পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

प्रदशभिर्नान्क्रनौं -- আয়েষা নিজ সবিদ্যুৎ মেঘতুল্য চক্ষঃ ওসমানের বদনের প্রতি স্থির করিলেন। সমান কহিলেন, “আমি আশা-লতা ধরিয়া আছি, আর কত কাল তাহার তলে জলসিঞ্চন נג ק আয়েষার মািখশ্ৰী গম্ভীর হইল। ওসমান এ ভাবান্তরেও নাতন সৌন্দৰ্য্য দেখিতে লাগিলেন। আয়েষা কহিলেন, “ওসমান! ভাই বহিন বলিয়া তোমার সঙ্গে বসি দাঁড়াই। বাড়াবাড়ি করিলে, তোমার সাক্ষাতে বাহির হইব না।” ওসমানের হষোৎফল্ল মািখ মলিন হইয়া গেল। কহিলেন, “ঐ কথা চিরকাল! সন্টিকৰ্ত্তা! এ কুসমের দেহমধ্যে তুমি কি পাষাণের হৃদয় গড়িয়া রাখিয়াছ ?” ওসমান আয়েষাকে মাতৃগহ পয্যন্ত রাখিয়া আসিয়া বিষন্ন মনে নিজ আবাসমন্দির মধ্যে প্রত্যাগমন করিলেন। আর জগৎ সিংহ ? डूडीश ब्रिह छा 8 जूभि ना डिप्लाडभा ? পরদিন প্রদোষকালে জগৎ সিংহের অবস্থান-কক্ষে আয়েষ্যা, ওসমান আর চিকিৎসক পাকবাবৎ নিঃশব্দে বসিয়া আছেন; আয়েষা পালঙেক বসিয়া সর্বহস্তে ব্যাজনাদি করিতেছেন; চিকিৎসক ঘন ঘন জগৎসিংহের নাড়ী দেখিতেছেন, জগৎসিংহ অচেতন; চিকিৎসক কহিয়াছেন, সেই রাত্রে জবর-ত্যাগের সময়ে জগৎসিংহের লয় হইবার সম্পভাবনা, যদি সে সময় শািন্ধরাইয়া যান, তবে আর চিন্তা থাকিবে না, নিশ্চিত রক্ষা পাইবেন। জবর-বিশ্রামের সময় আগত, এই জন্য সকলেই বিশেষ ব্যগ্র; চিকিৎসক মহম্মম হাঃ নাড়ী দেখিতেছেন, “নাড়ী ক্ষীণ,” “আরও ক্ষীণ,”- “কিঞ্চিৎ সবল,” ইত্যাদি মহম্মম হাঃ অসফটশব্দে বলিতেছেন। সহসা চিকিৎসকের মািখ কালিমাপ্রাপতি হইল। বলিলেন, “সময় আগত।” আয়েষা ও ওসমান নিসপন্দ হইয়া শনিতে লাগিলেন। হাকিম নাড়ী ধরিয়া রহিলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে চিকিৎসক কহিলেন, “গীতিক মন্দ।” আয়েষার মাখ আরও মালান হইল। হঠাৎ জগৎ সিংহের মখে বিকট ভঙ্গী উপস্থিত হইল ; মািখ শোবতবর্ণ হইয়া আসিল; হস্তে দঢ়মন্টি বাঁধিল ; চক্ষে অলৌকিক সপন্দন হইতে লাগিল; আয়েষা বঝিলেন, কৃতান্তের গ্রাস পণ্যে হইতে আর বিলম্ব নাই। চিকিৎসক হস্তসিন্থত পাত্রে ঔষধ লইয়া বসিয়াছিলেন ; এরাপ লক্ষণ দেখিবামাত্রই অঙ্গলি দ্বারা রোগীর মািখব্যাদান করাইয়া ঐ ঔষধ পান করাইলেন। ঔষধ ওঠপ্রান্ত হইতে নিগতি হইয়া পড়িল; কিঞ্চিৎ উদরে গেল। উদরে প্রবেশমাত্রই রোগীর দেহের অবস্থা পরিবত্তিত হইতে লাগিল; ক্ৰমে মাখের বিকট ভঙগী দরে গিয়া কান্তি সিথর হইল, বর্ণের অস্বাভাবিক শেবতভাব বিনম্ৰাট হইয়া ক্ৰমে রক্তসঞ্চার হইতে লাগিল; হস্তের মন্টি শিথিল হইল; চক্ষ স্থির হইয়া পানব্বার মাদ্রিত হইল। হাকিম। অত্যন্ত মনোভিনিবেশপথব্বক নাড়ী দেখিতে লাগিলেন। অনেকক্ষণ দেখিয়া সহষে কহিলেন, “আর চিন্তা নাই; রক্ষা পাইয়াছেন।” ওসমান জিজ্ঞাসা করিলেন, “জবরত্যাগ হইয়াছে।" আয়েষা ও ওসমান উভয়েরই মািখ প্রফতুল্ল হইল। ভিষক কহিলেন, “এখন আর কোন চিন্তা নাই, আমার বসিয়া থাকার প্রয়োজন করে না; এই ঔষধ দই প্রহর রাত্ৰি পৰ্য্যন্ত ঘড়ী ঘড়ী খাওয়াইবেন।” এই বলিয়া ভিষক প্রস্থান করিলেন। ওসমান আর দই চারি দন্ড বসিয়া নিজ আবাস গহে গেলেন। আয়েষা পৰ্ব্ববৎ পালঙ্কে বসিয়া ঔষধূদি সেবন করাইতে লাগিলেন। রান্ত্রি দ্বিতীয় প্রহরের কিঞ্চিৎ পাবেব রাজকুমার নয়ন উন্মীলন করিলেন। প্রথমেই আয়েষার সখিপ্ৰফল্লি মািখ দেখিতে পাইলেন। চুক্ষর কটাক্ষভাবু দেখিয়া আয়েষার বোধ হইল, যেন তুহার বদ্ধির ভ্ৰম জন্মিতেছে, যেন তিনি কিছু স্মরণ করিতে চেন্টা করিতেছেন, কিন্তু যত্ন বিফল হইতেছে। অনেকক্ষণ পরে আয়েষার প্রতি চাহিয়া কহিলেন, “আমি কোথায় ?” দই দিবসের পর রাজপত্র এই প্রথম কথা কহিলেন। আয়েষা কহিলেন, “কতলা খাঁর দাগে।” RĆ