাইয়া মরিবেন। যাঁহারা যথার্থ সেনাপতি, তাঁহারা জানেন যে, হাতে মারলে যাদ্ধ হয় না।--পেটে মারিতে হয়। যাঁহারা যথার্থ সেনাপতি, তাঁহারা জানেন যে, পেট চলিবার উপায় বজায় রাখিয়া— হাত চালান চাই। শিখেরা আজিও রোদন করিয়া বলে, শিখ সেনাপতিরা শিখসেনার রসদ বন্ধ করিলা বলিয়া শিখ পরাজিত হইল। সার বার্টাল ফ্রিয়র একদা বলিয়াছিলেন, বাঙগালী যাদ্ধ করিতে জানে না। বলিয়া ঘণা করিও না।--বাঙ্গালী একদিনে সমস্ত খাদ্য লাকাইতে পারে। শাহ আলম যদ্ধ বঝিতেন, সতরাং আর অগ্রসর হইলেন না। রাজসিংহের সেনাসংস্থাপনের গণে (এইটিই সেনাপতির প্রধান কাৰ্য্য) বাঙ্গালার সেন, ও দাক্ষিণাত্যের সেনা, বল্টিকালে কপিাদলের মত। —কেবল জড়সড় হইয়্য বসিয়া রহিল। মলতানের সেনা ছিন্নভিন্ন হইয়া ঝড়ের মাখে ধলার মত কোথায় উড়িয়া গেল। বাকি খোদ বাদশাহ— দনিয়াবাজ বাদশাহ আলমগীর। DBDBDD BBBDS S DBBBDBBDBD DDBDDD BBDDDB শাহজাদা আকববর শাহকে আগে পাঠাইয়া, খোদ বাদশাহ উদয়সাগরতীরে শিবির ফেলিয়াছেন। পাশ্চাত্য পরিব্রাজক, মোগলদিগের দিল্লী দেখিয়া বলিয়াছিলেন, দিল্লী একটি や げミ