পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৯৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नऊाज्ञा ভাসিতেছে। সেই রামার পরীক্ষা নন্দার মনে পড়িল, কিন্তু মনে পড়িল যে, সে দিন দেখিয়াছিলেন যে, সেই জনাের্ণব বড় চঞ্চল, সংক্ষািবধ, যেন বাত্যাতাড়িত; রাজপরিষেরা কন্টে শান্তি রক্ষা করিয়াছিল ;–আজি সকলেই নিস্তবধ । সকলেরই মনে রাজ্যের অমঙ্গল আশঙকা বড় জাগরকে । সকলেই মনে মনে ভয় পাইতেছিল। আজ এই লোকারণ্য সিংহব্যাস্ত্ৰবিমন্দিত মহারণ্য অপেক্ষাও ভয়ানক দেখাইতেছিল। সেই বহৎ দগপ্রাঙ্গণের মধ্যস্থলে এক উচ্চ মঞ্চ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। তদনুপরি এক কৃষ্ণকায় বলিষ্ঠগঠন বিকটদশ্যন চণ্ডডাল, মাত্তিমান অন্ধকারের ন্যায় দীঘ বেত্র হস্তে লইয়া দন্ডায়মান” আছে। জয়ন্তীকে তদনুপরি আরোহণ করাইয়া সবসমক্ষে বিবস্ত্ৰা করিয়া সেই চন্ডাল বেত্ৰাঘাত করিবে, ইহাই রাজাজ্ঞা। জয়ন্তীকে এখনও সেখানে আনা হয় নাই। রাজা এখনও আসেন- নাই—আসিলে তবে তাহাকে আনা হইবে। মঞ্চের সম্মখে রাজার জন্য সিংহাসন রক্ষিত হইয়াছে। তাহা বেস্টন করিয়া চোপদার ও সিপাহীগণ দাঁড়াইয়া আছে। অমাত্যবগ আজ সকলেই অনপস্থিত। এমন । ককান্ড দেখিতে আসিতে কাহারও প্রবত্তি হয় নাই। রাজাও কাহাকে ডাকেন নাই। কতক্ষণে রাজা আসিবেন, কতক্ষণে সেই দণ্ডডনীয় দেবী বা মানবী আসিবে, কতক্ষণে কি হইবে, সেই জন্য প্রত্যাশাপন্ন হইয়া লোকারণ্য উদ্ধবর্তমখ হইয়াছিল। এমন সময়ে হঠাৎ নকিব ফাঁকরাইল ; সন্তাবকেরা সস্তুতিবাদ করিল ; দশকেরা জানিল, রাজা আসিতেছেন। রাজার আজ বেশভূষার কিছমাত্র পারিপাট্য নাই—বৈশাখের দিনান্তকালের মেঘের মত রাজা আজ ভয়ঙ্করমাত্তি ! আয়ত চক্ষ রক্তবর্ণ-বিশাল বক্ষ মধ্যে মধ্যে স্ফীত ও উচ্ছবসিত হইতেছে। কষাণোন্মািখ জলধরের উন্নমনের ন্যায় রাজা আসিয় সিংহাসনের উপর বসিলেন। কেহ বলিল না, “মহারাজাধিরাজাকি জয় !” তখন সেই লোকােরণ্য উদ্ধৱ মািখ হইয়া ইতস্ততঃ দেখিতে লাগিল—দেখিল, সেই সময়ে প্ৰহারিগণ জয়ন্তীকে লইয়া মঞ্চোপরি আরোহণ করিতেছে। প্রহরীরা তাহকে মঞ্চোপরি সস্থাপিত করিয়া চলিয়া গেল। কোন প্রাসাদশিখরোপরি উদিত পণচন্দ্রের ন্যায় জয়ন্তীর অতুলনীয় রাপরাশি সেই মঞ্চোপরি উদিত হইল। তখন সেই সহস্ৰ সহস্ৰ দশক উদ্ধাবমখে, উৎক্ষিপতলোচনে গৈরিকবসনাবােতা মঞ্চস্থা অপৰিব জ্যোতিৰ্ম্মময়ী মাত্তি নিরীক্ষণ করিতে লাগিল। সেই উন্নত, সম্পপণােয়ত, ললিত মধর অথচ উক্তজবল জ্যোতিবিশিষ্ট দেহ; তাহার দেবোপাম সৈথৰ্য্য— দেবদল্লভ শান্তি; সকলে বিমাগধ হইয়া দেখিতে লাগিল। দেখিল, জয়ন্তীর নবীরবিকরপ্রোন্দিভন্ন BBBB BB BB BBBS gBDBDB BB DBSkBDS DBSDDDS BBB BB BBB BDBBSKBBBBDS সংহারিণী শক্তির পরিচয়স্বরােপ সেই স্নিগধ মধ্যর মন্দহাস্য ! দেখিয়া, অনেকে দেবতা জ্ঞানে যদুকুকরে প্রণাম করিল। যখন কতকগলি লোক দেখিল, আর কতকগলি লোক জয়ন্তীকে প্ৰণাম করিতেছে- --তখন তাহদের মনে সেই ভক্তিভােব প্রবেশ করিল। তখন তাহারা। “জয় ম্যামিকি জয়!” “জয় লছমী মায়িকি জয় ” ইত্যাদি ঘোর রবে জয়ধবনি করিল। সেই জয়ধবনি রা মে প্রাঙগণের এক ভাগ হইতে অপর ভাগে, এক প্রান্ত হইতে অন্য প্রান্তে গিরি শ্রেণীস্থিত বড়মাদের মত প্ৰক্ষিপত ও প্রবাহিত হইতে লাগিল । শেষ সেই সমবেত লোকসমারোহ এককগঠ হইয়া তুমলে জয়শাবাদ করিল। পরেী কম্পিপতা হইল। চন্ডালের হস্ত হইতে বেত্ৰ খসিয়া পড়িল । জয়ন্তী মনে মনে ডাকিতে লাগিল, “জয় জগদীশবর ! তোমারই জয়! তুমি আপনি এই লোকােরণ্য, আপনিই এই লোকের কন্ঠে থাকিয়া, আপনার জয়বাদ। আপনিই দিতেছ! জয় জগন্নাথ! তোমারই জয় ! আমি কে ?” কুদ্ধ রাজা তখন অগিনমত্তি হইয়া মেঘগম্ভীরস্বরে চন্ডালকে আজ্ঞা করিলেন, “কাপড় কাড়িয়া নিয়া বেত লােগা !” এই সময়ে চন্দ্রচড়া তকালঙ্কার সহসা রাজসমীপে আসূিয়া রাজার দাইটি হাত ধরিলেন। বলিলেন, “মহারাজ ! রক্ষা কর! আমি আর কখনও "ভিক্ষা চাহিব না, এইবার আমায় এই ভিক্ষা দাও-ইহাকে ছাড়িয়া দাও।” রাজা । (ব্যঙ্গের সহিত) কেন-দেবতার এমন সাধ্য নাই যে, আপনি ছাড়াইয়া যায়! বেটী জয়াচোরের উচিত শাসন হইতেছে। চন্দ্র। দেবতা না হইলে—সত্ৰীলোক বটে। S86 VO