পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७दकब ब्रष्नाबब्ी দেখিয়া তিনি চিন্তামপনা হইলেন। অনেকক্ষণ কথা কহিলেন না। প্রায় অন্ধ ক্লোশ অতিবাহিত করিলে, গজপতি আবার তাঁহার অণ9ল ধরিয়া টানিলেন। বিমলা বলিলেন, “কি ?” গজপতি একটি দ্রব্য লইয়া দেখাইলেন। বিমলা দেখিয়া বলিলেন, “এ সিপাহীর পাগড়ি।” বিমলা পনেকবার চিন্তায় মুন্না হইলেন, সুস্থাপনা। আপনি কহিতে লাগিলেন, “যারই ঘোড়া, তারই পাগড়ি ? না, এ ত পদাতিকের পাগড়ি।” কিয়ৎক্ষণ পরে চন্দ্রোদয় হইল। বিমলা অধিকতর অন্যমনা হইলেন। অনেকক্ষণ পরে গজপতি সাহস করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “সন্দরি, আর কথা কহ না যে ?” বিমলা কহিলেন, “পথে কিছ চিহ্ন দেখিতেছ?” গজপতি বিশেষ মনোযোগের সহিত পথ নিরীক্ষণ করিয়া দেখিয়া কহিলেন, “দেখিতেছি, অনেক ঘোড়ার পায়ের চিহ্ন ৷” S. বদ্ধিমান –কিছ বঝিতে পারিলে ? I oNT I বি। ওখানে মড়া ঘোড়া, সেখানে সিপাহির পাগড়ি, এখানে এত ঘোড়ার পায়ের চিহ্ন, এতে, কিন্তু বুঝিতে পারিলে না ?—কারেই বা বলি । t কি ? বি। এখনই বহতর সেনা এই পথে গিয়াছে। গজপতি ভীত হইয়া কহিলেন, “তবে একটা আস্তে হাঁট; তারা খাব আগ হইয়া যাক।” বিমলা হাস্য করিয়া বলিলেন, “মািখ! তাহারা আগ হইবে কি ? কোন দিকে ঘোড়ার খরের সম্মখ, দেখিতেছ না ? এ সেনা গড় মান্দারণে গিয়াছে” বলিয়া বিমলা বিমষ হইয়া রহিলেন । অচিরাৎ শৈলেশবরের মন্দিরের ধবল শ্ৰী নিকটে দেখিতে পাইলেন। বিমলা ভাবিলেন যে, রাজপত্রের সহিত ব্ৰাহ্মণের সাক্ষাতের কোন প্রয়োজন নাই; বরং তাহাতে আনিম্পট আছে। অতএব ধ্ৰু প্রচুর সাহাকে বিদায় দিবেন, চিন্তা করিতেছিলেন। গজপতি নিজেই তাহার সচেনা করিয়া দিলেন। ব্রাহ্মণ পনেকবার বিমলার পঠের নিকট আসিয়া অঞ্চল ধরিয়াছেন; বিমলা জিজ্ঞাসা করিলেন, “আবার কি ?” ব্রাহ্মণ অসফট সবরে কহিলেন, “সে কতদার ?” বি। কি কত দাির ? দি । সেই বটগাছ ?” বি। কোন বটগাছ ? দি। যেখানে তোমরা সেদিন দেখেছিলে ? বি। কি দেখেছিলাম ? দি। রাত্রিকালে নাম করিতে নাই। বিমলা বঝিতে পারিয়া সংযোগ পাইলেন। গম্ভীর সবরে বলিলেন, “ইঃ!” ব্রাহ্মণ অধিকতর ভীত হইয়া কহিলেন, “কি গা ?” কুলু মািট স্বার শৈলেশ্বরািনকটস্থ বটবৃক্ষের প্রতি অগািল নিৰ্দেশ করিয়া কহিলেন, * সে বটতলা ।” দিগগজ আর নড়িলেন না; গতিশক্তিরহিত, অশবথপত্রের ন্যায় কাঁপিতে লাগিলেন। ব্রাহ্মণ কাঁপিতে কাঁপিতে কহিলেন, “আমি আর যাইতে পারিব না।” বিমলা কহিলেন, “আমারও ভয় করিতেছে।” ব্রাহ্মণ এই শনিয়া পা ফিরাইয়া পলায়নোদ্যত হইলেন। বিমলা বক্ষপানে দলিট করিয়া দেখিলেন, বক্ষমলে একটা ধবলাকার কি পদাৰ্থ রহিয়াছে। তিনি জানিতেন যে, বক্ষমতলে শৈলেশবরের ষাঁড় শাইয়া থাকে; কিন্তু গজপতিকে কহিলেন ‘গজপতি ! ইন্সটদেবের নাম জপ ; বক্ষমলে কি দেখিতেছ?” Q V