পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৭০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙিকম রচনাবলী থাকিতে সাহস হয় না। উড়িষ্যায যাইব মনে করিয়াছি—তাই তাল কাটিতে শিখিতেছি।” কেহ বা উদিপরেীর হরণবাত্তান্ত লইয়া দঃখ করিতে লাগিল—কোন খয়েরখাঁ হিন্দসৈনিক রাবণকৃত সীতাহরণের সহিত তাহার তুলনা করিল—কেহ তাহার উত্তরে বলিল, “বাদশাহ এত বানর সঙ্গে আনিয়াছিল, তব এ সীতার উদ্ধার হইল না কেন ? “ কেহ বলিল, “আমরা সিপাহী— কাঠারিয়া নহি, গাছ কাটা বিদ্যা আমাদের নাই, তাই হরিলাম।” কেহ উত্তরে বলিল, “তোমাদের ধানকাটা পয্যন্ত বিদ্যা, তা গাছ কাটিবে কি ?” এইরনুপ রঙ্গ রহস্য চলিতে লাগিল। এ দিকে বাদশাহ শিবিরের রঙমহালে প্রবেশ করিলে জেব-উন্নিসা তাঁহার নিকট যন্তেকরে। দাঁড়াইল। বাদশাহ জেব-উন্নিসাকে বলিলেন, “তুমি যাহা করিয়াছ, তাহা ইচ্ছাপবিবর্তক করা নাই, বঝিতে পারিতেছি। এজন্য তোমাকে মাজজনা করিলাম। কিন্তু সাবধান! বিবাহের কথা প্ৰকাশ না পায় ৷ ” তার পর উদি পদবী বেগমের সঙ্গে বাদশাহ সাক্ষাৎ করিলেন । উদিপরেী তাঁহার অপমানের কথা আদ্যোপানত সমস্ত বলিল। দশটা বাড়াইয়া বলিল, ইহা বলা বাহাদুল্য। ঔরঙ্গজেব শানিয়া অত্যন্ত ক্লদ্ধ ও বিমষ হইলেন। পরদিন দরবারে বসিয়া, আমদারবার খলিবার আগে, নিভতে মবারককে ডাকিয়া বাদশাহ বলিলেন, “এক্ষণে তোমার সকল অপরাধ আমি মাতজনা করিলাম। কেন না, তুমি আমার জামাতা। আমার জামাতাকে নােচ পদে নিযন্ত রাখিতে পাবি না। অতএব তোমাকে দই হাজারের মনসবদার করিলাম। পরওয়ানা আজি বাহির হইবে। কিন্তু এক্ষণে তোমার এখানে BBBBSS BBBBSJ BBBSJJSDD DDS S BBBS SBLBDBBB BBBBBS BBBBJB BBBB BBBBB DBBB LB পডিযাছেন । তাঁর উদ্ধারের জন্য দিলীর খাঁ সেনা লইয়া অগ্রসর হইতেছেন। সেখানে তোমার ন্যায় যোদ্ধার সাহায্যের বিশেষ প্রয়োজন। তুমি আদ্যই যাত্রা কর।” মবারক এ সকল কথাষা আহ.Jাদিত হইলেন না ; কেন না, জানিতেন, ঔরঙগজেবের আদর শভকর নহে। কিন্তু মনে যাহা স্থির করিয়াছিলেন, তাহা ভাবিয়া দঃখিতও হইলেন না। অতি বিনীতভাবে বাদ শাহেব নিকট বিদায় লইয়া দিলীর খাঁর শিবিরে যাইবার উদ্যোগ করিতে লাগিলেন । তার পর ঔরঙ্গজেব একজন বিশবাসী দাঁতের দ্বারা দিলীর খাঁর নিকট এক লিপি প্রেবণ করিলেন। পত্রের মৰ্ম্ম এই যে, মবারক খাঁকে দইহাজারি মনসবদার করিয়া তোমার নিকট পাঠাইয়াছি। সে যেন একদিন ও জীবিত না থাকে । ফদ্ধে মারে ভালই,--নাহিলে অন্য প্ৰকাবে (*Tr SN) দিলীর মবারককে চিনিতেন না। বাদশাহের আজ্ঞা অবশ্যপালনীয় বলিয়া সিথর করিলেন । তার পর ঔরঙগজেব আমােদরবারে বসিয়া আপনার অভিপ্ৰায প্রকাশ করিলেন। বলিলেন, “আমরা কাঠারিযার ফাঁদে পড়িয়াই সন্ধিস্থাপন করিয়াছি। সে সন্ধি রক্ষণীয় নহে। ক্ষীন্দ্র একজন ভুইঞা রাজাব সঙ্গে বাদশাহের আবার সন্ধি কি ? আমি সন্ধিপত্র ছিাড়িয়া ফেলিয়াছি। বিশেষ, সে রািপনগরের কুঙারীকে ফেরৎ পাঠায় নাই। রােপনগরীকে তাহার পিতা আমাকে দিয়াছে। অতএব বাজসিংহের তাহাতে অধিকার নাই। তাহাকে ফিরাইয়া না দিলে, আমি রাজসিংহকে ক্ষমা করিতে পারি না। অতএব যাদ্ধ যেমন চলিতেছিল। তেমনই চলিবো। রাণার রাজ্যমধ্যে গোর, দেখিলে, মসলমান তাহা মারিয়া ফেলিবে । দেবালয় দেখিলেই তাহা ভগন করিবে। জেজেয়া সববত্রই আদাষ হইবে।” এই সকল হকুম জারি হইল। এদিকে দিলীর খাঁ দাইসারীর পথ দিয়া মাড়বার হইতে উদয়পরে প্রবেশের চেষ্টায় আসিতেছেন, শনিয়া রাজসিংহ, ঔরঙ্গজেবের কাছে লোক পঠাইলেন। এবং জিজ্ঞাসা করিলেন যে, সন্ধির পর আবার যদ্ধ কেন ? ঔরঙ্গজেব বলিলেন, “ভুইঞার সঙ্গে বাদশাহের সন্ধি ? বাদশাহের রহপনগরী বেগম ফেরৎ না পাঠাইলে বাদশাহ তোমাকে ক্ষমা করিবেন না।” শনিযা, রাজসিংহ হাসিয়া বলিলেন, “আমি এখনও জীবিত আছি।” রহপনগরের রাজকুমারীর অপহরণটা ঔরঙ্গজেবের শেল সমান বিধিতেছিল। তিনি রাজসিংহের নিকট অভীপ্টসিদ্ধির সম্পভাবনা নাই বিবেচনা করিয়া, রপনগরের “রাও সাহেবকে” এক পরওয়ানা দিলেন, তাহাতে লিখিলেন, “তোমার কন্যা এখনও আমার নিকট উপস্থিত হয় নাই। শীঘ তাহাকে উপস্থিত করিবে-নাহিলে রািপনগরের গড়ের চিহ্ন রাখিব না।“ ঔরঙ্গজেবের Գ Օ Ե`