পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৭৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऊानक भले প্ৰতিভাসিত হইতেছিল, তখন ভবানন্দ মঠে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। কণে প্রবেশ করিল--- “হরে মর্যারে! হরে মর্যারে!” চিনিলেন—সত্যানন্দের কন্ঠ। বঝিলেন, প্ৰভু প্রত্যাগমন করিয়াছেন। সপ্তম পরিচ্ছেদ জীবানন্দ কুটীর হইতে বাহির হইয়া গেলে পর, শান্তিদেবী আবার সারঙ্গ লইয়া মদন মদন রবে। গীত করিতে লাগিলেন:-- “প্রলয়পধোধিজলে ধাতবানসি বেদম বিহিতবাহিত্ৰেচরি ত্ৰমখেদম কেশব ধনুতমীনশরীর জয় জগদীশ হরে।” গোস্বামীবিরচিত মধর স্তোত্র যখন শান্তিদেবীকণঠনিঃসন্ত হইয়া, রাগ-তাল-লয়-সম্পপণ্য হইয়া, সেই অনন্ত কাননের অনন্ত নীরবতা বিদীর্ণ করিয়া, পািণ জলোচ্ছবাসের সময়ে বসন্তানিলতাড়িত তরঙ্গভঙ্গের ন্যায়। মধর হইয়া আসিল, তখন তিনি গায়িলেন;--- “নিন্দসি যজ্ঞবিধেরহহ শ্রতিজাতম সদয়-হৃদয়-দশিতপশীঘেতম কেশব ধাতবদ্ধশরীর জয় জগদীশ হরে।” তখন বাহির হইতে কে অতি গম্ভীর রবে গায়িল, গম্ভীর মেঘগডজািনবৎ তানে গায়িল। :--- “ম্পেলিচ্ছনিবাহনিধনে কলয়সি করবালাম ধমকেতুমিব কিমপি করােলম কেশব ধাতকালিকশারীর জয় জগদীশ হরে ৷” শান্তি ভক্তিভাবে প্রণত হইয়া সত্যানন্দের পদধলি গ্রহণ করিল ; বলিল, “প্রভো, আমি এমন কি ভাগ্য করিয়াছি যে, আপনার শ্ৰীপাদপদ্ম এখানে দশন পাই--আজ্ঞা করন, আমাকে কি করিতে হইবে।” বলিয়া সারণ্ডেগ সাের দিয়া শান্তি আবার গাইল,— “তব চরণপ্রণতা বয়মিতি ভাবয় কুর, কুশলং প্রাণতোষ।” সত্যানন্দ বলিলেন, “মা, তোমার কুশলই হইবে।” শান্তি। কিসে ঠাকুর—তোমার তো আজ্ঞা আছে আমার বৈধব্য । সত্য। তোমারে আমি চিনিতাম না। মা! দড়ির জোর না বঝিয়া আমি জেয়াদা টানিয়াছি, তুমি আমার অপেক্ষা জ্ঞান . ইহার উপায় তুমি কর, জীবানন্দকে বলিও না যে, আমি সকল জানি। তোমার প্রলোভনে। তিনি জীবন রক্ষা করিতে পারেন, এতদিন করিতেছেন। তাহা হইলে আমােব কায্যোদ্ধার হইতে পারে। সেই বিশাল নীল উৎফল্প লোচনে নিদাঘকাদম্বিনীবিরাজিত বিদ্যুত্তাল্য ঘোর রোষাকটাক্ষ হইল। শান্তি বলিল, “কি ঠাকুর ! আমি আর আমার স্বামী এক আত্মা, যাহা যাহা তোমার সঙেগ কথোপকথন হইল, সবই বলিব । মরিতে হয় তিনি মরিবেন, আমার ক্ষতি কি ? আমি তা সঙ্গে সঙ্গে মরিব । তাঁর সবগ আছে, মনে করা কি, আমার সবগ নাই ?” ব্ৰহ্মচারী বলিলেন যে, “আমি কখন হারি নাই, আজ তোমার কাছে হরিলাম। মা, আমি তোমার পত্র, সন্তানকে স্নেহ কর, জীবানন্দের প্রাণরক্ষা কর, আপনার প্রাণরক্ষা কর, আমার কায্যোদ্ধার হইবে।” বিজলী হাসিল । শান্তি বলিল, “আমার স্বামীর ধৰ্ম্মম আমার স্বামীর হাতে ; আমি তাঁহাকে ধৰ্ম্ম হইতে বিরত করিবার কে ? ইহলোকে স্ত্রীর পতি দেবতা, কিন্তু পরলোকে সবারই ধৰ্ম্মম দেবতা—আমার কাছে আমার পতি বড়, তার অপেক্ষা আমার ধৰ্ম্ম বড়, তার C V C