পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৯৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७दक ब्रष्न्बव्ी রাজা। সস্ত্রীলোকেরও রাজা দন্ড করিতে পারেন। চন্দ্র। এই জয়ধবনি শনিতেছেন ? এই জয়ধবনিতে আপনার রাজার নাম ডুবিয়া যাইতেছে। রাজা। ঠাকুর! আপনার কাজে যাও। পথি পাঁজি নাই কি ? চন্দ্রচড়ি চলিয়া গেলেন। তখন চন্ডাল পািনরপি রাজাজ্ঞা পাইয়া আবার বেত উঠাইয়া লইল --বেত উচু করিল-জয়ন্তীর মাখ প্রতি চাহিয়া দেখিল ; বেত নামাইয়া—রাজার পানে চাহিল – আবার জয়ন্তীর পানে চাহিল—শেষ বেত আছাড়িয়া ফেলিয়া দিয়া দাঁড়াইয়া রহিল। “কি !” বলিয়া রাজা বজের ন্যায় শবদ করিলেন। চন্ডাল বলিল, “মহারাজ ! আমা হইতে হইবে না।” রাজা বলিলেন, “তোকে শহলে যাইতে হইবে।” চণ্ডডাল জোড়হাত করিয়া বলিল, “মহারাজের হকুমে তা পারিব। এ পরিব না।” তখন রাজা অনচরবগকে আদেশ করিলেন, ‘চণডালকে ধরিয়া লইয়া গিয়া কয়েদ কর।” রক্ষিবাগ চন্ডালকে ধরিবার জন্য মঞ্চের উপর আরোহণ করিতে উদ্যত দেখিয়া, জয়ন্তী সীতারামকে বললেন, “এ ব্যক্তিকে পীড়ন করিবেন না, আপনার যে আজ্ঞা, আমি নিজেই পালন করিতেছি—চন্ডাল বা জল্লাদের প্রয়োজন নাই ।” তথাপি রক্ষিবাগ চন্ডালকে ধরিতে আসিতেছে দেখিয়া, জয়ন্তী তাহাকে বলিল, “বাছা! তুমি আমার জন্য কেন দঃখ পাইবে ? আমি সন্ন্যাসিনী, আমার কিছতেই সখ-দঃখ নাই; বেতে আমার কি হইবে ? আর বিবস্ত্র-সন্ন্যাসীর পক্ষে সবস্ত্র বিবস্ত্র সমান। কেন দঃখ পাও-বেত তোেল।” চন্ডাল বেত উঠাইল না। জয়ন্তী তখন চণ্ডডালকে বলিল, “বাছা ! সত্ৰীলোকের কথা বলিয়া বিশ্ববাস করিলে না—এই তার প্রমাণ দেখি।” এই বলিয়া জয়ন্তী আপনি বেত উঠাইয়া লইয়া, দক্ষিণ হস্তে দঢ়মন্টিতে তাহ ধরিল। পরে সেই জনসমারোহ সমক্ষে, আপনার প্রফােল্লপদ্মসন্নিভ রক্তপ্রভ ক্ষদ্র করপল্লব পাতিয়া, সবলে তাহাতে বেত্ৰাঘাত করিল। বেত মাংস কাটিয়া লইয়া উঠিল—হাতে রক্তের স্রোত বহিল। জয়ন্তীর গৈরিক বস্ত্র এবং মণ9তল তাহাতে পলাবিত হইল। দেখিয়া লোকে হাহাকার করিতে লাগিল । জয়ন্তী মদ হাসিয়া চন্ডালকে বলিল, “দেখিলে বাছা! সন্ন্যাসিনীকে কি লাগে ? তোমার ভয় কি ?” চন্ডাল একবার রধিরােন্ত ক্ষত পানে চাহিল—একবার জয়ন্তীর সহাস্য প্রফল্পে মািখ পানে চাহিয়া দেখিল-দেখিয়া পশ্চাৎ ফিরিয়া, অতি ত্রসন্তভাবে মণ8সোপান অবরোহণ করিয়া উদ্ধবশাবাসে পলায়ন করিল। লোকরণ্যমধ্যে সে কোথায় লকাইল, কেহ দেখিতে পাইল না। রাজা তখন অনচরবগকে আজ্ঞা করিলেন, “দোসরা লোক লইয়া আইস-মসলমান ।” অনচরবগ, কালান্তক যমের সদশে এক জন কসাইকে লইয়া আসিল । সে মহম্মদপরে গোর কাটিতে পারিত না-কিন্তু নগরপ্রান্তে বকরি মেড়া কাটিয়া বেচিত। সে ব্যক্তি অতিশয় বলবান ও কদাকার। সে রাজাজ্ঞা পাইয়া মঞ্চের উপর উঠিয়া, বেত হাতে লইয়া জয়ন্তীর সম্পমাখে দাঁড়াইল। বেত উচু করিয়া কসাই জয়ন্তীকে বলিল, ”কাপড়া উত।ারত-তেরি গোশত টকরা টািকরা করকে হাম দোকানামে বেচেঙ্গে।” জয়ন্তী তখন অপরিস্পলান মখে, জনসমারোহকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, “রাজাজ্ঞায় এই মঞ্চের উপর বিবস্ত্ৰ হইব। তোমাদের মধ্যে যে সতীপত্র হইবে, সেই আপনার মাতাকে সমরণ করিয়া ক্ষণকালের জন্য এখন চক্ষ আবিত করােক। যাহার কন্যা আছে, সেই আপনার কন্যাকে মনে করিয়া, আমাকে সেই কন্যা ভাবিয়া চক্ষ আব্বত করােক। যে হিন্দ, যাহার দেবতা ব্রাহ্মণে ভক্তি আছে, সেই চক্ষ আব্বত করােক। যাহার মাতা অসতী, যে বেশ্যার গভে জন্মিয়াছে, সে যাহা ইচ্ছা করােক, তাহার কাছে আমার লতাজা নাই, আমি তাহদের মনষ্যের মধ্যে গণ্য করি না।” লোকে এই কথা শনিয়া চক্ষ বাজিল, কি না বাজিল, জয়ন্তী তাহা আর চাহিয়া দেখিল না। মন তখন খাব উচু সরে বাঁধা আছে—“জয়ন্তী তখন জগদীশবর ভিন্ন আর কাহাকে দেখিতে পাইতেছে না। জয়ন্তী কেবল রাজার দিকে ফিরিয়া বলিল, “তোমার আজ্ঞায় আমি বিবস্ত্ৰ হইব । কিন্তু তুমি চাহিয়া দেখিও না। তুমি রাজ্যেশস্বরা; তোমায় পশ্যবিত্ত দেখিলে প্রজারা কি না করিবে ? মহারাজ, আমি বনবাসিনী, বনে থাকিতে গেলে অনেক সময়ে বিবস্ত্ৰ হইতে হয়। একদা আমি বাঘের মাখে পড়িয়াছিলাম-বাঘের মািখ হইতে আপনার শরীর রক্ষা করিতে পারিয়াছিলাম, Sny 8 WU