পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৭১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७दकब ब्रष्नाबव्ी দরিয়া বলিল, “তোমরা কে ?” মবারক তাহাকে বলিল, “আমার সঙেগ আইস।” তখন মবারক অতি দীনভাবে জেব-উন্নিসার নিকট বিদায় লইল । চতুৰ্দশ পরিচ্ছেদ ঃ অগ্নির নাতন স্ফলিঙ্গ রাজসিংহ রাজনীতিতে ও যন্ধনীতিতে অদ্বিতীয় পন্ডিত। মোগল যতক্ষণ না সমস্ত সৈন্য লইয়া রাণার রাজ্য ছাড়িয়া অধিক দরা যায়, ততক্ষণ শিবির ভঙ্গ করেন নাই বা সম্ববীয় সেনার কোন অংশ স্থানবিচুত করেন নাই। তিনি শিবিরেই রহিয়াছেন, এমন সময়ে সংবাদ আসিল যে, বিক্রমসিংহ রহপনগর হইতে দাই সহস্র সেনা লইয়া আসিতেছেন। রাজসিংহ যদুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হইলেন। একজন অশবারোহী অগ্রবত্তী হইয়া আসিয়া দাঁতস্বরপ, রাজসিংহের দশন পাইবার কামনা জানাইল। র জসিংহের অনমতি পাইয়া প্রতিহারী তাহাকে লইয়া আসিল। সে রাজসিংহকে প্ৰণাম করিয়া জানাইল যে, রহপনগরাধিপতি বিক্ৰম সোলাণ্ডিক মহারাণার দশন মানসে সসৈন্যে আসিয়াছেন। রাজসিংহ বলিলেন, “যদি শিবিরের ভিতরে আসিয়া সাক্ষাৎ করিতে চাহেন, তবে একা আসিতে বলিবে। যদি সসৈন্যে সাক্ষাৎ করিতে চাহেন, তবে শিবিরের বাহিরে থাকিতে বলিবে । আমি সসৈন্যে যাইতেছি।” বিক্রম সোলাণ্ডিক একা শিবির মধ্যে আসিয়া সাক্ষাৎ করিতে সক্ষমত হইলেন। তিনি আসিলে রাজসিংহ তাঁহাকে সাদরে আসন প্রদান করিলেন । বিক্রমসিংহ, রাণাকে কিছ নজর দিলেন। উদয়পরের রাণা রাজপতকুলের প্রধান,-এ জন্য এ নজর প্রাপ্য। কিন্তু রাজসিংহ ঐ নজর না। গ্রহণ করিয়া বলিলেন, “আপনার কাছে। এ নজর, মোগল বাদশাহেরই প্রাপ্য।” বিক্রমসিংহ বলিলেন, “মহারাণা রাজসিংহ জীবিত থাকিতে, ভরসা করি, আর কোন রাজপতি মোগল বাদশাহকে নজর দিবে না। মহারাজ ! আমাকে মাত্তজনা করিতে হইবে। আমি না। জানিয়াই তেমন পত্ৰখানা লিখিয়াছিলাম। আপনি মোগলকে যেরপে শাসিত করিয়াছেন, তাহাতে বোধ হয়, সমস্ত রাজপতি মিলিত হইয়া আপনার অধীনে কাৰ্য্য করিলে মোগল সাম্রাজ্যের উচ্ছেদ হইবে। আমার পত্রের শেষ ভাগ সমরণ করিবেন। আমি আপনাকে কেবল নজর দিতে আসি নাই। আমি আরও দাইটি সামগ্রী আপনাকে দিতে আসিয়াছি। এক আমার এই দাই সহস্র অশবারোহী ; দ্বিতীয় আমার নিজের এই তরবারি;—আজিও এ বাহতে কুছ কুল আছে: আমাকে যে কাযে নিযুক্ত করবেন। শরীর পতন করিয়াও সে কায্য সম্পপন্ন রব । ” রাজসিংহ অত্যন্ত প্রফতুল্ল হইলেন। আপনার আন্তরিক আনন্দ বিক্রমসিংহকে জানাইলেন । বলিলেন, ‘আজ আপনি সোলাণ্ডিকর মত কথা বলিয়াছেন। দলটি মোগল, আমার হাতে নিপাত যাইতেছিল, সন্ধি করিয়া উদ্ধার পাইল। উদ্ধার পাইয়া বলে, সন্ধি করি নাই। আবার যন্ধ করিতেছে। দিলীর খাঁ সৈন্য লইয়া শাহজাদা আকববরের উদ্ধারের জন্য যাইতেছে। আপনি অতি সসময়ে আসিয়াছেন। দিলীর খাঁকে পথিমধ্যে নিকাশ করিতে হইবে—সে গিয়া আককবরের সঙ্গে যন্ত হইলে কুমার জন্য সিংহের বিপদ ঘটিবে। তজজন্য আমি গোপীনাথ রাঠোরকে পাঠাইতেছিলাম। কিন্তু তাঁহার সেনা অতি অলপ। আমার নিজ সেনা হইতে কিং তাঁহার সঙ্গে দিব-মাণিকলাল সিংহ নামে আমােব। একজন সািদক্ষ সেনাপতি আছে—সে তাহ{ লইয়া যাইবে । কিন্তু ঔরঙ্গজেব নিকটে, আমি নিজে এ স্থান ছাড়িয়া যাইতে পারিতেছি না, অথবা আৗধক সৈন্য মাণিকল্যালের সঙ্গে দিতে পারিতেছি না। আমার ইচ্ছা, আপনিও আপনার আশবারোহী সেনা লইয়া সেই যদুদ্ধে যান। আপনারা তিন জনে মিলিত হইয়া দিলীর খাঁকে পথিমধ্যে সসৈন্যে সংহার করুন।” বিক্রমসিংহ আহমাদিত হইয়া বলিলেন, “আপনার আজ্ঞা শিরোধ।ায্য ।” এই বলিয়া বিক্রম সোলাণ্ডিক যন্ধে যাইবার উদ্যোগাের্থ বিদায় লইলেন। চঞ্চলকুমারীর কথা কিছ হইল না। C S O