পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৮৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७कभ ब्रा5नावली সা। তা কি জানি । ব্র। পরের ধন হ’লে আত অ্যামিরি করে ? পরে কিছ বলে না ? সা। দেবী কিছ আমিরি করে না। খাদ খায়, মাটিতে শোয়, গড়া পরে। কাল যা দেখলে, সে সকল তোমার আমার জন্য মাত্র-কেবল দোকানদারি। তোমার হাতে ও কি ? সাগর ব্রজেশবরের আগুগলে নতন আঙ্গটি দেখিল। ব্রজেশবের বলিল, “কাল দেবীর নৌকায় জলযোগ করিয়াছিলাম বলিয়া দেবী আমাকে এই আওগটি ময্যাদা দিয়াছে।” সা। দেখি । ব্রজেশবের আঙ্গটি খালিয়া দেখিতে দিল। সাগর হাতে লইয়া ঘরাইয়া ঘরাইয়া দেখিল। বলিল, “ইহাতে দেবী চৌধরাণীর নাম লেখা আছে।” द्ध । कछे ? अा । ख्ऊि6द्ध-शाद्धजी0ऊ । ব্ৰ। (পড়িয়া) এ কি এ ? এ যে আমার নাম-আমার আঙগাটি ? সাগর ! তোমাকে আমার দিব্য, যদি তুমি আমার কাছে সত্য কথা না কও । আমায় বল, দেবী কে ? সা। তুমি চিনিতে পার নাই, সে কি আমার দোষ? আমি ত এক দন্ডে চিনিয়াছিলাম। ৱ। কে ! কে ! দেবী কে ? সা। প্ৰফল্প। আর ব্রজেশবের কথা কহিল না। সাগর দেখিল, প্রথমে ব্রজেশবরের শরীরে কাঁটা দিয়া উঠিল, তার পর একটা অনিববচনীয় আহাদের চিহ্ন—উচ্ছলিত সখের তরঙ্গ শরীরে দেখা দিল। মাখ প্রভাময়, নয়ন উত্তজবল অথচ জলপালাবিত, দেহ উন্নত, কান্তি সফত্তিময়ী। তার পরই আবার সাগর দেখিল, সব যেন নিবিয়া গেল ; বড় ঘোরতর বিষাদ আসিয়া যেন সেই প্রভাময় কান্তি অধিকার করিল। ব্রজেশবের বাক্যশান্য, সপন্দহীন, নিমেষশান্য। ক্ৰমে সাগরের মািখ পানে চাহিয়া চাহিয়া ব্রজেশবের চক্ষ মন্দিল। দেহ অবসন্ন হইল ; ব্রজেশবের সাগরের কোলে মাথা রাখিয়া শ্যইয়া পড়িল । সাগর কাতর হইয়া অনেক জিজ্ঞাসাবাদ করিল। কিছই উত্তর পাইল না; একবার ব্রজেশবের বলিল, “প্ৰফদুল্ল ডাকাত ! ছি!” দশম পরিচ্ছেদ ব্ৰজেশবর ও সাগরকে বিদায় দিয়া দেবী চৌধরাণী—হায়! কোথায় গেল দেবী ? কই সে বেশভুষা, ঢাকাই শাড়ী, সোণাদানা, হীরা মঞ্চা পান্না—সব কোথায় গেল ? দেবী সব ছাড়িয়াছে—— সব একেবারে অন্তদ্ধান করিয়াছে। দেবী কেবল একখানা গড়া পরিয়াছে।--হাতে কেবল একগাছা কড়। দেবী নৌকার এক পাশে বজরার শােধ তত্ত্বার উপর একখানা চট পাতিয়া শয়ন করিল। ঘমাইল কি না, জানি না। প্রভাতে বজরা বাঞ্ছিত সস্থানে আসিয়া লাগিয়াছে দেখিয়া, দেবী নদীর জলে নামিয়া সনান করিল। স্নান করিষা ভিজা কাপড়েই রহিল— সেই চটের মত মোটা শাড়ী। কপাল ও বািক গঙ্গামত্তিকায় চচ্চিত করিল,-রক্ষ, ভিজা চুল এলাইয়া দিল—-তখন দেবীর যে সৌন্দয্য বাহির হইল, গত রাত্রির বেশভুষা, জাঁকজমক, হীরা মতি চাঁদনি বা রাণীগিরিতে তাহা দেখা যায় নাই। কাল দেবীকে রত্নাভারণে রাজরাণীর মত দেখাইতেছিল—আজি গঙগামত্তিকার সজায় দেবতার মত দেখাইতেছে। যে সন্দির, সে মাটি ছাড়িয়া হীরা পরে কেন ? দেবী এই অনপাম বেশে একজন মাত্র সত্ৰীলোক সমভিব্যাহারে লইয়া তীরে তীরে চলিল-- বজরায় উঠিল না। এরপ অনেক দীর গিয়া একটা জঙ্গলে প্রবেশ করিল। আমরা কথায় কথায় জণ্ডগলের কথা বলিতেছি— কথায় কথায় ডাকাইতের কথা বলিতেছি-ইহাতে পাঠক মনে করিবেন। না, আমরা কিছমাত্র অত্যুক্তি করিতেছি, অথবা জঙ্গল বা ডাকাইত ভালবাসি। যে সময়ের কথা বলিতেছি, সে সময়ে সে দেশ জঙ্গলে পরিপািণ । এখনও অনেক সস্থানে ভয়ানক জঙ্গল—কতক কতক আমি সবচক্ষে দেখিয়া আসিয়াছি। আর ডাকাইতের ত কথাই নাই। পাঠকের সমরণ থাকে যেন যে, ভারতবষের ডাকাইত শাসন করিতে মাকুইস অব হেস্টিংসকে যত বড় যাদেধাদ্যম b ○ b