পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৭২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उानकप्रभछे ভবানন্দের কথা ফরাইতে না ফরাইতে, মহেন্দ্ৰ ঘণার সহিত বলিলেন, “এ যে কুকাজ— ডাকাতি।” ভবানন্দ বলিল, “হউক ডাকাতি, আমরা তোমার কিছ উপকার করিয়াছি। আরও কিছ উপকার করিবার ইচ্ছা রাখি।” মহেন্দ্ৰ। তোমরা আমার কিছর উপকার করিয়াছ বটে, কিন্তু আর কি উপকার করিবে ? আর ডাকাতের কাছে এত উপকৃত হওয়ার চেয়ে আমার অনপকৃত থাকাই ভাল। ভবা । উপকার গ্রহণ করা না কর, তোমার ইচ্ছা। যদি ইচ্ছা হয়, আমার সঙ্গে আইস । তোমার সত্ৰী কন্যার সঙেগ সাক্ষাৎ করাইব । মহেন্দ্র ফিরিয়া দাঁড়াইল । বলিল, “সে কি ?” ভবানন্দ সে কথার উত্তর না করিয়া চলিল। অগত্যা মহেন্দ্র সঙেগ সঙেগ চলিল—মনে মনে ভাবিতে লাগিল, এরা কি রকম দস্য ? দশম পরিচ্ছেদ সেই জ্যোৎস্নাময়ী রজনীতে দই জনে নীরবে প্রান্তর পার হইয়া চলিল। মহেন্দ্র নীরব, শোকাকাতর, গাবিবত, কিছ: কৌত হলী। ভবানন্দ সহসা ভিন্নমত্তি ধারণ করিলেন। সে স্থিরমত্তি, ধীরপ্রকৃতি সন্ন্যাসী আর নাই ; সেই রণনি-পাণ বীরমাত্তি-সৈন্যাধ্যক্ষের মন্ডঘাতীর মাত্তি আর নাই। এখনই যে গবিবর্তিতভাবে মহেন্দ্রকে তিরস্কার করিতেছিলেন, সে মাত্তি আর নাই। যেন জ্যোৎস্নময়ী, শান্তিশালিনী, পথিবীর প্রান্তর-কানন-নাগ-নদীময় শোভা দেখিয়া তাঁহার চিত্তের বিশেষ সফীত্তি হইল— সমদ্ৰ যেন চন্দ্র্যোদয়ে হাসিল। ভবানন্দ হাস্যমখ, বাঙ্ময, প্রিয়সম্পভাষী হইলেন । কথাবাৰ্ত্তার জন্য বড় ব্যগ্র। ভবানন্দ কথোপকথনের অনেক উদাম করিলেন, কিন্তু মহেন্দ্ৰ কথা কহিল না। তখন ভবানন্দ নিরাপায় হইয়া আপন মনে গীত আরম্ভ করিলেন,- “বন্দে মাতরম।* সবুজলাং সাফল্যাং মলয়জশীতলাং শস্যশ্যামলাং মাতরম।” মহেন্দ্ৰ গীত শনিয়া কিছ, বিস্মিত হইল, কিছর বাঝিতে পারিল না--সজলা সফল, মলয়জশীতলা, শস্যশ্যামলা মাতা কে,-জিজ্ঞাসা করিল, “মাতা কে ?” উত্তর না করিয়া ভবানন্দ গায়িতে লাগিলেন,--- “শািন্দ্ৰ-জ্যোৎস্না-পলিকিত-যামিনীম – ফল্পেকস.মিত-দ্রািমদলশোভিনীম, সহাসিনীং সমধরভাষিণীম সখদাং বরদাং মাতরম।” মহেন্দ্ৰ বলিল, “এ ত দেশ, এ ত মা নয়—” ভবানন্দ বলিলেন, “আমরা অন্য মা মানি না—জননী জন্মভূমিশচ। সবগাদপি গরীয়সী। আমরা বলি, জন্মভূমিই জননী, আমাদের মা নাই, বাপ নাই, ভাই নাই, বন্ধ নাই—স্ত্রিী নাই, পত্র নাই, ঘর নাই, বাড়ী নাই, আমাদের আছে। কেবল সেই সজলা, সফেলা, মলয়জসমীরণশীতলা, শস্যশ্যামলা,--” তখন বঝিয়া মহেন্দ্ৰ বলিলেন, “তবে আবার গাও।” o S X S * মল্লার—কাওয়ালী তাল যথা—বন্দে মাতরং ইত্যাদি। 9 之@