পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৯০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७दक ब्रष्नाबव्ी শ্ৰী। ভাবিতেছি, গেলে যদি তিনি আর না ছাড়িয়া দেন ? জয়ন্তী। যদি কোঠীর ভয় আর নাই, তবে ছাড়িয়া নাই দিলেন ? তুমিই আসিবে কেন ? শ্ৰী। আমি কি আর রাজার বামে বসিবার যোগ্য ? জয়ন্তী। এক হাজার বার। যখন তোমাকে সবণ রেখার ধারে, কি বৈতরণীতীরে প্রথম দেণ্ডুিছিলাম, তাহার অপেক্ষ তােমার রূপে কত গণে বাডিয়াছে, তাহা তুমি কিছুই জন না। জয়ন্তী। গণ কত গণ বাড়িয়াছে, তাও কি জান না ? কোন রাজমহিষী গণে তোমার जुळता ? শ্ৰী। আমার কথা বঝিলে কই ? কই, তোমার আমার মনের মধ্যে বাঁধা রাস্তা বাঁধিয়াছ কই ? আমি কি তাহা বলিতেছিলাম ? বলিতেছিলাম যে, যে শ্ৰীকে ফিরাইবার জন্য তিনি ডাকাডাকি করিয়াছিলেন, সে শ্ৰী আর নাই--তোমার হাতে তাহার মাতৃত্যু হইয়াছে। এখন আছে কেবল তোমার শিষ্যা। তোমার শিষ্যাকে নিয়া মহারাজাধিরাজ সীতারাম রায় সখী হইবেন। কি ? না তোমার শিষ্যাই মহারাজাধিরাজ লইয়া সখী হইবে ? রাজারাণীগিরি চাকরি তোমার শিষ্যার যোগ্য নহে। জয়ন্তী। আমার শিষ্যার আবার সখ-দঃখ কি ? (পরে সহস্যে) ধিক এমন শিষ্যায়! শ্ৰী। আমার সখ-দঃখ নাই, কিন্তু তাঁহার আছে। যখন দেখিবেন, তাঁহার শ্ৰী মরিয়া গিয়াছে, তাহার দেহ লইয়া একজন সন্ন্যাসিনী প্রবণ8না করিয়া বেড়াইতেছে, তখন কি তাঁর দঃখ হইবে না ? জয়ন্তী। হইতে পারে, না হইতে পারে। সে সকল কথার বিচারে কোন প্রয়োজন নাই। যে অনন্তসন্দর কৃষ্ণপাদপদ্মে মন স্থির করিয়াছে, তাহা ছাড়া আর কিছই তাহার চিত্তে যেন সথান না পায়—তাহা হইলে সকল দিকেই ঠিক কাজ হইবে : এক্ষণে চল, তোমার স্বামীর হউক, কি যাহারই হউক, যখন শােভ সাধন করিতে হইবে, তখন এখনই যাত্রা করি। যতক্ষণ এই কথোপকথন হইতেছিল, ততক্ষণ জয়ন্তীর হাতে দইটা ত্রিশাল ছিল। শ্ৰী জিজ্ঞাসা করিল, “ত্রিশােল কেন ?” “মহাপরিষ আমাদিগকে ভৈরবীবেশে যাইতে বলিয়া দিয়াছেন। এই দইটা ত্রিশলে দিয়াছেন। বোধ হয়, ত্রিশলে মন্ত্রপাত।”* তখন দাই জনে ভৈরবীবেশ গ্রহণ করিল এবং উভয়ে পৰ্ব্বত অবরোহণ করিয়া, বির পাতীরবত্তীর্ণ পথে গঙ্গাভিমখে চলিল। পথপাৰ্শবােবত্তীর্ণ বন হইতে বন্য পক্ষপ চয়ন করিয়া উভয়ে তাহার দল কেশর রেণ। প্রভৃতি তন্ন তন্ন করিয়া পরীক্ষা করিতে করিতে এবং পশুপনিৰ্ম্মমাতার অনন্ত কৌশলের অনন্ত মহিমা কীত্তন করিতে করিতে চলিল । সীতারামের নাম আর কেহ। একবারও মখে আনিল না। এ পোড়ারমখী:দিগকে জগদীশবর কেন রােপ যৌবন দিয়াছিলেন, তাহা তিনিই জানেন। আর যে গন্ডমখ সীতারাম, শ্ৰী ! শ্ৰী । করিয়া পাতি পাতি করিল, সেই বলিতে পারে। পাঠক বোধ হয়, দইটাকেই ডাকিনীশ্রেণীমধ্যে গণ্য করিবেন। তাহতে গ্রন্থকারের সম্পপণ্য মত আছে। নবম পরিচ্ছেদ বন্দে আলি নামে ভূষণার একজন ছোট মসলমান, একজন বড় মসলমানের কবিলাকে বাহির করিয়া তাহাকে নেকা করিয়াছিল। খসম গিয়া বলপাকবািক অপহৃতা সীতার উদ্ধারের উদ্যোগী হইল দেসত বিবি লইয়া মহম্মদপত্র পলুয়ন করিয়া তথায় বাস করিতে লাগিল। গঙ্গারামের নিকট সে পািব্ব হইতে পারিচিত ছিল। তাঁহার অনগ্রহে সে সীতারামের নাগরিক সৈন্যমধ্যে সিপাহী হইল! গঙ্গাবাম তাহাকে বড় বিশ্ববাস করিতেন। তিনি এক্ষণে গোপনে তাহাকে তোরাব খাঁর নিকট পাঠাইলেন। বলিয়া পাঠাইলেন, “চন্দ্রচড়ি ঠাকুর বণাঞ্চক। চন্দ্রচড়ি যে বলিতেছেন যে, টাকা দিলে আমি মহম্মদপাের ফৌজদারের হস্তে দিব, সে কেবল প্রবণ8নাবাক্য।

  • WIKIlir t vrit: 'magnetized.”

d O bio