পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৯২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वर्ग७दका ज्ञष्नाबव्ी চাঁদ। আমি মসলমান ফকির, তোরাব খাঁর কাছে যাতায়াত করিতাম। তিনিও আমাকে বিশেষ আদর করিতেন। আমি কখন তাঁহার কথা মহারাজের কাছে বলিতাম না, অথবা মহারাজের কথা তাঁহার কাছে বলিতাম না। এজন্য কোন পক্ষ বলিয়া গণ্য নাহি । এখন তিনি গত হইয়াছেন, এখন ভিন্ন কথা। যে দিন তিনি মহারাজের হাতে ফতে হইয়া মধ্যমতীর তীর হইতে প্ৰস্থান করেন, সেই দিন তাঁহার সঙ্গে পথিমধ্যে আমার দেখা হইয়াছিল। তখন গঙ্গারামের বিশ্বাসঘাতকতা সম্পবন্ধে তাঁহার সঙেগ আমার কথাবাত্তা হইয়াছিল। গঙ্গারাম তাঁহাকে প্রতারণা করিয়াছে, এই বিবেচনায় তিনি আপনা হইতেই সে সকল কথা আমাকে বলিয়াছিলেন। গঙ্গারাম অদ্ধেক রাজ্য পরিস্কারস্বরপ চাহিয়াছিল বটে, কিন্তু আরও কিছ চাহিয়াছিল। তবে সে কথা হজারে নিবেদন করিতে বড় ভয পাই--- অভয় ভিন্ন বলিতে পারি না। রাজা। নিভয়ে বলন। চাঁদ । দ্বিতীয় পরিস্কার মহারাজের কনিষ্পাঠা মহিষী ৷ দশকমন্ডলী সমদ্ৰবৎ গডিজয়া উঠিল -- গঙ্গারামকে নানাবিধ গালি পাড়িতে লাগিল। শান্তিরক্ষকেরা শান্তি রক্ষা করিল। গঙগারাম বলিল, “মহারাজ ! এ অতি অসম্পভব কথা । আমার নিজের পরিবার আছে। —মহারাজের অবিদিত নাই। আর আমি নগররক্ষক--সত্ৰীলোকে আমার রচি থাকিলে, আমার দম্প্রাপ্য বড় অলপ। আমি মহারাজের কনিষ্ঠা মহিষীকে কখনও দেখি নাই—কি জন্য তাঁহাকে কামনা করিব ?” রাজা। তবে তুমি কুকুরের মত রাত্রে লাকাইয়া আমার অন্তঃপারে প্রবেশ করিতে কেন ? গাওঁদুর্গারােম । কখনও না | তখন সেই পাঁড়েঠাকুর পাহারাওয়ালাকে তলব হইল। পাঁড়েঠাকুর দাড়ি নাড়িয়া বলিলেন যে, গঙ্গারাম প্রত্যহ গভীর রাত্ৰিতে মাত্রলার সঙ্গে, তাহার ভাই পরিচয়ে অন্তঃপরে যাতায়াত করিত। শনিয়া গঙ্গারাম বলিল, “মহারাজ । ইহা সম্ভব নহে। মবেলার ভাইকেই বা ঐ ব্যক্তি পথ ছাড়িয়া দিবে কেন ? “ তখন পাঁড়েঠাকুর উত্তর করলেন যে, তিনি গঙ্গারামকে বিলক্ষণ চিনিতেন ; তবে কোতোয়ালকে তিনি রোখেন কি প্রকারে ? এজন্য চিনিষাও চিনিতেন না। গঙ্গারাম দেখিল, ক্ৰমে গতিক মন্দ হইয়া আসিল । এক ভরসা। মনে এই উদয় হইল, মােরলা নিজে কখনও এ সকল কথা প্ৰকাশ করিবে না-কেন না, তাহা হইলে সেও দণডনীয়--তার কি আপনার প্রাণের ভয় নাই ? তখন গঙগারাম বলিল, “মরলোকে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করা হউক।-- কথা সকলই মিথ্যা প্রকাশ পাইবে।” বেচারা জানিত না যে, মরল্যাকে মহারাজ্ঞী শ্ৰীমতী নন্দা ঠাকুরাণী পাব্বেই হাত করিয়া রাখিয়াছিলেন। নন্দা মরল্যাকে বঝাইয়াছিল যে, “মহারাজ সত্ৰীহত্যা করেন না-তোর মরিবার ভয় নাই। সত্ৰীলোককে শারীরিক কোন বকম সাজা দেন না। অতএব বড় সাজাের তোর ভয় নাই। কিছ. সাজা তোর হইবেই হইবে। তবে, তুই যদি সত্য কথা বলিসা-তোর সাজা বড় কম হবে।” মরল্যাও তাহা বঝিয়াছিল, সতরাং সব কথা ঠিক বলিল—কিছই ছাড়িল না। ময়লার কথা গঙ্গারামের মাথাব্য বজাঘাতের মত পড়িল । তথাপি সে আশা ছাড়িল না। বলিল, “মহারাজ ! এ সত্ৰীলোক অতি কুচরিত্রা। আমি নগরমধ্যে ইহাকে অনেক বার ধরিয়াছি, এবং কিছর শাসন ও কবিতে হইযাছিল। বোধ হয়। সেই রাগে এ সকল কথা বলিতেছে।” রাজা । তবে কার কথায় বিশ্ববাস করব, গঙ্গারাম ! খোদ মহারাণীর কথা বিশবাসযোগ্য কি ? KDBB BB DBD S BDBBB BBBS BBDBD S DBDBB DBBJJD BBB BBS BBBS BBDBD q S সভামধ্যে আসিবে না বা এ সভায় এ সকল কথা বলিতে পরিবে না। গঙ্গারাম বলিল, “অবশ্য বিশ্ববাসযোগ্য। তাঁর কথায় যদি আমি দোযী হই, আমাকে সমচিত দন্ড দিবেন।” A রাজা অন্তঃপর অভিমখে দস্টি করিলেন। তখন গঙ্গারাম সবিস্ময়ে দেখিল, অতি ধীরে ধীরে সশঙ্কিত শিশর মত, এক মলিনবেশধারী অবগঠনবতী রমণী সভামধ্যে আসিতেছে। যে রােপ গণ্ডগারামের হাডে হাড়ে অাঁকা, তাহা দেখিয়াই চিনিল। গঙগারাম বড় শঙিকত হইল। দশকমন্ডলীমধ্যে মহা কোলাহল পড়িয়া গেল। শান্তিরক্ষকেরা তাহদের থামাইল । রমা আসিয়া আগে রাজাকে, পরে গর, চন্দ্রচড়কে দরি হইতে ভূমিস্ৰষ্ঠ হইয়া প্ৰণাম করিয়া, )