পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৭১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V Osole) মরিয়াছে, কেহ পলাইয়াছে। সেই বহাপরিবারমধ্যে এখন তাঁহার। ভাৰ্য্যা ও তিনি স্বয়ং আর এক শিশকেন্যা। তাঁহাদেরই কথা বলিতেছিলাম। তাহার। ভাৰ্য্যা কল্যাণী চিন্তা ত্যাগ করিয়া, গো-শালে গিয়া স্বয়ং গো-দোহন করিলেন। পরে দগধ তপত করিয়া কন্যাকে খাওয়াইয়া গোরকে ঘাস-জলি দিতে গেলেন। ফিরিয়া আসিলে মহেন্দ্র বলিল, “এরপে কদিন চলিবে ?” কল্যাণী বলিল, “বড় অধিক দিন নয়। যত দিন চলে ; আমি যত দিন পারি চালাই, তার পর তুমি মেয়েটি লইয়া সহরে যাইও ।” মহেন্দ্র। সহরে যদি যাইতে হয়, তবে তোমায় বা কেন এত দঃখ দিই? চল না। এখনই যাই । পরে দই জনে অনেক তীক-বিতক হইল। কা। সহরে গেলে কিছ বিশেষ উপকার হইবে কি ? ম। সে সন্থান হয়ত এমনি জনশন্য, প্রাণরক্ষার উপায় শান্য হইয়াছে। কা। মরশিদাবাদ, কাশিমবাজার বা কলিকাতায় গেলে প্রাণরক্ষা হইতে পারিবে। এ স্থান ত্যাগ করা সকল প্রকারে কত্তব্য । মহেন্দ্ৰ বলিল, “এই বাড়ী বহনকাল হইতে পরিষানক্রমে সঞ্চিত ধনে পরিপর্ণ ; ইহা যে সব চোরে লাঠিয়া লইবে।” ক। লাঠিতে আসিলে আমরা কি দই জনে বাখিতে পারিব ? প্ৰাণে না বাঁচিলে ধন ভোগ করিবে কে ? চল, এখনও বন্ধ-সন্ধা করিয়া যাই । যদি প্ৰাণে বাঁচি, ফিরিযা আসিয়া ভোগ করিব । মহেন্দ্র জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি পথ হাঁটিতে পরিবে কি ? বেহােরা ত সব মরিয়া গিয়াছে, গোর আছে ত গাড়োয়ান নাই, গাড়োয়ান আছে ত গোবৰ নাই।” ক। আমি পথ হাঁটিব, তুমি চিন্তা করিও না। কল্যাণী মনে মনে সিথবা করিলেন যে, না হয। পথে মরিষা পড়িয়া থাকিব, তব. ত ইহারা দই জন বাঁচিবে। পরদিন প্ৰভাতে দাই জনে কিছর অর্থ সঙ্গে লইয়া, ঘরদাবারের চাবি বন্ধ করিয়া, গোবগালি ছাড়িয়া দিয়া, কন্যাটিকে কোলে লইয়া রাজধানীর উদ্দেশে যাত্রা করিলেন । যাত্রাকালে মহেন্দ্র বলিলেন, ‘পথ অতি দগম। পায়ে পাযে ডাকাত লঠেড়। ফিরিতেছে, শধৰ হাতে যাওয়া উচিত নয়।” এই বলিয়া মহেন্দ্র গহে ফিরিয়া বন্দক, গলি, বারদ লইয়া গেলেন। দেখিয়া কল্যাণী বলিলেন, “যদি অস্ত্রের কথা মনে করিলে, তবে তুমি একবার সহকুমারীকে BB S BDDBBD DBB BBB BBB S BsD BBB BBDDBBD BBBS BBDBBB BDBB BBB গহমধ্যে প্রবেশ করিলেন । মহেন্দ্ৰ বলিলেন, “তুমি আবার কি হাতিয়ার লাইবে ?” কল্যাণী আসিয়া একটি বিষের ক্ষদ্র কৌটা বস্ত্রমধ্যে ল্যুকাইল। দঃখের দিনে কপালে কি হয় বলিয়া কল্যাণী পাবেই বিষ সংগ্ৰহ করিয়া রাখিয়াছিলেন। জ্যৈষ্ঠ মাস, দারণ রৌদ্র, পথিবী অগিনময়, বায়তে আগন ছড়াইতেছে, আকােশ তপত তামার চাঁদোয়ার মত, পথের ধালিসকল অগিনসফিলিঙগবৎ। কল্যাণী ঘামিতে লাগিল, কখনও বাবলা গাছের ছায়ায়, কখনও খেজর গাছের ছাযায় বসিয়া বসিয়া, শত্ৰক পঙ্করিণীর কন্দমময় জল পান করিয়া কত কন্টে পথ চলিতে লাগিল। মেয়েটি মহেন্দ্রের কোলে—এক একবার মহেন্দ্র মেয়েকে বাতাস দেয়। একবার এক নিবিড় শ্যামলপত্ররঞ্জিত সগন্ধকুসমসংযক্ত লতাবেম্পিটত বক্ষের ছায়ায় বসিয়া দই জনে বিশ্রাম করিল। মহেন্দ্র কল্যাণীর শ্রমসহিষ্ণতা দেখিয়া বিসিমত হইলেন। বস্ত্র ভিজাইয়া মহেন্দ্ৰ নিকটস্থ পলাবল হইতে জল আনিয়া আপনার ও কল্যাণীর মাখে, হাতে, পায়ে, কপালে সিঞ্চন করিলেন। কল্যাণী কিঞ্চিৎ স্নিগধ হইলেন বটে, কিন্তু দাই জনে ক্ষধায় বড় আকুল হইলেন। তাও সহ্য হয়—মেয়েটির ক্ষধা-তৃষ্ণা সহ্য হয় না। অতএব আবার তাঁহারা পথ বাহিয়া চলিলেন। সেই অগিনতরঙগ সন্তরণ করিয়া সন্ধ্যার পকেবা এক চাটীতে পৌছিলেন। মহেন্দ্রের মনে মনে বড় আশ্য ছিল, চাটীতে গিয়া সত্ৰী কন্যার মাখে। শীতল জল দিতে পরিবেন, প্রাণরক্ষার জন্য C S CA