পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৭২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७दक• झफनाबब् । মনে মনে দেখিতে লাগিলেন, শত্ৰশরীর, শত্ৰকেশ, শত্ৰশমিশ্র, শত্ৰবাসন, মহােশরীর মহামনি বীণাহন্সেত চন্দ্র লোকপ্ৰদীপতা নীলাকাশপথে গায়িতেছেন – “হরে মর্যারে মধকৈটভারে।” ক্লামে গীত নিকটবত্তীর্ণ হইতে লাগিল, আরও সপাল্ট শনিতে লাগিলেন, — “হারে মর্যারে মধকৈটভারে । ক্লামে আবও নিকট-আরও সপল্‌ট— হরে মর্যারে মধকৈটভাবে ।” শেষে কল্যাণীর মাথার উপর বনস্থলী প্ৰতিধবনিত করিয়া গীত বাজিল,— হরে মর্যারে মধকৈটভাবে ৷ ” কল্যাণী তখন নয়নোন্মীলন করিলেন। সেই অদধ্যূসিফােট বানান্ধকারমিশ্রিত চন্দ্ররাশিমতে BkBBBBDBS BBBD BB BBS BBBBS BBSBBS BBSeBBBS BBS BBB gBBD SS BBDD তথা ভূতচেতনে কল্যাণী মনে কবিলেন, প্ৰণাম করিব, কিন্তু প্ৰণাম করিতে পারিলেন না, মাথা নোয়াইতে একেবাবে চেতনাশন্য হইযা ভূতলশাযিনী। হইলেন । পণ8ম পরিচ্ছেদ সেই বনমধ্যে এক প্রকাশড ভূমিখন্ডে ভগন শিলাখণডসকলে পরিবেশুিটত হইয়া একটি বড় মঠ আছে। পরাণতত্ত্ববিদেবা দেখিলে বলিতে পারিতেন, ইহা পৰ্ব্বকালে বৌদ্ধদিগের বিহার ছিল—তার পরে হিন্দরে মঠ হইয়াছে। অট্টালিকাশ্রেণী দ্বিতল—মধ্যে বহবিধ দেবমন্দির এবং সম্পম খে। নাটমন্দিব। সকলই প্রায় প্রাচীরে বেশুিটত আর বহিঃস্থিত বন্য বক্ষশ্রেণী দেবারা এরপ আচ্ছন্ন যে, দিনমানে অনতিদবি হইতেও কেহ বঝিতে পাবে না যে, এখানে কোঠা আছে। অট্টালিকাসকল অনেক স্থানেই ভগন, কিন্তু দিনমানে দেখা যায যে, সে সকল স্থান সম্প্রতি মেরামত হইয়াছে। দেখিলেই জানা যায যে, এই গভীর দাভেদ্য অরণ্যমধ্যে মনষ্য বাস করে। এই মঠের একটি কুঠার মধ্যে একটা কুদো জীবলিতেছিল তাহার ভিতর কল্যাণীর প্রথম চৈতন্য হইলে দেখিলেন, সম্মখে সেই শত্ৰশরীর, শািন্দ্রবসন মহাপরিষ। কল্যাণী বিসিমতলোচনে আবার চাহিতে লাগিলেন, এখনও সমতি পােনরাগমন করিতেছিল না। তখন মহাপরােষ বলিলেন, “মা, এ দেবতার ঠাঁই, শঙ্কা করিও না। একটি দধি আছে তুমি খাও, তার পর তোমার সহিত কথা কহিব।” কল্যাণী প্রথমে কিছই বঝিতে পারিলেন না, তার পর্ব ক্ৰমে ক্লামে মনের কিছ: স্থৈৰ্য্য হইলে, গলায্য আচল দিয়া সেই মহাত্মাকে একটি প্ৰণাম করিলেন। তিনি সামঙ্গল আশীৰ্ব্ববাদ কবিন্যা, গাহান্তর হইতে একটি সগন্ধ মৎপাত্র বাহির করিয়া, সেই জলন্ত অগিনতে দগধ উত্তপত করিলেন। দগধ তপত হইলে কল্যাণীকে তাহা দিয়া বলিলেন, “মা । কন্যাকে কিছ খাওয়াও, আপনি কিছর খাও, তাহাব পাব কথা কহিবে।” কল্যাণী হৃৎটচিত্তে কন্যাকে দগধপান করাইতে আরম্ভ করিলেন । তখন সেই পরিষ “আমি যতক্ষণ না আসি, কোন চিন্তা করিও না” বলিষা মন্দির হইতে বাহিবে গেলেন। বাহির হইতে কিয়াৎকােল পরে ফিরিয়া আসিয়া দেখিলেন যে, কল্যাণী কন্যাকে দন্দুধ খাওয়ান সমাপন করিয়াছেন বটে, কিন্তু আপনি কিছর খান নাই; দ, 4 যেমন ছিল, প্রায় তেমনই আছে, অতি অল্পই ব্যয় হইয়াছে। সেই পরিষ। তখন বলিলেন, মা ! তুমি দধি খাও নাই, আমি আবার বাহিরে যাইতেছি, তুমি দধি না খাইলে ফিরিব না।” সেই ঋষিতুল্য পরষ এই বলিয়া বাহিরে যাইতেছিলেন, কল্যাণী আবার তাঁহাকে প্ৰণাম করিয়া জোড়হােত করিলেন । বনবাসী বলিলেন, " কি বালিবে ?” তখন কল্যাণী বলিলেন, “ আমাকে দগধ খাইতে আজ্ঞা করিবেন না।-- কোন বাধা আছে। আমি খাইব তখন বনবাসী অতি করণস্বরে বলিলেন, “কি বাধা আছে আমাকে বল—আমি বনবাসী Q RO