পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৭৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७का ब्रा5नादब्ली এড। ক্যা মস্কিল, পান শো রপেয়া দেণ্ডেগ। শান্তি। কে যাবে, তুমি নিজে যাবে ? সাহেব তখন অঙগালিনিন্দোিশপ বর্বক সম্মখে দন্ডায়মান লিন্ডলে নামক একজন যাবা এনসাইনকে দেখাইযা তাহাকে বলিলেন, “লিন্ডলে, তুমি যাবে?” লিন্ডলে শান্তির রািপযৌবন দেখিয়া বলিল, “আহাদপকেবািক।” তখন ভারি একটা আরবী ঘোড়া সজিজত হইয়া আসিলে লিন্ডলেও তৈয়ার হইল। শান্তিকে ধরিয়া ঘোড়ায় তুলিতে গেল। শান্তি বলিল, “ছি, এত লোকের মাঝখানে ? আমার কি আর কিছ লজজা নাই ! আগে চল ছাউনি ছাড়াই।” লিন্ডলে ঘোড়ায় চড়িল। ঘোড়া ধীরে ধীরে হাঁটাইয়া চলিল। শান্তি পশ্চাৎ পশ্চাৎ হাঁটিয়া চলিল। এইরপে তাহারা শিবিরের বাহিরে আসিল । শিবিরের বাহিরে আসিলে নিজজন প্রান্তর পাইয়া, শান্তি লিন্ডলের পায়ের উপর পা দিয়া এক লাফে ঘোড়ায় চড়িল। লিন্ডলে হাসিয়া বলিল, “তুমি যে পাকা ঘোড়সওয়ার।” শান্তি বলিল, “আমরা এমন পাকা ঘোড়সওয়ার যে, তোমার সঙ্গে চড়িতে লজা করে। ছিা! একবার বড়াই করিবার জন্য লিন্ডলে রেকাব হইতে পা লইল। শান্তি আমনি নিকেবাধ ইংরেজের গলদেশে হসন্তাপণ করিয়া ঘোড়া হইতে ফেলিয়া দিল। শান্তি তখন অশবপক্ঠে রীতিমত আসন গ্রহণ করিয়া, ঘোড়ার পেটে মলের ঘা মারিয়া, বায়বেগে আরবীকে ছটাইয়া দিল । শান্তি চারি বৎসর সন্তানসৈন্যের সঙ্গে সঙ্গে ফিরিয়া অশ্বারোহণবিদ্যাও শিখিয়াছিল। তা না শিখিলে জীবানন্দের সঙ্গে কি বাস করিতে পারিত ? লিন্ডলে পা ভাঙ্গিয়া পড়িয়া রহিলেন। শান্তি বায়বেগে অশবপঠে চলিল। যে বনে জীবানন্দ ল্যুকাইয়াছিলেন, শান্তি সেইখানে গিয়া জীবানন্দকে সকল সংবাদ অবগত করাইল। জীবানন্দ বলিলেন, “তবে আমি শীঘ্ৰ গিয়া মহেন্দ্রকে সতকা করি। তুমি মেলায় গিয়া সত্যানন্দকে খবর দাও । তুমি ঘোড়ায় যাও—প্ৰভু যেন শীঘ্র সংবাদ পান।” তখন দলই জনে দই দিকে ধাবিত হইল। বলা ব্যথা, শান্তি আবার নবীনানন্দ হইল। ষািঠ পরিচ্ছেদ এডওয়ার্ডস পাকা ইংরেজ। ঘাঁটিতে ঘাঁটিতে তাহার লোক ছিল। শীঘ্র তাহার নিকটে খবর পৌছিল যে, সেই বৈষ্ণবীটা লিন্ডলে সাহেবকে ফেলিয়া দিয়া আপনি ঘোড়ায় চড়িয়া কোথায় চলিয়া গিয়াছে। শনিয়াই এডওয়ার্ডস বলিলেন, “An imp of Satan ! Strike the tents.” তখন ঠক ঠকা খটখটি তাম্বরে খোঁটায় মাগরের ঘা পড়িতে লাগিল। মেঘরচিত অমরাবতীর ন্যায় বস্ত্রনগরী অন্তহিত হইল। মাল গাড়িতে বোঝাই হইল। মানষি ঘোড়ায় অথবা আপনার পায়ে। হিন্দ মসলমান মাদরাজী গোরা বন্দক ঘাড়ে মসমস্যা করিয়া চলিল। কামানের গাড়ি ঘড়োর ঘড়োর করিতে করিতে চলিল। এদিকে মহেন্দ্র সন্তানসেনা লইয়া ক্ৰমে মেলার পথে অগ্রসর। সেই দিন বৈকালে মহেন্দ্র ভাবিল, বেলা পড়িয়া আসিল, শিবির সংস্থাপন করা যাক। তখন শিবির সংস্থাপন উচিত বোধ হইল। বৈষ্ণবের তাঁব নাই। গাছতলায় গণ চাট বা কাঁথা পাতিয়া শয়ন করে। একট, হরিচরণামত খাইয়া রাত্রিযাপন করে। ক্ষধা যেটকু বাকি থাকে, স্বপ্নে বৈষ্ণবী ঠাকুরাণীর অধরামত পান করিয়া পরিপরণ করে। শিবিরোপযোগী নিকটে একটি স্থান ছিল। একটা বড় বাগান—আমি কাঁটাল বাবলা তেতুল। মহেন্দ্ৰ আজ্ঞা দিলেন, “এইখানেই শিবির করা”। তারই পাশে একটা টিলা ছিল, উঠিতে বড় বন্ধাের, মহেন্দ্র একবার ভাবিলেন, এ পাহাড়ের উপর শিবির করিলেও হয়। স্থানটা দেখিয়া আসিবেন মনে করিলেন। এই ভাবিয়া মহেন্দ্ৰ অশোেব আরোহণ করিয়া ধীরে ধীরে টিলার উপর উঠিতে আরম্ভ করিলেন। তিনি কিছু দরে উঠিলে পর এক যােবা যোদ্ধা বৈষ্ণবসেনামধ্যে প্রবিষ্ট হইয়া বলিল, abrミ