পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७क ब्रष्नाबव्ी যােব। আমার মনে প্রতীতি জন্মিয়াছে, তুমি কদাপি পরিচারিকা নও। বিমলা ঈষৎ হাসিয়া বলিলেন, “এ সন্দেহ আপনার মনে কেন জন্মিল ?” যােব। বীরেন্দ্ৰসিংহের কন্যা যে অস্বরপতির পত্রিবধ হইতে পারেন না, তাহার বিশেষ কারণ আছে। সে অতি গহ্য বাত্তান্ত ; তুমি পরিচারিকা হইলে সে গহ্য কাহিনী কি প্রকারে জানিবে ? বিমলা দীঘ নিশবাস ত্যাগ করিলেন। কিঞ্চিৎ কাতর সবরে কহিলেন, “আপনি যথাৰ্থ অনভব করিয়াছেন। আমি পরিচারিকা নাহি। অদািমটক্রমে পরিচারিকার ন্যায় আছি। অদম্ৰাটকেই বা কেন দোষি ? আমার অদম্পট মন্দ নহে!” রাজকুমার বঝিলেন যে, এই কথায় বিমলার মনোমধ্যে পরিতাপ উদয় হইয়াছে; অতএব তৎসম্পবন্ধে আর কিছ বলিলেন না। বিমলা সম্ভবতঃ কহিলেন, “যদুবরাজ, আপনার নিকট পরিচয় দিব; কিন্তু এক্ষণে নয়। ও কি শব্দ ? পশ্চাৎ কেহ আসিতেছে ? এই সময়ে পশ্চাৎ পশ্চাৎ মনষ্যের পদধবনি সপস্ট শ্রত হইল। এমন বোধ হইল, যেন দইজন মনয্যে কাণে কাণে কথা কহিতেছে। তখন মন্দির হইতে প্রায় অন্ধ ক্লোশ অতিক্রম হইয়াছিল। রাজপত্ৰ কহিলেন, “আমার অত্যন্ত সন্দেহ হইতেছে, আমি দেখিয়া আসি।” এই বলিয়া রাজপত্র কিছ পথ প্রত্যাবৰ্ত্তন করিয়া দেখিলেন এবং পথের পাশেব ও অন্যসন্ধান করিলেন ; কোথাও মনষ্যে দেখিতে পাইলেন না। প্রত্যাগমন করিয়া বিমলাকে কহিলেন, “আমার সন্দেহ হইতেছে, কেহ আমাদের পশ্চাদবত্তীর্ণ হইয়াছে। সাবধানে কথা কহা ভাল।” এখন উভয়ে অতি মদ স্বরে কথা কহিতে কহিতে চলিলেন। ক্ৰমে গড় মান্দারণ গ্রামে প্রবেশ করিয়া দাগ সম্মমখে উপস্থিত হইলেন। রাজপত্র জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি এক্ষণে দগমধ্যে প্রবেশ করিবে কি প্রকারে ? এত রাত্রে অবশ্য ফটক বন্ধ হইয়া থাকিবে।” বিমলা কহিলেন, “চিন্তা করিবেন না, আমি তাহার উপায় স্থির করিয়াই বাটী হইতে যাত্ৰা করিয়াছিলাম।” রাজপত্র হাস্য করিয়া কহিলেন, “লকান পথ আছে ?” বিমলাও হাস্য করিয়া উত্তর করিলেন, “যেখানে চোর, সেইখানেই সিদ্ধ।” ক্ষণকাল পরে পনেকবার রাজপত্ৰ কহিলেন, “বিমলা, এক্ষণে আর আমার যাইবার প্রয়োজন নাই। আমি দগপাশাব্যস্থ এই আমুকানন মধ্যে তোমার অপেক্ষা করিব, তুমি আমার হইয়া অকপটে তোমার সখীকে মিনতি করিও; পক্ষ পরে হয়, মাস পরে হয়, আর একবার আমি তাঁহাকে দেখিয়া চক্ষ জড়াইব ।” বিমলা কহিলেন, “এ আমাকাননও নিজজন স্থান নহে, আপনি আমার সঙ্গে আসন।” যােব। কত দর। যাইব ? বি। দগমধ্যে চলন। রাজকুমার কিঞ্চিৎ ভাবিয়া কহিলেন, “বিমলা, এ উচিত হয় না। দাগ-স্বামীর অনািমতি ব্যতীত আমি দগমধ্যে যাইব না।” বিমলা কহিলেন, “চিন্তা কি ?” রাজকুমার গৰিবৰ্তত বচনে কহিলেন, “রাজপত্রেরা কোন স্থানে যাইতে চিন্তা করে না। কিন্তু বিবেচনা করিয়া দেখ, অষ্ণবরপতির পত্রের কি উচিত যে, দাগ-স্বামীর অজ্ঞাতে চোরের ন্যায় দাগ প্রবেশ করে ?” বিমলা কহিলেন, “আমি আপনাকে ডাকিয়া লইয়া যাইতেছি।” রাজকুমার কহিলেন, “মনে করিও না যে, আমি তোমাকে পরিচারিকা জ্ঞানে অবজ্ঞা করিতেছি। কিন্তু বল দেখি, দিগমধ্যে আমাকে আহবান করিয়া লইয়া যাইবার তোমার কি অধিকার ?” বিমলা ক্ষণেককাল চিন্তা করিয়া কহিলেন, “আমার কি অধিকার তাহা না। শনিলে আপনি যাইবেন না ?” ऐठरद्ध-‘का° याद ना।” বিমলা তখন রাজপত্রের কণে লোল হইয়া একটি কথা বলিলেন রাজপত্ৰ কহিলেন, “চলন।” বিমলা কহিলেন, “যবরাজ, আমি দাসী, দাসীকে ‘চল’ বলিবেন।” যােবরাজ বলিলেন, “তাই হউক।” tፉ O