পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৮১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नबी दृष्थिब्राक्षी সন্দরী । (হাসিয়া) আটকুড়ী বলি নাই, বাছা! গো-মা। তুই আটকুড়ী বলিলেও বলেছিস, না বলিলেও বলেছিস-কেন বলবি লা? প্রফতুল্ল হাসিয়া বলিল, “তোমাকে বলচে না গো—ও আমাকে বলচে।” তখন নিশবাস ফেলিয়া গোবরার মা বলিল, “ও কপাল! আমাকে না ? তা বলক মা, বলক, তুমি রাগ ক'রো না। ও বামনীর মািখটা বড় কদায্যি। তা বাছা! রাগ করতে নেই।” গোবরার মার মাখে। এইরােপ আত্মপক্ষে বীররস ও পক্ষান্তরে শান্তিরসের অবতারণা শনিয়া যাবতীদ্বয় প্রীতা হইলেন। প্ৰফল্প অপরাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “বামনী ? তা আমাকে এতক্ষণ বল নাই ? আমার প্রণাম করা হয় নাই।” প্ৰফল্লি প্ৰণাম করিল। বয়স্যা আশীৰ্ব্ববাদ করিয়া বলিল, “আমি বামনের মেয়ে বটে—এইরপে শনিয়াছি—কিন্তু বামনী নই।” প্ৰ । সে কি ? বয়স্যা। বামন জোটে নাই। প্ৰ। বিবাহ হয় নাই ? সে কি ? বয়স্যা। ছেলেধরায় কি বিয়ে দেয় ? প্রা। চিরকাল তুমি ছেলেধরার ঘরে ? বয়স্যা। না, ছেলেধরায় এক রাজার বাড়ী বেচে এয়েছিল। প্র । রাজার বিয়ে দিল না ? বয়স্যা। রাজপত্র ইচ্ছক ছিলেন–কিন্তু বিবাহটা গান্ধব্বমত। প্রা। নিজে পাত্ৰ বঝি ? বয়স্যা। তাও কয় দিনের জন্য বলিতে পারি না। প্র । তার পর P বয়স্যা। রকম দেখিয়া পলায়ন করিলাম। প্ৰ । তার পর ? বয়স্যা। রাজমহিষী কিছ গহনা দিয়াছিলেন, গহনা সমেত পলাইয়াছিলাম। সতরাং ডাকাইতের হাতে পড়িলাম। সে ডাকাইতের দলপতি ভবানী ঠাকুর, তিনি আমার কাহিনী শনিয়া আমার গহনা লইলেন না, বরং আরও কিছ দিলেন। আপনার গহে আমায় আশ্রয় দিলেন। আমি তাঁহার কন্যা, তিনি আমার পিতা। তিনিও আমাকে এক প্রকার সম্প্রদান করিয়াছেন। প্র । এক প্রকার কি ? বয়স্যা। সববস্ব শ্ৰীকৃষ্ণে । প্রা। সে কি রকম ? বয়স্যা। রােপ, যৌবন, প্ৰাণ। প্রা। তিনিই তোমার স্বামী ? বয়স্যা। হাঁ- কেন না, যিনি সম্পপণ্য রপে আমার অধিকারী, তিনিই আমার স্বামী। প্রফতুল্ল দীঘনিঃশবাস ত্যাগ করিয়া বলিল, “বলিতে পারি না। কখন স্বামী দেখা নাই, তাই বলিতেছ—সবামী দেখিলে কখন শ্ৰীকৃষ্ণে মন উঠিত না।” মািখ ব্রজেশবের এত জানিত না। বয়স্যা বলিল, “শ্ৰীকৃষ্ণে সকল মেয়েরই মন উঠিতে পারে; কেন না, তাঁর রােপ অনন্ত, যৌবন অনন্ত, ঐশ্ববর্য্য অনন্ত, গণ অনন্ত ।” এ যাবতী ভবানী ঠাকুরের চেলা, কিন্তু প্ৰফল্প নিরক্ষর—এ কথার উত্তর দিতে পারিল না। হিন্দধৰ্ম্ম প্রণেতারা উত্তর জানিতেন। ঈশবর অনন্ত জানি। কিন্তু অনন্তকে ক্ষদ্র হৃদয়পিঞ্জরে পরিতে পারি না। সান্তকে পারি। তাই অনন্ত জগদীশবর, হিন্দর হৃৎপিঞ্জরে সান্ত শ্ৰীকৃষ্ণ ! স্বামী আরও পরিৎকাররপে সান্ত। এই জন্য প্রেম পবিত্র হইলে, স্বামী ঈশ্ববরে আরোহণের প্রথম সোপান। তাই হিন্দীর মেয়ের পতিই দেবতা। অন্য সব সমাজ, হিন্দসমাজের কাছে এ অংশে নিকৃশুট। প্রফােল্ল মািখ মেয়ে, কিছ: বঝিতে পারিল না। বলিল, “আমি অত কথা ভাই, বঝিতে পারি না। তোমার নামটি কি, এখনও ত বললে না ?” b"> ○